Showing posts with label রাজনীতি. Show all posts
Showing posts with label রাজনীতি. Show all posts
ন্যায় ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে আলেম সমাজকে ভূমিকা রাখতে হবে : আবদুল্লাহ আল ফারুক

ন্যায় ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে আলেম সমাজকে ভূমিকা রাখতে হবে : আবদুল্লাহ আল ফারুক

চকরিয়া টাইমস: 

চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ওলাম মাশায়েখদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা শুক্রবার (১০ অক্টোবর) জামায়াত কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

চকরিয়া পৌরসভা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা জামাল হোসাইন নূরীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামী মনোনীত চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আবদুল্লাহ আল ফারুক। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে নতুনভাবে বিনির্মাণে সুযোগ এসেছে। আজকে ক্বওমী, আলিয়া, জামায়াতে ইসলামীসহ একই ঘরনার আলেম ওলামাদের মধ্যে একটি ঐক্য তৈরি হয়েছে। এটির জাতির জন্য বিশাল সুসংবাদ ও সম্ভাবনা। গুটি কয়েক মানুষ ব্যতিক্রম থাকবে; এটি নিয়ে বিচলিত হওয়ার কারণ নেই। তাই স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী আলেম সমাজকে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ন্যায় ইনসাফের ভিত্তিতে বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে। 

এতে প্রধান বক্তার আলোচনা পেশ করেন কক্সবাজার জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শফিউল হক জিহাদী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতের আমীর মো. আরিফুল কবির। 

এসময় জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আখতার আহমদ ও চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা কুতুব উদ্দিন হেলালীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শুরুতে দারসুল কুরআন পেশ করেন চকরিয়া আমজাদিয়া রফিকুল উলুম ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মাওলানা এনয়ামুল হক। মতবিনিময় সভায় পৌর এলাকার বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসার শতাধিক সুপরিচিত ওলামায়ে কেরামগণ অংশগ্রহণ করেন। 


বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য ‘পিআর’ পদ্ধতি’র বিকল্প নেই : কক্সবাজারে গোলটেবিল বৈঠক

বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য ‘পিআর’ পদ্ধতি’র বিকল্প নেই : কক্সবাজারে গোলটেবিল বৈঠক

চকরিয়া টাইমস :

জুলাই সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনসহ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত পাঁচ দফা দাবিতে ১১ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল সড়কস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা আমিরুল ইসলাম মীর, খেলাফত মজলিস কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা আবু মুছা, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মুফতী মাওলানা মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল খালেক নিজামী, খেলাফত মজলিস জেলা সেক্রেটারি মাওলানা জুনায়েদ মাহমুদ, নেজাম ইসলাম কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারি মাওলানা নূরুল হক আরমান, জাতীয় নাগরিক পার্টি জেলা সংগঠক অধ্যাপক ওমর ফারুক, জেলা যুব ইসলামী আন্দোলন সভাপতি নূরুল ইসলাম আজিজী, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জাফর উল্লাহ ইসলামাবাদী, অধ্যক্ষ মাওলানা শফিউল হক জিহাদী, কক্সবাজার ৩ সংসদীয় আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী শহিদুল আলম বাহাদুর, শ্রমিক নেতা মাওলানা মুহাম্মদ মুহসীন, শহর জামায়াতের সেক্রেটারি রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিল।
জেলা সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক জসিম উদ্দীন, অধ্যাপক নূরুল আজিম, অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, সাংবাদিক প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি কামাল হোসেন আজাদ, সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মোহাম্মদ হাশিম, দৈনিক নয়া দিগন্ত কক্সবাজার অফিস প্রধান জিএএম আশিক উল্লাহ, আমার দেশ প্রতিনিধি আনছার হোসেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন কক্সবাজার জেলা সহ-সভাপতি ছৈয়দুল হক সিকদার।
উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারি আল আমীন মু. সিরাজুল ইসলাম, জেলা অফিস সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শাহজাহান, কক্সবাজার সদর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক খুরশিদ আলম আনসারী,
ইসলামী আন্দোলন কক্সবাজার জেলা প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক মোহাম্মদ জুনাইদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক আবু নাসের, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোঃ ইসমাইল, মাওলানা শামসুল হক আজিজী, মাওলানা শাহজাহান আব্দুল্লাহ, মাওলানা মোস্তাফিজুল হক চৌধুরী, হাফিজ মাওলানা মুহাম্মদ ওমর ফারুক, দৈনিক হিমছড়ি সম্পাদক হাসানুর রশীদ, সাংবাদিক হুমায়ূন সিকদার, শহর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি দরবেশ আলী মুহাম্মদ আরমান, সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবদুর রশীদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দ।
বৈঠকে বক্তারা বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনামলে দেশের মানুষ সাড়ে পনেরো বছরে পর পর তিনটি নির্বাচনে ভোট প্রদান করতে পারেনি। প্রচলিত পদ্ধতির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আ'লীগ জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে দিনের ভোট রাতে এবং আমি ডামি মার্কা নির্বাচন করেছে। যার কারণে সুশাসনের পরিবর্তে দেশবাসী সাড়ে পনেরো বছর ফ্যাসিবাদী শাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে পড়েছিল। ২০২৪ সালের জুলাই গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ ছিল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ।
দুই হাজার শহীদের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ আবারো পুরানো কাঠামোতে ফিরে যাবে এটা দেশবাসী প্রত্যাশা করে না। তাই জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ইসলামী ও সমমনা দলগুলো 'পিআর' পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা অবিলম্বে জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি এবং সেই আলোকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় দেশে আবারো অবিশ্বাস, আস্থাহীনতা এবং নতুন ফ্যাসিবাদ তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল প্রশাসন, সচিবালয়, পুলিশসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে নিজস্ব বলয় তৈরি করে প্রভাব বিস্তারের আলামত পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই অবস্থায় নির্বাচন হলে সকল দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছাড়া নির্বাচন হলে দেশে অরাজকতা বৃদ্ধি পাবে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হবে যার কারণে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে যা আমরা কখনোই কামনা করি না। সুতরাং ক্ষমতার মোহ এবং দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির উর্ধ্বে উঠে দেশের সংকট সমাধানে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। বক্তারা আরো বলেন, আমরা পরিলক্ষিত করছি কক্সবাজার জেলাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে আওয়ামী চক্রের চিহ্নিত অপরাধী, সন্ত্রাসী ও ভোট ডাকাতরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পরিকল্পিত খুন-খারাবি করে জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে, প্রশাসনের ব্যর্থতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা বড় ধরনের অঘটন ঘটানোর চেষ্টা চালাবে আমরা চিহ্নিত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত এবং আ'লীগের দোসর জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। আমরা সকল ইসলামী দল দেশব্যাপী একটি বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলে ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে বদ্ধপরিকর।
দেশের মানুষ অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই। জন আকাঙ্ক্ষার সরকার যদি জনমানুষের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে ব্যর্থ হয় তাহলে দেশের মানুষ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।
কক্সবাজারে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের মিছিল ও স্মারকলিপি

কক্সবাজারে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের মিছিল ও স্মারকলিপি

চকরিয়া টাইমস :

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্র ঘোষিত পাঁচ দফা দাবিতে দেশব্যাপী জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে কক্সবাজারে জামায়াতের মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (১২ অক্টোবর) কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারীর নেতৃত্বে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমরান হোসাইন সজীব।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জাফর উল্লাহ ইসলামাবাদী, কক্সবাজার শহর সেক্রেটারি রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিল, শ্রমিক নেতা মাওলানা মুহাম্মদ মুহসীনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

স্মারকলিপি প্রদানের পূর্বে হাসপাতাল সড়কস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী।

জেলা সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, কক্সবাজার শহর সেক্রেটারি রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিল।

সমাবেশে জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী বলেন, জুলাই গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এর মাধ্যমে দেশ কে নতুন কাঠামোয় নিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন পদ্ধতিতে পরিবর্তন সাধনে জনমত তৈরি হয়েছে। কিন্তু একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের অনীহা ও চাপের কারণে সরকার জনমতকে উপেক্ষা করে যেনতেন একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, ছাত্র- জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ কে আমরা পুরাতন ধারায় ফিরিয়ে নিতে চায় না। পুরাতন বন্দোবস্ত চলতে দেশে নতুন ফ্যাসিবাদ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তাই অবিলম্বে জুলাই সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে 'পিআর' পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। সকল দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করাসহ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি

জনকল্যাণমুখী সমাজ গঠনে নৈতিক ও আদর্শিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে : আবদুল্লাহ আল ফারুক

জনকল্যাণমুখী সমাজ গঠনে নৈতিক ও আদর্শিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে : আবদুল্লাহ আল ফারুক

 কক্সবাজার শহর জামায়াতের রুকন সমাবেশ 

চকরিয়া টাইমস : কক্সবাজার শহর জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত এক রুকন (সদস্য) সমাবেশ শনিবার (১১ অক্টোবর) শহরের অভিজাত হোটেল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

কক্সবাজার শহর আমীর আবদুল্লাহ আল ফারুকের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রিয়াজ মুহাম্মাদ শাকিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে শহর জামায়াতের কর্মপরিষদ ও শূরা সদস্যসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের রোকনগণ উপস্থিত ছিলেন। 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসলামী আন্দোলনের অগ্রযাত্রায় রুকনগণ হচ্ছেন জামায়াতের মূল ভিত্তি। ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রুকনদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান অন্যায়-অবিচারের যুগে রুকনদের দৃঢ় ঈমান ও ত্যাগের মনোভাব নিয়েই কাজ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে শহর আমীর আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, “আমরা আল্লাহভীরু, দেশপ্রেমিক ও জনকল্যাণমুখী সমাজ গঠনে কাজ করছি। প্রতিটি রুকনকে নৈতিক ও আদর্শিক দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে হবে।”


জেলা আমীরের হাতে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফয়েজের দাঁড়িপাল্লা উপহার

জেলা আমীরের হাতে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফয়েজের দাঁড়িপাল্লা উপহার

চকরিয়া টাইমস :

জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার জেলার আমীর অধ্যক্ষ নূর আহমদ আনোয়ারীর হাতে দলীয় প্রতীক “দাঁড়িপাল্লা” উপহার দিয়েছেন শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফয়েজ এন্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী ফয়েজ আহমদ।

বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে জেলা জামায়াত কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি প্রতীকটি জেলা জামায়া‌তের আমীরের হাতে তুলে দেন।

এসময় উপ‌স্থিত ছি‌লেন, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, শ্রমিক নেতা শামসুল আলম বাহাদুরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আইন শৃঙ্খলার সার্বিক উন্নয়নে প্রশাসনকে আরো আন্তরিক হওয়া দরকার : ভিপি বাহাদুর

আইন শৃঙ্খলার সার্বিক উন্নয়নে প্রশাসনকে আরো আন্তরিক হওয়া দরকার : ভিপি বাহাদুর

চকরিয়া টাইমস : 

কক্সবাজার-৩ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জেলা জামায়াতের মজলিসে শূরা সদস্য ও সাবেক ককসু ভিপি শহিদুল আলম বাহাদুর বলেন, “কক্সবাজার-রামু-ঈদগাঁও এ আইন শৃঙ্খলা অবনতি, অপহরণ এবং সার্বিক উন্নয়নে প্রশাসনকে আরো তৎপর হওয়া দরকার। হতে হবে আরো আন্তরিক। হত্যাকাণ্ড, যানজট, মাদকের সয়লাব ইত্যাদি বিষয়ে রাজনীতিবিদ ও স্থানীয় জনসাধারণের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে প্রশাসনকে অতিদ্রুত সমস্যা সমূহ সমাধান করতে হবে।” 

গতকাল বুধবার (৮ অক্টোবর ২০২৫) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজারে উন্নয়ন ভাবনা, সাম্প্রতিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি রোধ ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ নূর আহমদ আনোয়ারী, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের এমপি প্রার্থী শহর জামায়াতের আমীর আবদুল্লাহ আল ফারুক, পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল হুদা চৌধুরী, শহর জামায়াতের সেক্রেটারি রিয়াজ মুহাম্মাদ শাকিল, এনসিপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক সুজা উদ্দিনসহ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ। 

সভায় বক্তারা কক্সবাজারে সাম্প্রতিক অপরাধ প্রবণতা, হত্যা, চুরি-ছিনতাই, মাদক, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ বিভিন্ন সামাজিক অপরাধের বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং প্রশাসনকে আরও কঠোরভাবে আইন প্রয়োগের আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবদুল মান্নান বলেন, “কক্সবাজার পর্যটন নগরী হিসেবে দেশের ভাবমূর্তি বহন করে। এখানকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা সবার দায়িত্ব। প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকবে—তবে সামাজিক সচেতনতা ও সহযোগিতাও জরুরি।” তিনি আরও বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকে একসাথে কাজ করতে হবে। সভায় অংশগ্রহণকারীরা সবাই মিলে কক্সবাজারকে একটি নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও পর্যটনবান্ধব শহর গঠনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।


অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে শ্রমিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : আবদুল্লাহ আল ফারুক

অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে শ্রমিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : আবদুল্লাহ আল ফারুক

চকরিয়া টাইমস : 

চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়ন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন উদ্যোগে এক শ্রমিক সমাবেশ শুক্রবার (৩ অক্টোবর) উত্তর কাকারা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামী মনোনীত চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ফারুক। তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার হয়েছে শ্রমিকেরা। অথচ শ্রমিকদের  হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমে দেশের অর্থনীতি সচল থাকে। দেশের উন্নয়নের চাকা ঘুরে। 

তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে জামায়াত ক্ষমতায় গেলে শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত হবে ইনশা’আল্লাহ। আমরা একটি ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ গড়তে চাই। যেখানে শ্রমিকরা তাদের কাজের যথাযথ মূল্য ও সম্মান পাবেন। তাই শ্রমিকবান্ধব বৈষম্যহীন রাষ্ট্র বিনির্মাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার বিকল্প নেই। 

ইউনিয়ন শ্রমিক কল্যাণের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জালাল উদ্দীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ, জেলা শ্রমিক কল্যাণের সেক্রেটারি মোহাম্মদ মহসিন, চকরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল বশর, সেক্রেটারি মাওলানা ছৈয়দ করিম, বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা বদিউল আলম জিহাদি, উপদেষ্টা মাস্টার মোহাম্মদ হোছাইন।

এসময় চকরিয়া উপজেলা শ্রমিক কল্যাণের সভাপতি শরিফুল আমিন, উপজেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা আবুল ফজল, কাকারা ইউনিয়ন উপদেষ্টা মাওলানা শাহাদাত হোসেন ও মাওলানা মোহাম্মদ আলীসহ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আবদুল্লাহ আল ফারুক একজন কর্মস্পৃহা সম্পন্ন তরুণ জননেতা : মুসা বিপ্লব

আবদুল্লাহ আল ফারুক একজন কর্মস্পৃহা সম্পন্ন তরুণ জননেতা : মুসা বিপ্লব

 চকরিয়া টাইমস : 

মসজিদের ইমাম একজন দুনিয়া সেরা আলেম, সমাজে ও দেশে রয়েছে ব্যাপক খ্যাতি, তাকে জাতী প্রত্যাশা পূরণে প্রতি নিয়তে চলে যেতে হয়, গ্রামে গঞ্জে, শহরে নগরে এবং দুর দুরান্তে। এবার বলেন তাকে দিয়ে কি নিদিষ্ট কোনো মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ইমামতি করা সম্ভব? অবশ্য সম্ভব না। কারণ দেশ ও জাতীর বৃহত্তর স্বার্থে তার চাহিদা রয়েছে বেশ। তাই তাকে জাতীর বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষায় সময় দিতে হবে। এটার বিবেচনায় সেই মহান ব্যক্তির জন্য শুভকামনা। 

অতপর, চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার-১) আসনে এমপি হিসেবে জাতীয় নেতার প্রয়োজন নাই। কারণ জাতীয় নেতাকে মন্ত্রণালয় দেখতে হবে, দেশ ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি সামাল দিতে হবে। নিজে এলাকার কোনো নাগরিকের জন্য, ওই জাতীয় নেতা মানের এমপির স্বাক্ষর কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজন হয় তাহলে ওনাকে এলাকার কেটে খাওয়া নাগরিকরা কোথায় খুঁজে পাবে? ওনি থাকবে ঢাকার উত্তরা, বসুন্ধরা, গুলোশান, নয়াপল্টন কিংবা দেশের বাইরে চীন, নেপাল, ইন্ডিয়া, লন্ডন বা আমেরিকা ইত্যাদি জায়গায়।  যদি কোনো সহযোগিতার নেতা সহযোগিতা নিয়ে জাতীয় নেতার সান্নিধ্য পেতে চাই, তাহলে চাঁদা ঘুষ লবিং বা অন্য কোনো বিভ্রান্তকর পরিস্থিতির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।

সুতরাং এমন নেতা আমরা চাই, যাকে প্রতিদিন খুঁজে পাওয়া যাবে জনগণ। যিনি থাকবেন তার নির্বাচনী এলাকার নাগরিকদের সাথে। যার সম্পূর্ণ কর্মতৎপরতার সেবা পাবে চকরিয়া পেকুয়ার সবস্তরের জন সাধারণ। 

এমন একজন নেতার নাম আবদুল্লাহ আল ফারুক, তিনি তরুণ এক জননেতা। তরুণ হওয়ার কারণে তার রয়েছে যথেষ্ট কর্মস্পৃহা বা কাজের গতি । তিনি ছাত্রজীবন থেকেই চকরিয়া পেকুয়ার মানুষের সাথে মিশে মিশে বড় হয়েছে। তিনি মানুষের যে কোনো দুর্যোগে সবার আগে ছুটে যান যেমন অগ্নিকাণ্ড, বন্যা বা দুর্ঘটনা ইত্যাদি। ছাত্রজীবন থেকেই মেধা ও প্রজ্ঞার সাথে রাজনীতি করে যাচ্ছেন। তিনি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তর ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের মতো একটি সংগঠনের কর্মী বা নেতা হিসেবে  স্কুল, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষে জেলা শিবিরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে ছাত্রজীবন শেষ করেন। বর্তমানে মানবতা মুক্তি আন্দোলন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কক্সবাজার শহর শাখার আমীরের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি জেলা, উপজেলা ও জাতীয় পর্যায়ে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছেন। 

তিনি তার সমস্ত শক্তি দিয়ে চকরিয়া পেকুয়ার জনগণের উন্নয়ন করতে নিজে বিলিয়ে দিয়েছে। সর্বশ্রেনীর মানুষের দুঃখ কষ্টে তিনি ছুটে যান। তিনি প্রতিদিন চকরিয়া পেকুয়ার কোনো না কোনো এলাকায় অবস্থা করেন, মানুষের দুঃখের কথা শুনেন এবং সমস্যা চিহ্নিত করে তা অনুযায়ী সাধ্যমতো ব্যবস্থা নিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। 

পরিশেষে বলতে পারি, চকরিয়া পেকুয়ার মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা রাখার মতো কর্মস্পৃহা সম্পন্ন তরুণ জননেতার নাম আব্দুল্লাহ আল ফারুক। তিনি জনতার পাশে থাকবেন, এবং জনতা তাঁকেই সবসময় পাশে পাবেন।

মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী একজন ডাইনামিক লিডার : মুসা বিপ্লব

মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী একজন ডাইনামিক লিডার : মুসা বিপ্লব

চকরিয়া টাইমস : 

একজন জননন্দিত চেয়ারম্যান, খ্যাতিমান ওয়ায়েজিন, দক্ষতা সম্পন্ন প্রিন্সিপ্যাল, কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর, গনমুখী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী।
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারীকে এমপি প্রার্থী করা হয়েছে। যোগ্যতা ও দক্ষতার দিক থেকে তুলনা মুলক ভাবে ওনার কোনো ঘাটতি নেই।
তিনি টানা ৪বারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান: টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের থেকে নির্বাচন করে টানা ৪বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি ১ম বার প্রায় এক হাজার একশ (১১০০) ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, ২য় বার প্রায় দুই হাজার একশ (২১০০) ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, ৩য় বার প্রায় তিন হাজার একশ (৩১০০) ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, এবং ৪র্থ বার প্রায় চার হাজার একশ (৪১০০) ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
ওনি চেয়ারম্যান হিসেবে মানুষের দ্বারে দ্বারে ওনার সেবা সমুহ পৌঁছাতে নিশ্চিত করেন। এমন কি চেয়ারম্যান যে সিল মারা হয় সে সিলটি তাঁর নিজে পকেটে পকেটে রাখেন। কোথাও যদি জানাযায়ও যান সেইখানে লোক জনের প্রয়োজনীয় কাগজে সিল স্বাক্ষর দিয়ে থাকেন।

তিনি একজন ওয়ায়েজিন: আমাদের দেশে বর্ষ মৌসুম কেটে গেলে যখন মাঠ শুকনো থাকে তখন গ্রামে গঞ্জে ও শহরে নগরে তাফসিরুল কোরআন মাহফিল, সিরাতুন্নী (সঃ) মাহফিল, মিলাদুন্নী (সঃ) মাহফিল ও ইসলামী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সেখানে দেশের খ্যাতিমান ইসলামিক বক্তারা ওয়াজ করেন। মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী তাদেরই একজন দেশ বরণ্য আলেম। যার ওয়াজের দাওয়াত কক্সবাজার- চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি একজন সুবক্তা।
তিনি একজন প্রিন্সিপ্যাল: টেকনাফ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হ্নীলা শাহ মজিদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যাল। তার হাতে গড়া হাজারো ছাত্র দেশের বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত আছে। তাঁর হাতে গড়া হাজারো আলেমে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলেম তৈরিতে নিয়োজিত রয়েছে। তার তৈরি করা ওয়ায়েজ বর্তমানে সারাদেশে কোরআনের বিপ্লবী দাওয়াতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
তিনি জামায়াতে ইসলামীর কক্সবাজার জেলা আমীর: বর্তমান বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় ইসলামী দল ও অন্যতম রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কক্সবাজার জেলা শাখার আমীরের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি টেকনাফের উপজেলা আমীর ছিলেন, পরে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ছিলেন। তার দক্ষতা ও যোগ্যতার কারণে কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সর্বচ্ছো শপথের জনশক্তি রুকনরা প্রত্যক্ষ ভোটে ২০২০ সালে ওনাকে জেলা আমীর হিসেবে নির্বাচিত করেন।
ওনার এমন একনিষ্ঠ দক্ষতা, যোগ্যতা ও সততাকে গুরুত্ব দিয়ে নিজের দল জামায়াতে ইসলামী তাঁকে (কক্সবাজার-৪) উখিয়া-টেকনাফ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসাবে চুড়ান্ত করেন। অথচ একই আসনে জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক ছাত্রশিবিরে কেন্দ্রীয় মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহানও রয়েছে। কিন্তু মুহাম্মদ শাহজাহান নিজেই, মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারীকে দক্ষ ও জনবান্ধব নেতা হিসেবে বিবেচনা করে ওনাকে উক্ত আসনে সিদ্ধান্ত দেন। মাওলানা আনোয়ারীর বিচক্ষণতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞাকে সম্মান জানিয়ে তার প্রসংশায় পঞ্চমুখ হতেন বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি গুলোও।
পরিশেষে বলা যায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে (কক্সবাজার-৪) উখিয়া টেকনাফ সংসদীয় জনবান্ধন জননেতা, বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন ও শিক্ষাবিদ, হ্নীলা শাহ মজিদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা প্রিন্সিপ্যাল, হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়নের চার বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী (হাফি:) একজন ডায়নামিক লিডার এবং সবার সেরা সংসদ সদস্য প্রার্থী। তার কাছে জনগণের আমানত তসরুপ হবে না।
মুসা ইবনে হোসাইন বিপ্লব
লেখক:
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
বমুবিলছড়িতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সম্পাদক সংবর্ধিত

