চকরিয়া টাইমস:
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশের ন্যায় চকরিয়া আদালত এলাকার প্রধান সড়কে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এসোসিয়েশন চকরিয়া উপজেলা শাখার ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে উপজেলার অর্ধশতাধিক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ অসংখ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা অংশগ্রহণ করেন।
এসোসিয়েশনের চকরিয়া উপজেলা সভাপতি চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল আখেরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি সাহারবিল রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মশিউর রহমান আরিফ, চকরিয়া গ্রামার স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ.এম নুরুল হান্নান, অর্থ সম্পাদক মো. শহিদুল আলম, চাইল্ডস মর্ডান স্কুলের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবিরসহ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। ন্যায্য এ দাবির সাথে একাত্মতা পোষন করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল শেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি জমা দেয়া হয়। যার অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে প্রদান করা হয়।
এদিকে সমাবেশে বক্তারা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ঘোষিত ২০২৫ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ না রাখায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
বক্তারা বলেন, প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুযোগ দিয়ে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত সরাসরি সংবিধান পরিপন্থি এবং বৈষম্যের একটি ন্যক্কারজনক উদাহরণ।
তারা বলেন, কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীরাও জাতীয় শিক্ষাক্রমে পাঠ গ্রহণ করে, বছরজুড়ে প্রস্তুতি নেয়। অথচ প্রতিষ্ঠান সরকারি নয় এই অজুহাতে তাদের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এতে প্রশ্ন উঠছে, ‘শিক্ষা কি প্রতিষ্ঠাননির্ভর, না শিক্ষার্থীর যোগ্যতা ও মেধাভিত্তিক?’
বক্তারা আরও জানান, সরকার যদি সত্যিই বৈষম্যবিরোধী অবস্থানে থাকে, তাহলে এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করে সকল বেসরকারি প্রা. বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় তারা রাজপথে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন।