Showing posts with label স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা. Show all posts
Showing posts with label স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা. Show all posts
চকরিয়া জমজম হাসপাতালে ইঞ্জিনিয়ার নূর হোসেন চেয়ারম্যান ও গোলাম কবির পুনরায় এমডি নির্বাচিত

চকরিয়া জমজম হাসপাতালে ইঞ্জিনিয়ার নূর হোসেন চেয়ারম্যান ও গোলাম কবির পুনরায় এমডি নির্বাচিত

শাহজালাল শাহেদ (চকরিয়া টাইমস) : 

দক্ষিণ চট্টগ্রামের চকরিয়া উপজেলার সর্ববৃহৎ প্রথম বেসরকারি উন্নত ও অন্যতম প্রযুক্তি নির্ভর চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান জমজম হাসপাতাল পরিচালনায় চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (৬ জুলাই) বিকালে জমজম হাসপাতাল পিএলসি বোর্ড অব ডিরেক্টরস এর সভায় ইঞ্জিনিয়ার মো. নূর হোসেনকে চেয়ারম্যান (চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী) এবং হাসপাতালের বর্তমান এমডি মো. গোলাম কবিরকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নির্বাচিত করা হয়। 

জানা গেছে, গত ২৫জুন’২৪ইং জমজম হাসপাতাল পিএলসি এর ১ম বোর্ড সভা অধ্যাপক এনামুল হক মঞ্জুর সভাপতিত্বে হাসপাতালের অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। বোর্ড সভায় ডাঃ মো. কামাল হোছাইন, এজিএম কামরুল ইসলাম, এডভোকেট ওসমান আলী, মো. সিরাজুল ইসলাম, জি.এম. রুকন উদ্দীন, মাওলানা আব্দুল করিম, জাকারিয়া মো. শাহাব উদ্দিন, এহছানুল আনোয়ার, মো. গোলাম কবিরসহ ১০ জন পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। 

সভার শুরুতে পরিচালক জি.এম রুকন উদ্দীন, ডাঃ মো. কামাল হোছাইন, মো. সিরাজুল ইসলাম ও মো. গোলাম কবির বক্তব্য রাখেন। সভায় পরিচালকরা হাসপাতালের আয়-ব্যয়, বিগত বছরের উন্নয়ন-অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা পর্যালোচনা করে জমজম হাসপাতালকে এতদাঞ্চলে চিকিৎসা সেবার আলোক বর্তিকা হিসাবে বিনির্মাণ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সভার সভাপতি বলেন, শীঘ্রই ৫ম তলার কাজ সম্পন্ন করে নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠা এবং হাসপাতালে আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজনের মাধ্যমে আধুনিকায়ন করা হবে। হাসপাতালে সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে স্টাফদের ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ ও আরো দক্ষ স্টাফ নিয়োগ দেওয়া হবে। 

অনুষ্ঠিত সভায় পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও জাকারিয়া মো. শাহাব উদ্দিনের প্রস্তাবে সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি সমঝোতা কমিটি গঠন করা হয় । উক্ত সমঝোতা কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী শনিবার ৬জুলাই’২৪ ইং হাসপাতালের অফিস কক্ষে মুলতবী বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মুলতবী বোর্ড সভায় সকল পরিচালক সর্বসম্মতিক্রমে ইঞ্জিনিয়ার মো. নূর হোসেনকে চেয়ারম্যান ও মো. গোলাম কবিরকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নির্বাচিত করা হয়। সংঘবিধি অনুযায়ী উপরোক্ত কর্মকর্তারা হাসপাতালের দায়িত্ব পালন করবেন। 

উল্লেখ্য যে, মেয়াদ শেষে গত ১৮ মে২৪ইং সংঘ বিধি অনুযায়ী ৩ জন পরিচালকের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে মো. গোলাম কবির সর্বোচ্চ ভোটে পরিচালক নির্বাচিত হন। 

প্রসঙ্গত; মো. গোলাম কবির জমজম হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং বিভিন্ন সময়ে পরিচালক প্রশাসন, পরিচালক উন্নয়ন, ডিএমডি এবং ২০১৪ সাল থেকে হাসপাতালে এমডি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। সংঘ বিধি অনুযায়ী জমজম হাসপাতালের নতুন চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আগামী ৩ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

আমার কাঁধে এটি কি রাসেলস ভাইপার? : ডাঃ ফরহাদ উদ্দিন হাসান চৌধুরী

আমার কাঁধে এটি কি রাসেলস ভাইপার? : ডাঃ ফরহাদ উদ্দিন হাসান চৌধুরী

চকরিয়া টাইমস :

সম্প্রতি দেশে ভয়ঙ্কর বিস্তুৃতি ঘটতে যাওয়া আতংকের নাম রাসেলস ভাইপার নিয়ে চিকিৎসা জীবনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন ডাঃ ফরহাদ উদ্দিন হাসান চৌধুরী। এ নিয়ে তিনি তার ফেসবুক টাইমলাইনে লিখা অভিজ্ঞতাটি হুবুহু তুলে দেয়া হয়েছে।

আমার কাঁধে এটি কি রাসেলস ভাইপার?
বাংলাদেশের প্রধান ৩ টি বিষাক্ত সাপ হলো গোখরা (কোবরা), কেউটে (ক্রেইট) এবং রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া। রাসেলস ভাইপার অপেক্ষাকৃত বেশি বিষধর। অতিসম্প্রতি এই সাপটির প্রকোপ বেড়ে গেছে। তবে এই সাপটি নিজ থেকে তাঁড়া করে কাউকে দংশন করেনা। মূলত অসাবধানতাবশত কেউ এই সাপের গায়ে পারা দিলে এই সাপটি ছোবল দেয়।

এই সাপের বিষ শরীরে প্রবেশ করলে মূলত শরীরের রক্ত পাতলা হয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে স্বতঃস্ফূর্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে, কিডনী বিকল হতে পারে, স্নায়ু অবশ হয়ে ফুসফুসের কার্যকারিতা হারিয়ে যেতে পারে এমনকি হার্ট এ্যটাকও হতে পারে। বাংলাদেশে সর্প দংশন প্রতিরোধী যে এন্টিভেনম রয়েছে সেগুলো কোবরা এবং ক্রেইটের বিপরীতে ভালোভাবে কাজ করলেও রাসেলস ভাইপারের বিরুদ্ধে ভালোমতো কাজ করেনা। এই এন্টিভেনমটিতে ভারতীয় রাসেলস ভাইপারের বিরুদ্ধে উপাদান রয়েছে। ভারতীয় রাসেলস ভাইপারের বিষ এবং বাংলাদেশের রাসেলস ভাইপারের বিষের ভিতরে উপাদানগত বৈসাদৃশ্য বেশি হওয়ায় এটি পুরাপুরি কাজ করেনা।

আমাদের দেশের এই সাপটির বিরুদ্ধে একটি কার্যকরী এন্টিভেনম তৈরী করার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসা বিজ্ঞানী অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষের নেতৃত্বে একদল গবেষক বিগত প্রায় ৪-৫ বছর নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আশাকরি আমরা অদূর ভবিষ্যতে রাসেলস ভাইপারের বিরুদ্ধে কার্যকরী দেশীয় একটি এন্টিভেনম পেতে পারি।

বিষাক্ত আর অবিষাক্ত মিলিয়ে আমি জীবনে ৩০০০-৪০০০ এর বেশী সর্প দংশনের রোগী নিজেই চিকিৎসা করেছি। কোবরা, ক্রেইট, রাসেলস ভাইপার সব ধরনের সাপের কামড়ের চিকিৎসা করেছি। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত রাসেলস ভাইপারের ক্ষেত্রে ৫০% এর বেশি রোগীকে বাঁচাতে পারিনি। তবে আক্রান্ত হওয়ার পরপরই দ্রুততম সময়ে হাসপাতালে আসলে, অতিদ্রুত এন্টিভেনম শুরু করলে ও সাপোর্টিভ চিকিৎসা যেমন ডায়ালাইসি, ভেন্টিলেশন ইত্যাদি দিলে রোগী বাঁচানো সম্ভব বলে মনে করি।

আমরা সাধারণত সাপ কামড় দিলে বাঁধ দেই কিন্তু রাসেলস ভাইপারের কামড় নিশ্চিত হলে আক্রান্ত অংগে গিট বা বাঁধ দিতে নিষেধ করা হয় কারণ বাঁধের কারণে মাংসপেশির ভিতরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে অংগহানি হতে পারে। সাপ মেরে ফেলে সাপের বংশ শেষ করা যাবেনা। ব্রিটিশ আমলে সরকারি উদ্যোগে সাপ মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল এবং যথারীতি ঘটা করে সাপও মারা হয়েছিলো কিন্তু সর্পদংশনের সংখ্যা বা সাপের বংশ কোনটিই কমেনি।

সাপে কামড়ের চেয়েও বাংলাদেশে আরও বড় স্বাস্থ্য সমস্যা আছে। সেপসিস নামক একটি রোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ২ লাখ মানুষ মারা যায়, ইনফেকশনে এন্টিবায়োটিক কাজ না করার কারণে হাজার হাজার মানুষ মারা যায়, গতবছর ডেঙ্গুতে মারা গিয়েছে ১৭০০ মানুষ।

দেশে সাপের কামড়ে মারা যায় প্রতিবছর ৬০০০ এর অধিক মানুষ। এর বেশিরভাগই প্রান্তিক জনগন। সচেতনতার অভাবে হাসপাতালে না গিয়ে ওঝার কাছে গিয়ে বেশিরভাগ মানুষের অপমৃত্যু হয়। সচেতনতা বৃদ্ধি, দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া এবং যথাসময়ে এন্টিভেনম প্রয়োগ করাই ভরসা। বর্ষা এবং বর্ষা পরবর্তী সময়ে সাপের কামড় বৃদ্ধি পায় তাই এখন সাবধান থাকাটা বেশি জরুরী।
ঘুর্ণিঝড় মিধিলি : চকরিয়া স্বাস্থ্য বিভাগের বার্তা

ঘুর্ণিঝড় মিধিলি : চকরিয়া স্বাস্থ্য বিভাগের বার্তা

চকরিয়া টাইমস : 

ঘূর্ণিঝড় কালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কিত কিছু পরামর্শঃ

১. ইনজুরি বা আঘাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে ঘুর্ণিঝড়ের সময়।
অতএব, ঝড়ো হাওয়া শুরু হওয়ার আগেই পাকা দালান / পাকা স্কুল / আশ্রয় কেন্দ্রে উঠে পড়ুন। কিছু শুকনো খাবার, যেমন, চিড়া,মুড়ি,বিস্কুট ও টিউবওয়েলের পানি বোতলে করে সাথে রাখুন।
কোন ক্রমেই ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে ঘরের বাইরে যাবেন না।এসময় ঘরের বাইরে গেলে টীন বা গাছের ডাল উড়ে এসে আঘাত পেতে পারেন।
ঘরের দরজা,জানালা বন্ধ করে রাখুন যাতে বাতাস ভিতরে ঢুকতে না পারে। বাতাস ভিতরে ঢুকলে ঘরের ভিতরের ভারী জিনিসপত্রও পড়ে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারেন।
২. ছোট বাচ্চাদের ও গরুবাছুরকে পরিবারের যেকোন সদস্যকে দিয়ে আগেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিন, যাতে শেষ মুহূর্তে তাদেরকে নিয়ে কোন প্রকার বাঁধা বিপত্তির বা দূর্ঘটনার সম্মুখীন হতে না হয়।
৩. আশ্রয়কেন্দ্রে বা বাড়িতে শিশুদের চোখে চোখে রাখুন, যাতে বাইরে বা পানির ধারে না যেতে পারে।
৪. দূর্যোগের সময় বৈদ্যুতিক খুঁটির কাছে যাবেন না। ঘরের বৈদ্যুতিক মেইন সুইস বন্ধ করে রাখুন।
৫. দূর্যোগের সময় বাজার, দোকানপাট বন্ধ থাকতে পারে। জলোচ্ছ্বাসে বাড়িতে পানি উঠতে পারে। টিউবওয়েল ডুবে যেতে পারে। তাই কয়েকদিন খাদ্য সংকট না হয় মতো চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট জাতীয় শুকনো খাবার ও বোতলে করে পর্যাপ্ত টিউবওয়েলের বিশুদ্ধ পানি জমিয়ে সাথে রাখুন।
অনিরাপদ পানি পান করলে ডায়রিয়া আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
৬. জলোচ্ছ্বাস হলে বাড়ির ভিতর সাপের ভয় থাকে। অতএব, সতর্ক থাকতে হবে।
৭. মোবাইলে চার্জ পূর্ণ রাখবেন। ইন্টারনেট, ফেসবুক ব্যবহার হতে বিরত থাকুন। এতে আপনার মোবাইলে চার্জ দীর্ঘসময় থাকবে। এতে অন্ধকারে মোবাইলের টর্চ লাইট ব্যবহার করতে পারবেন।
৮. বড় ডেকচি/পাতিল, কলসি হাতের কাছে রাখবেন। জলোচ্ছ্বাস হলে এগুলো আপনাকে ভেসে থাকতে সাহায্য করবে।
৯. যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে, যানবাহন না পেতে পারেন।
তাই আপনার সচেতনতা ও পূর্ব প্রস্তুতিই দূর্যোগকালীন সময়ে আপনার স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে পারে।
অনুরোধক্রমেঃ
ডাঃ শোভন দত্ত
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা,
চকরিয়া, কক্সবাজার।
চকরিয়া জমজম হাসপাতালে রোজাদারের সম্মানে ইফতার মাহফিল

চকরিয়া জমজম হাসপাতালে রোজাদারের সম্মানে ইফতার মাহফিল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দক্ষিণ চট্টগ্রামের কম খরচে উন্নত চিকিৎসা সেবার প্রসিদ্ধ প্রতিষ্ঠান চকরিয়া জমজম হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় রোজাদার চিকিৎসক, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের সম্মানে মাহে রমযানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল হাসপাতাল মিলনায়তনে সম্পন্ন হয়েছে। 

শনিবার (১৫এপ্রিল) হাসপাতালের ডাইরেক্টর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার নূর হোসেনের সভাপতিত্বে ও জমজম হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম কবিরের সঞ্চালনায় শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন ডাইরেক্টর জি.এম রুকুন উদ্দিন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম। 

বিশেষ অতিথি হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, অর্থ পরিচালক এহসানুল আনোয়ার, ম্যানেজার রফিক সিদ্দিকী, জমজম হাসপাতালের প্রসূতি, গাইনী ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন সুপারিয়েনটেন্ট কনসালটেনট ডাঃ ফয়জুর রহমান, প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন কনসালটেন্ট ডাঃ নাসিমা আকতার, মেডিসিন ডায়াবেটিক ও হরমোন বিশেষজ্ঞ ডাঃ জাহিদুল ইসলাম খান, শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ  হেনরিয়েটা গোমেজ, এনেস্থিসিয়া ডাঃ সাদ্দাম হোসেন স্মরণ, মেডিকেল অফিসার ডাঃ প্রবাল বড়ুয়া ও ডাঃ শিহাবুজ্জামানসহ হাসপাতালের শেয়ার হোল্ডারগণ উপস্থিত ছিলেন। 

পরে হাসপাতালের সফলতা ও সমৃদ্ধি এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ বিশেষ দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করেন বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাওলানা কফিল উদ্দিন এম.এ। 

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে চান্স পেলো মোহাম্মদ তায়েফ

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে চান্স পেলো মোহাম্মদ তায়েফ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

এম.বি.বি.এস ভর্তি পরীক্ষায় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছে মোহাম্মদ তায়েফ।

কৃতি শিক্ষার্থী তায়েফ চকরিয়ার খুটাখালী নিবাসী ডুলাহাজারা ইসলামিয়া আরবিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা মুহাম্মদ নাছির উদ্দিনের বড় ছেলে।

তায়েফ অষ্টম শ্রেণির জে.এস.সিতে জিপিএ-৫সহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি, এস.এস.সি ও এইচ.এস.সিতে গোল্ডেল জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাক্ষর রাখে। সে (তায়েফ) দেশের স্বাস্থ্যসেবায় চিকিৎসা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে একজন আদর্শ চিকিৎসক হতে চায়।

এম.বি.বি.এসেও সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে ছেলের জন্য গর্বিত মা-বাবা সকলের দোয়া কামনা করেছেন।
সেন্ট্রাল কেয়ার হসপিটাল চকরিয়া শাখার উদ্বোধন

সেন্ট্রাল কেয়ার হসপিটাল চকরিয়া শাখার উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চকরিয়া পৌরশহরের ঐতিহ্যবাহী খোদারকুম পুকুর সংলগ্ন বহুতল ভবনে উদ্বোধন করা হয়েছে সেন্ট্রাল কেয়ার হসপিটাল চকরিয়া শাখা। একইদিন উপজেলার বরইতলী নতুন রাস্তা মাথাস্থ দ্বিতীয় শাখাটিও উদ্বোধন করা হয়। 

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকাল তিনটায় ফিতা কেটে এ হসপিটালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চকরিয়া পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম এমপি। এরআগে তিনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। 

হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ ফয়সাল কায়েস মুন্নার সার্বিক তত্ত্বাবধানে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) মো. তফিকুল আলম, চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী, বমুবিলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মনজুরুল কাদের ও চিরিঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান জামাল হোসেন চৌধুরী। এসময় হসপিটালের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরে অতিথিবৃন্দ হাসপাতালের ইনডোর, আউটডোর, অপারেশন থিয়েটার, ডক্টরস রুম-ল্যাবসহ বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন। 

সেন্ট্রাল কেয়ার হসপিটাল চকরিয়া শাখার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এম.ডি) ডাঃ ফয়সাল কায়েস মুন্না জানান; নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সীমিত খরচে উন্নত ও আধুনিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে চকরিয়া সেন্ট্রাল কেয়ার হসপিটালের মূল লক্ষ্য। এ প্রতিষ্ঠান প্রসূতি মাসহ সর্বস্তরের রোগিদের দিবারাত্রি চিকিৎসা সেবায় বদ্ধ পরিকর।

চকরিয়ায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত যুবকের পার্কভিউতে প্রাণহাণি

চকরিয়ায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত যুবকের পার্কভিউতে প্রাণহাণি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চকরিয়ায় ডেঙ্গুতে মারা গেছে সাইফুল ইসলাম খোকন (৩৬) নামের এক যুবক। তিনি চকরিয়া পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের উত্তর সিকদারপাড়ার বাসিন্দা। সাইফুল ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি  করা হয়। এতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একইদিন রাত সাড়ে ৭টার দিকে এশার নামাযের পর লক্ষ্যারচর সিকদারপাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে সাইফুল ইসলাম খোকনের নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে তার মৃতদেহ স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চকরিয়া জমজম হাসপাতালে চলছে সেবা মাস

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চকরিয়া জমজম হাসপাতালে চলছে সেবা মাস

শাহজালাল শাহেদ (চকরিয়া টাইমস) : 

দক্ষিণ চট্টগ্রামের উন্নত চিকিৎসা সেবার প্রসিদ্ধ প্রতিষ্ঠান চকরিয়া জমজম হাসপাতালে মহান বিজয় দিবস-২০২২ উপলক্ষে শুরু হয়েছে সেবা মাস। শুক্রবার (১৬ডিসেম্বর) হাসপাতাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা সভা। এতে ১৫দিনের এ সেবা মাস ঘোষণা করেন আলোচনা সভার সভাপতি জমজম হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম কবির। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) ও জমজম হাসপাতালের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার নূর হোসেন। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্যে বলেন, জমজম হাসপাতাল এই এলাকার সর্বস্তরের মানুষের প্রাণের প্রতিষ্ঠান। সাধারণ মানুষের সেবার উদ্দেশ্য আমরা হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করেছি। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে এই হাসপাতাল কক্সবাজার ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষকে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা এ হাসপাতালকে বারডেম হাসপাতালের আদলে উচ্চমানের আধুনিক হাসপাতালে পরিণত করতে চাই। তাই এ অগ্রযাত্রায় স্থানীয় এমপি মহোদয়সহ জনপ্রতিনিধি ও সর্বস্তরের মানুষের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। এই হাসপাতালে নিত্য নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজনের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসা সেবাকে সহজলভ্য করে সকলের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চাই। তিনি হাসপাতালের এমডিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সাথে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে বিজয় দিবস সেবামাসের শুভ উদ্বোধন করেন।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পরিচালক প্রশাসন মাওলানা আব্দুল করিম, হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ মো. ফয়জুর রহমান, সাবেক পরিচালক আ.ন.ম শহিদুল ইসলাম ও ম্যানেজার রফিক সিদ্দিকী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন পরিচালক অর্থ এহছানুল আনোয়ার। 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম কবির সভাপতির বক্তব্যে বলেন, জমজম হাসপাতাল এই এলাকার সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত ও সর্ববৃহৎ প্রাইভেট হাসপাতাল। এ হাসপাতালে ৩০/৩৫ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। এখানে সার্বক্ষণিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, সিটি স্ক্যান, কিডনি ডায়ালাইসিস, উন্নত মানের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ থাকার কারণে এলাকার সাধারণ মানুষ ঢাকা-চট্টগ্রাম না গিয়ে সহজেই উন্নত চিকিৎসা সেবার সুযোগ পাচ্ছে। ভোগান্তি কমাতেই মূলত এ মহান উদ্যোগ গ্রহণ করে জমজম হাসপাতাল। তিনি মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সর্বস্তরের জনগণের চিকিৎসা সেবার সুবিধার্থে ১৬ডিসেম্বর থেকে ৩১ডিসেম্বর পর্যন্ত পনেরো দিনের সেবামাস ঘোষণা করেন। হাসপাতালের সবধরনের ডায়াবেটিস পরীক্ষা ৪০% ছাড়, প্যাথলজিতে ৩৫% ছাড়, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ফি ৩০০ টাকা, ইনডোর বিল ১৫%-২০% পর্যন্ত ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। সর্বস্তরের জনসাধারণ ৩১ডিসেম্বর পর্যন্ত ঘোষিত সেবামাসে কম খরচে চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন বলে তিনি আশ্বস্থ করেন। 

এদিকে জমজম হাসপাতালের সেবামাসের সফলতা কামনা করে স্কাউপির মাধ্যমে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের এমপি আলহাজ্ব জাফর আলম হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট সকলকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।


চকরিয়ায় পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে এডভোকেসি সভা

চকরিয়ায় পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে এডভোকেসি সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চকরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আয়োজনে পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ ১৭ থেকে ২২ ডিসেম্বর'২০২২ইং উপলক্ষ্যে এডভোকেসি সভা মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) উপজেলার মোহনা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ানের সভাপতিত্বে ও চিরিংগা ও লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরির্দশক মোঃ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আবদুল জব্বার, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার ফারহান তাজিম, উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাশেদুল আলম প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। 

এছাড়া সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

ভারতে হারবালের সফল চিকিৎসকের সম্মাননা ক্রেস্ট পেলেন চকরিয়ার কবিরাজ ফজল করিম

ভারতে হারবালের সফল চিকিৎসকের সম্মাননা ক্রেস্ট পেলেন চকরিয়ার কবিরাজ ফজল করিম

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চকরিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে হারবাল চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় সফল কবিরাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ভারত থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ পেয়েছেন চকরিয়া পৌরশহরের প্রসিদ্ধ ইউনানী প্রতিষ্ঠান চকরিয়া ঔষুধালয় হারবাল সেন্টারের স্বত্ত্বাধিকারী বিশিষ্ট সমাজ সেবক আলহাজ্ব মোহাম্মদ ফজল করিম চৌধুরী। 

গত ২৩নভেম্বর (বুধবার) ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে ভারতের বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রীট কোলকাতার মহাবোধি সোসাইটি মিলনায়তনে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত দুই বাংলার মিলন মেলা-২০২২ এর বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে তিনি এ সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেন। দুই বাংলার অসংখ্য গুণীদের সম্মানে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ অ্যাসোসিয়েশন ও সাউথ এশিয়া বিজনেস পার্টনারশীপ প্রতিষ্ঠান। এতে সেখানকার পশ্চিম বঙ্গ রাজ্য সরকারের মন্ত্রীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 

চকরিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা চকরিয়া পৌর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সদস্য কবিরাজ ফজল করিম নিজ এলাকায় একজন নিঃস্বার্থ সমাজসেবক হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। 

এদিকে ভারতে হারবালের সফল চিকিৎসকের সম্মাননা পুরস্কার লাভ করায় মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করে বলেন, ইউনানী আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা সেবায় সফলতার এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সকলের কাছে আন্তরিক দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন। 


রোগীদের কষ্ট লাঘবে চকরিয়া জমজম হাসপাতালে লিফট সেবা চালু

রোগীদের কষ্ট লাঘবে চকরিয়া জমজম হাসপাতালে লিফট সেবা চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দক্ষিণ চট্টগ্রামের উন্নত চিকিৎসা সেবার উপজেলার প্রথম প্রতিষ্ঠান চকরিয়া জমজম হাসপাতালে নতুন সংযোজনে চালু করা হয়েছে লিফট সেবা। একাধিক ফ্লোরে যেতে সিঁড়ি বেয়ে উঠা নামা দুঃসাধ্যকর ব্যক্তিদের জন্য এ লিফট সেবা অনেকটা কষ্ট লাঘব হবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য সচেতন বিশ্লেষকরা। 

শনিবার (১৯ নভেম্বর) এটি উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে প্রযুক্তিগতভাবে আরো একধাপ এগিয়ে গেলো জমজম হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা এমনটি মন্তব্য করেন সাধারণ মানুষ। 

নতুন লিফট সেবা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন জমজম হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডাঃ এ.কে এম ফজলুল হক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম কবির। 

এসময় হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, পরিচালক অর্থ মোঃ এহছানুল আনোয়ার, পরিচালক প্রশাসন মাওলানা মোঃ আবদুল করিম ও  ম্যানেজার রফিক ছিদ্দিকীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও চিকিৎসকগণ উপস্থিত ছিলেন।

চিকিৎসার জন্য ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু মোবারকের দরকার অনেক টাকা!

চিকিৎসার জন্য ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু মোবারকের দরকার অনেক টাকা!

চকরিয়া টাইমস : 

তিন বছরের ছোট্ট শিশু মোবারকের পা গেলো ক্যান্সারে, চিকিৎসার জন্য দরকার অনেক টাকা। বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে রও কিছুদিন সুস্থভাবে বাচঁতে পারবে মোবারক। 

চকরিয়ায় ক্যান্সারে আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচাতে আকুতি জানালেন হতভাগা বাবা ইব্রাহিম। 

মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৩ বছরের শিশু মোহাম্মদ মোবারক হোসাইনের ডান পা অবশেষে কেটে ফেলা হয়েছে। এ নিষ্পাপ অবুঝ শিশুটি এখন তার দুই হাতে ভর দিয়ে এক পায়ে দাঁড়াতে পারে।

মোবারক হোসাইন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউপির ৯নং ওয়ার্ড ভিলেজার পাড়া এলাকার বাসিন্দা হত-দরিদ্র দিনমজুর মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ছেলে। 

এ জন্মদাতা পিতা গত একবছর যাবত ছেলে সুস্থ হবে আশায় সমস্ত টাকা পয়সা ছেলের চিকিৎসায় খরচ করলেও মোবারক হোসাইনের ডান পা অবশেষে কেটে ফেলতে হয়েছে।  বর্তমানে এখন তিনি নিঃস্ব প্রায়।

ইব্রাহিম আরও জানান, তার ছেলে বাঁচতে চায়, চিকিৎসকরা বলেছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশু মোবারককে দেশের বাহিরে নিতে হবে, চিকিৎসা করাতে হবে, সে ক্ষেত্রে অনেক টাকার প্রয়োজন, চিকিৎসার জন্য সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তবান ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সাহায্যের করুণ আকুতি জানিয়েছেন হতভাগা এ বাবা।

শিশু মোবারক হোসাইন কথা বলতে জানলেও কথা বলেনা, কিছু জিজ্ঞাসা করলে নীরব থাকে শুধু হাউ মাউ করে কান্নাকাটি করে কি যেন বলতে চায়! 