বমুবিলছড়িতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সম্পাদক সংবর্ধিত

চকরিয়া টাইমস :

চকরিয়ার বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত হয়েছে চকরিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব এনামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক এম. মোবারক আলী।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এসময় বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় আগামীর বাংলাদেশ হবে অনন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত : আবদুল্লাহ ফারুক

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় আগামীর বাংলাদেশ হবে অনন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত : আবদুল্লাহ ফারুক

শাহজালাল শাহেদ (চকরিয়া টাইমস): 

চকরিয়া পৌরশহরের সার্বজনীন কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসবের পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন জামায়াতে ইসলামী মনোনীত চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আবদুল্লাহ আল ফারুক। 

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে দশটার দিকে তিনি নিজেই চকরিয়া কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরে পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। 

একইভাবে চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবলা দেবনাথ, চকরিয়া উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি নারায়ন কান্তি দাশসহ সনাতনী সম্প্রদায়ের নেতারা ফুল দিয়ে জননেতা আবদুল্লাহ আল ফারুককে বরণ করেন।


এসময় অতিথি হিসেবে সঙ্গে ছিলেন জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ, চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতের আমীর মো. আরিফুল কবির ও উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ছৈয়দ করিম।  

পরিদর্শকালে এমপি প্রার্থী কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমীর আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, জামায়াতে ইসলামী বরাবরই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। আমরা সকল ধর্মের মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করার মাধ্যমে বৈষম্যহীন সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে চাই। আগামীর বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। যা হবে আরো বলিষ্ট। সেই লক্ষ্যে বিশ্ববরেণ্য মানবিক রাহবার আমীরে জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা দেশব্যাপি কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি সনাতনী সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বড় দুর্গোৎসবের সার্বিক সফলতা কামনা করেন। পাশাপাশি অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পূজা ম-পে সক্রিয় দায়িত্ব পালনকারী দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্তব্য নিয়ে প্রশংসা করেন এবং ধন্যবাদ জানিয়ে পূজা শেষ হওয়া পর্যন্ত; সার্বিক আইন শৃংখলা রক্ষায় তাদের কাছে দায়িত্বশীল ভূমিকা আশা প্রকাশ করেন তিনি। 

এছাড়া উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আবদুল্লাহ আল মামুর, জামায়াত নেতা হারবাং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন আহমদ বাবর, লক্ষ্যারচর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার, শ্রমিক নেতা শরিফুল আমিন, পৌর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি টিটু বশাক, দপ্তর সম্পাদক লিটন, যুব কল্যাণ সমিতির সভাপতি বিন্দু দাশ, মন্দির পূজা কমিটির সভাপতি রুবেল দে, সাধারণ সম্পাদক রিপন বশা ও সাংবাদিক মুকুল কান্তি দাশ উপস্থিত ছিলেন।


ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে চকরিয়া উপজেলা জামায়াতের আলোচনা সভা

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে চকরিয়া উপজেলা জামায়াতের আলোচনা সভা

চকরিয়া টাইমস: 

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) চকরিয়া উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় উপজেলা জামায়াত কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল বাশারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা ছৈয়দ করিমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জামায়াতে ইসলামী ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

এসময় জামায়াতের চকরিয়া উপজেলা সহকারী সেক্রেটারী আব্দুল্লাহ আল মামুর, সাংগঠনিক সেক্রেটারী মাস্টার মোহাম্মদ হোছাইন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাস্টার রশিদুর রহমান , অর্থ সেক্রেটারি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চকরিয়া উপজেলা সভাপতি শরিফুল আমিন প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, রাসূল (সা.) মানবজাতির মুক্তির দূত। তাঁর জীবনাদর্শ বিশ্ববাসীর জন্য অনুসরণীয় ও আদর্শিক পথনির্দেশ। তাঁরা আরও বলেন, বর্তমান সমাজে নৈতিক অবক্ষয়, দুর্নীতি ও অবিচার দূর করতে হলে আমাদের প্রিয় নবী করীম (সা.)-এর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা আবশ্যক। ইসলামের দাওয়াত ও কল্যাণমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে যুব সমাজকে রাসূল (সা.)-এর আদর্শে গড়ে তুলতে পারলে শান্তিময় সমাজ গঠন সম্ভব হবে।

পরে মহানবী (সা.)-এর উম্মতের ঐক্য, মুসলিম বিশ্বের শান্তি এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

ভিপি নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে চকরিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ

ভিপি নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে চকরিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ

চকরিয়া টাইমস: 

ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে গণঅধিকার পরিষদ এবং অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন চকরিয়ার উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকাল চারটায় অনুষ্ঠিত মিছিলের অগ্রভাগে নেতৃত্ব দেন দলের কেন্দ্রীয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সহ-সম্পাদক চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মো. আবদুল কাদের প্রাইম। তিনি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। 

মিছিলটি কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে চিরিংগা ফুলকলির সামনে এসে শেষ হয়। এরআগে গণঅধিকার পরিষদ চকরিয়া উপজেলা সভাপতি এডভোকেট আমিনুল এহসানের সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

এসময় গণঅধিকার পরিষদ জেলা সভাপতি হেলাল উদ্দিনসহ সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

সমাবেশ থেকে গণঅধিকার পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার পরবর্তী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।    

সৎ ও যোগ্যতা সম্পন্ন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে : ড. হামিদ আযাদ

সৎ ও যোগ্যতা সম্পন্ন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে : ড. হামিদ আযাদ

চকরিয়া টাইমস : 

ঢাকাস্থ কক্সবাজার-১ চকরিয়া-পেকুয়া আসনের জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ সহযোগি সংগঠনের জনশক্তিদের নিয়ে এক প্রীতি সমাবেশ শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর সুপ্রীম কোটের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বিশিষ্ট ব্যাংকার সাবেক ছাত্রনেতা মো. জাফর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ। তিনি বলেন, ৫৩ বছরের বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে যেসব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট রয়েছে কোনোটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি। আমরা এ যাবৎকালেও একটি সুন্দর নির্বাচন পায়নি। এখনও আমাদেরকে স্বাধীন দেশে ৫৩ বছর পরেও নির্বাচনের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়, লড়াই করতে হয় যে; ‘আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়’। বিপ্লবের পরে আমাদের মাঝে আকংখা তৈরি হয়েছে, প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। সেই প্রত্যাশার জায়গায় আমরা মনে করেছিলাম আমাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদের জেল, জুলুম, নির্যাতন, গুম, খুনের ঘটনা থেকে কিছু মানুষের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য; আওয়ামী লীগের যেমন মানুষ হত্যা করে কোন অনুসূচনা নাই বলে রাজনীতিতে কথা আছে, আর যারা এতো ধাক্কাধুক্কা পিটুনি খাইয়াও আবারো পুরানো সুরে গান গায় তাদেরও কোনো অনুসূচনা হয়েছে বলে এ জাতি মনে করে না। এ জন্য দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে নীতি নৈতিকতার মূল্যবোধে রাষ্ট্রকে দাঁড় করাতে হবে। পাশাপাশি যারা রাষ্ট্র ক্ষমতা আসবে তাদেরকেও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে নৈতিকতা বোধ সম্পন্ন নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তাই একটি গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আগামীর রাষ্ট্র ক্ষমতায় সৎ ও যোগ্যতা সম্পন্ন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। 


এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামী মনোনীত চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল্লাহ আল ফারুক, কক্সবাজার জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আখতার আহমদ, জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ, চকরিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা আবুল বাশার, পৌর আমীর মো. আরিফুল কবির ও বিশিষ্ট সমাজসেবক আরিফুর রহমান চৌধুরী মানিক। 

এসময় চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা কুতুব উদ্দিন হেলালী, বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট মুহাম্মদ রিদুয়ান, সাবেক ছাত্রনেতা জাহেদুল ইসলাম নোমান, এডভোকেট মুজিবুল হক জামিলসহ ঢাকাস্থ চকরিয়া ও পেকুয়ার জামায়াতে ইসলামীসহ সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় জামায়াতের ভূমিকা ইতিবাচক ও প্রশংসনীয় : আবদুল্লাহ আল ফারুক

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় জামায়াতের ভূমিকা ইতিবাচক ও প্রশংসনীয় : আবদুল্লাহ আল ফারুক

চকরিয়া টাইমস: 

চকরিয়া পৌরশহরের চিরিঙ্গা কেন্দ্রীয় হরিমন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন জামায়াতে ইসলামী মনোনীত চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল্লাহ আল ফারুক। 

সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকাল ৩টায় তিনি অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ সময় আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে তাকে উত্তরীয় ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। 

পরিদর্শনকালে জননেতা আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, “সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা সবসময় ইতিবাচক ও প্রশসংনীয়। দেশের সংকটময় মুহুর্তে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন স্থানে মন্দির, গীর্জাসহ ধর্মীয় উপাসনালয় পাহারা দিয়েছিলো জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। চকরিয়ায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় সনাতনী সম্প্রদায়ের একই পরিবারের ৫জন নিহতের ঘটনায় আমীরে জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমানের নির্দেশে সবার আগে সামর্থ অনুযায়ী অর্থ সহায়তা নিয়ে তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে জামায়াতে ইসলামী। 

এধরনের অসংখ্য মানবিক সহযোগিতায় জামায়াতের ভূমিকা ছিলো অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায়। যা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তিনি সকল ধর্মের মানুষের শান্তিপূর্ণ সুন্দর সহাবস্থান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সম্প্রীতি রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান। 

পরে তিনি হরিমন্দিরের বিভিন্ন স্থান ঘুরেফিরে দেখেন এবং জামায়াতে ইসলামীর তরফ থেকে মন্দির উন্নয়ন কাজে সম্পৃক্ত হবার আশ্বাস প্রদান করেন আয়োজকদের।

এসময় চকরিয়া উপজেলা দক্ষিণ জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা সৈয়দ করিম, চকরিয়া প্লেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবদুল মজিদ, চকরিয়া জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটির সভাপতি নারায়ণ কান্তি দাশ, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মুকুল কান্তি দাশসহ মন্দির ব্যবস্থাপনা কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত

চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত

চকরিয়া টাইমস: 

চকরিয়া উপজেলার আওতাধীন ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল-২০২৫ শনিবার (১৬ আগস্ট) দিগরপানখালি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধক ছিলেন চকরিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব মোঃ এনামুল হক। 

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামিম আরা স্বপ্না। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব  জামিল ইব্রাহিম চৌধুরী, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইউসুফ বদরী ও জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি সভাপতি আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম কাউন্সিলর।

প্রধান বক্তা ছিলেন চকরিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এম. মোবারক আলী। বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট ছৈয়দ আহামদ উজ্জ্বল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এডভোকেট মো: ইউনুস, আহ্বায়ক, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক অধ্যক্ষ এস এম মনজুর, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাহিমুর রহমান ফাহিম, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জালাল আহামদ সিকদার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল কাঁকন ও লক্ষ্যারচর বিএনপির সভাপতি নুর মোহাম্মদ মানিক প্রমুখ। 

এছাড়া উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।  

এদিকে  ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, জেলা ও উপজেলার বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ স্হানীয় নেতৃবৃন্দ যারা দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলে স্ব-শরীরে উপস্থিত থেকে সফল ও স্বার্থক করেছেন। পরিশেষে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল স্তরের নেতা-কর্মীকে, যারা আমাকে আহবায়ক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে অদ্য পর্যন্ত সাংগঠনিকভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং আজকে (১-৯) ওয়ার্ড  থেকে বিশাল বিশাল মিছিল সহকারে সম্মেলন স্থলে এসে সফলতা এনেছেন এবং দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলে আমাকে সভাপতি পদ প্রার্থী হিসেবে ব্যাপক ভাবে সমর্থন দিয়ে সম্মানিত করেছেন তাদের কাছে আমি আজীবন ঋণী হয়ে থাকলাম। 

চকরিয়ায় আল্লামা সাঈদী ও শহীদ ফোরকানের স্মরণে দোয়া মাহফিল

চকরিয়ায় আল্লামা সাঈদী ও শহীদ ফোরকানের স্মরণে দোয়া মাহফিল

চকরিয়া টাইমস: 

চকরিয়ায় আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও আল্লামা সাঈদীর গায়েবানা জানাযার নামাযে গুলীবর্ষণের ঘটনা নিহত পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জামায়াত কর্মী শহীদ ফোরকান উদ্দিনের দ্বিতীয় শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল কাজীরপাড়া স্টেশন চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামী মনোনীত চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আবদুল্লাহ আল ফারুক। 


বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতের আমীর মো. আরিফুল কবির, ইসলামী ছাত্রশিবির কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারি মীর মুহাম্মদ আবু তালহা, চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতের নায়েবে আমীর মো. ফখরুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি এস.এম আলী জিন্নাহ ও বায়তুলমাল সেক্রেটারি সৈয়দ মুহাম্মদ রাসেল। 

এসময় ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি সৈয়দ আলম, সাবেক ছাত্রনেতা মো. জুনাইদসহ স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

আলোচনা সভায় বক্তারা- বিশ্ববরেণ্য মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও চকরিয়ায় আল্লামা সাঈদীর গায়েবানা জানাযায় নিহত শহীদ ফোরকান উদ্দিনের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী শক্তি তথা দাঁড়িপাল্লার পক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।

চকরিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর সংসদীয় আসনের দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

চকরিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর সংসদীয় আসনের দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

চকরিয়া টাইমস: 


 কক্সবাজার-১ চকরিয়া-পেকুয়া সংসদীয় আসনের দায়িত্বশীল সমাবেশ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় চকরিয়া উপজেলা জামায়াতের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল চট্টগ্রাম অঞ্চল পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান। 

তিনি বলেন, দেশের মানুষ একটি সামগ্রিক পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছে। মানুষ তার গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। রাজনৈতিক নিপীড়ন ও জুলুম শোষণ থেকে মুক্তি চাই। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জামায়াতের নেতাকর্মীদেরকে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। 

তিনি আরো বলেন, চকরিয়া পেকুয়া জামায়াতের বিজয়ী আসন। এই আসনের সকল জনশক্তিকে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষের সুখে দুঃখে পাশে দাঁড়াতে হবে। 

জেলা কর্মপরিষদ সদস্য আখতার আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের টীম সদস্য মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান। 

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ফারুক, জেলা সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ, চকরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল বশর, চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতের আমীর আরিফুল কবির, পেকুয়া উপজেলা আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইমতিয়াজ ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আমীর মাওলানা ফরিদুল আলম। এসময় জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হলে ফের জুলাই জাগরণ নেমে আসবে : জেলা আমীর

বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হলে ফের জুলাই জাগরণ নেমে আসবে : জেলা আমীর

চকরিয়া টাইমস :

কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষিত রোড ম্যাপের আলোকে সংস্কার, বিচার ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থ হলে দেশব্যাপী আবারো জুলাই জাগরণ নেমে আসবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। অতীতের মতো দিনের ভোট রাতে এবং আমি -ডামি মার্কা নির্বাচন হলে জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। দেশের স্বাধীনতা -সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে, তাই সকলের জন্য লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে নির্বাচনের আয়োজন করুন।

তিনি আরো বলেন, বিগত সাড়ে পনেরো বছর আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দেশের সকল প্রতিষ্ঠান, সামাজিক শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা এবং শিক্ষা-সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এহেন পরিস্থিতি থেকে মুক্তির লক্ষ্যে ২০২৪ সালে আমাদের তরুণ প্রজন্ম জাতিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য গণ অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। তরুণদের স্বপ্ন, শহীদের আত্মত্যাগ এবং আহতদের আহাজারি ও প্রত্যাশা এখনো বহুদূর। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দখলদারিত্ব সমান তালে চলছে। পুরোনো ধারার শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনে কিছু রাজনৈতিক দলের অনীহা দেশবাসী কে হতাশ করছে। জামায়াতে ইসলামী দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে এবং স্বাধীনতা - সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত রয়েছে। জনগণ জামায়াতের উপর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করলে আমরা সুশাসন, ন্যায়বিচার, সামাজিক নিরাপত্তা ও মূল্যবোধ রক্ষা করে জাতিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। আমরা নিজেরা দুর্নীতি করবো না কাউকে করতে দিব না। আমরা কোথাও চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দখলদারিত্বে নেই, কাউকে করতে ও দিব না। জামায়াতের এমপিরা অতীতের গতানুগতিক রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের পরিবর্তে দেশের মানুষের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা কে অগ্রাধিকার দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে বদ্ধপরিকর। তাই আগামীতে একটি সুখী, সমৃদ্ধশালী ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে কক্সবাজার -০৩ (সদর-রামু ও ঈদগাঁও) আসনে এ জনপদের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর সাবেক সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জননেতা শহিদুল আলম বাহাদুর কে এমপি নির্বাচিত করে সংসদে প্রেরণের জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কক্সবাজার শহর ও সদর উপজেলা শাখা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত বিশাল গণমিছিলোত্তর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। গণমিছিল টি কক্সবাজার হাশেমিয়া আলিয়া মাদরাসা গেইট থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কক্সবাজার পাবলিক হল মাঠে সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিলে জামায়াতের দলীয় প্রতীক দাঁড়ি পাল্লাসহ বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড বহন করে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও জনসাধারণ অংশগ্রহণ করেন। অভূতপূর্ব বিশাল গণমিছিল দেখে শহরের ব্যবসায়ী ও জনসাধারণ দুই হাত নেড়ে অভিবাদন জানান।

শহর আমীর জননেতা আব্দুল্লাহ আল ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার -০৩ সংসদীয় আসনে এমপি প্রার্থী সাবেক সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জননেতা শহিদুল আলম বাহাদুর। তিনি বলেন, কক্সবাজারের মানুষ সচেতন ও শান্তি প্রিয়। বিগত সময়ে এই জনপদে পরিকল্পিত উন্নয়নের যথেষ্ট অভাব ছিল। ত্রিশ লক্ষাধিক মানুষের জন্য জেলা সদরে যে হাসপাতাল রয়েছে সেখানে অবকাঠামো, জনবল, আধুনিক সরঞ্জাম, আইসিইউ, সিসিইউর সংকট রয়েছে। যার কারণে আমার কক্সবাজারবাসী সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আইসিইউ বন্ধের সংবাদ ও আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। আমি অবিলম্বে পর্যটন রাজধানী হিসেবে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করণের দাবি জানাচ্ছি। পর্যটক ও পর্যটন ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা এবং চাঁদাবাজি মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। শিক্ষা- দীক্ষায় অগ্রসরমান এ জেলার শিক্ষার্থীদের উচ্চতর ও যুগোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করণে অতি শীঘ্রই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবী করছি, পাশাপাশি সমুদ্র ও নদী ভাঙ্গন থেকে কক্সবাজার শহর, শহরতলীসহ বিভিন্ন এলাকাকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। আগামী দিনে বৈষম্যহীন, ইনসাফপূর্ণ ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে জামায়াতে ইসলামী তথা দাঁড়ি পাল্লার পক্ষে গণজাগরণ সৃষ্টির জন্য সকলের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

শহর সেক্রেটারি রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আমীর অধ্যাপক খুরশিদ আলম আনসারী, জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি আবদুর রহিম নূরী।

উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর মুফতী মাওলানা মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, শামসুল আলম বাহাদুর, দেলাওয়ার হোসাইন, সাংগঠনিক সেক্রেটারি আল আমীন মু. সিরাজুল ইসলাম, কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জাফর উল্লাহ ইসলামাবাদী, কক্সবাজার শহর নায়েবে আমীর কফিল উদ্দিন চৌধুরী, সহকারী সেক্রেটারি দরবেশ আলী আরমান ।

চকরিয়ায় ইসলামী আন্দোলনের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গণমিছিল

চকরিয়ায় ইসলামী আন্দোলনের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গণমিছিল

চকরিয়া টাইমস :

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চকরিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে এক বিশাল গণমিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুর ১২টায় চকরিয়া পৌর বাসটার্মিনাল থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে জনতা শপিং সেন্টার চত্বরে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

মুজাহিদ কমিটি চকরিয়া উপজেলা সভাপতি সরওয়ার আলম কুতুবীর সভাপতিত্বে সমাবেশে শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন উপজেলা দক্ষিণের সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা কাইছার হামিদ।

মাওলানা এহসানুল হক হাকিমির পরিচালনায় সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী চকরিয়া উপজেলা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা শেখ আহমদ কবির সিকদার।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ডাঃ এস.এম ইসমাইল ।

প্রধান বক্তার আলোচনা পেশ করেন বান্দরবান জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা শওকতুল ইসলাম ।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা কার্যনির্বাহী সদস্য এইচ.এম শফিউল আলম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য রবিউল হাসান।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা উত্তর সভাপতি মাওলানা মনির উল্লাহ সিকদার, মাতামুহুরী উপজেলা সাংগঠনিক উপজেলার সভাপতি মাওলানা নুরুল্লাহ সিকদার, পেকুয়া উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা ওসমান গনি প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশে অবিলম্বে পিআর পদ্ধতিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। তারা দাবি করেন, ইসলামী আন্দোলনই একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা সরাসরি ঘোষণা দিয়ে জুলাই গণআন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে।

বক্তারা আরও বলেন, যারা একসময় ছাত্র-জনতাকে রাজাকার বলেছিল এবং সেই ধিক্কার সহ্য করতে না পেরে দেশ ছেড়েছিল, আজ আবার রাজাকার-ব্যবসায় ফিরে এসেছে। কেউ যদি আবার স্বৈরাচারী রূপ ধারণ করে, তবে দেশের মানুষ আরেকটি বিপ্লব ঘটাতে প্রস্তুত।