অতি সম্প্রতি সময়ে ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে বাড়িটাও ভেঙ্গে গেছে। এখন সহায় সম্বল বলতে তেমন কিছু অবশিষ্ট নেই তার। ইব্রাহিমের চারটি সন্তান রয়েছে। সকলের দোয়া ও সহযোগিতায় মরণব্যাধি ক্যান্সার থেকে শিশু মোবারক সুস্থ হলে তার অন্য  ছেলেগুলোর মত মোবারক হোসাইনকে হাফেজ খানায় ভর্তি করাবেন।

শিশুটিকে সাহায্য পাঠাতে চাইলে পিতা; মোহাম্মদ ইব্রাহিম হিসাব নং-০২০০০১৮৮২২৮৫৫, অগ্রণী ব্যাংক চকরিয়া, আজিজনগর শাখা। অথবা ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বর-০১৮৮৩৩৬৬৪১৫।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত চকরিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা সফুর আলমকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চট্টগ্রাম

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত চকরিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা সফুর আলমকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চট্টগ্রাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের ৩নং ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক সফুর আলমকে চট্টগ্রাম পলি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি এরআগে চকরিয়া পরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করেন। 

এতে তার অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম পলি হাসপাতালে স্থানান্তর করেন জেলা সদর হাসপাতোলের কর্তব্যরত চিকিৎসক। এদিকে তার পরিবার আশু সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন। 

তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আরিফ মাঈনুদ্দিন রাসেল। তিনি জানান, তার চট্টগ্রামে যাবতীয় চিকিৎসার দায়-দায়িত্ব নিচ্ছেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের এমপি আলহাজ্ব জাফর আলম। 

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ নেতা সফুর আলম সপ্তাহ খানেক আগে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হন। এরপর ধীরে ধীরে অবনতি হতে থাকে তার শরীর।

চকরিয়ায় চারশতাধিক পল্লী চিকিৎসকদের নিয়ে জমজম হাসপাতালের দিনব্যাপী কর্মশালা

চকরিয়ায় চারশতাধিক পল্লী চিকিৎসকদের নিয়ে জমজম হাসপাতালের দিনব্যাপী কর্মশালা

শাহজালাল শাহেদ (চকরিয়া টাইমস) : 

চকরিয়া জমজম হাসপাতালের আয়োজনে উপজেলার চার শতাধিক পল্লী চিকিৎসকদের নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা হাসপাতাল মিলনায়তনে সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার (১২অক্টোবর) বায়োফার্মা, রেডিয়েন্ট ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সৌজন্যে অনুষ্ঠিত কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম কবির। 

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের প্রসূতি-স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ও আবাসিক সার্জন ডাঃ মোঃ ফয়জুর রহমান, লিভার পরিপাকতন্ত্র ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ হুমায়ুন কবির, সিনিয়র কনসালটেন্ট প্রসূতি-স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ নাছিমা আক্তার, নবজাতক ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ হেনরিয়েটা গোমেজ, পল্লী চিকিৎসক সমিতি চকরিয়া উপজেলা সভাপতি খাইরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার কামাল, পল্লী চিকিৎসক নেতা জামাল উদ্দিন প্রমুখ। 

এসময় চকরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিধান কান্তি রুদ্র, জমজম হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, পরিচালক (প্রশাসন) রিয়াজ মোঃ রফিক সিদ্দিকী, পরিচালক (অর্থ) এহসানুল আনোয়ার, পরিচালক জি.এম রোকন উদ্দিনসহ হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও চিকিৎসকগণ উপস্থিত ছিলেন।           


চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার মান বাড়াতে টিআইবি’র ক্যাম্পেইন

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার মান বাড়াতে টিআইবি’র ক্যাম্পেইন

চকরিয়া টাইমস : 

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ভ্রাম্যমান তথ্য ও পরামর্শ বিষয়ক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-টিআইবি চকরিয়ার ইয়েস গ্রুপের পরিচালনায় ভ্রাম্যমান তথ্য ও পরামর্শ বিষয়ক ক্যাম্পেইন এর উদ্বোধন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শোভন দত্ত। সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত চলমান উক্ত ক্যাম্পেইনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) চকরিয়ার সভাপতি বুলবুল জান্নাত শাহিন, সহ-সভাপতি জারিয়াতুল মোস্তফা, সনাক সদস্য ফয়সল উদ্দিন আহমদ ও হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তারবৃন্দ।

সনাক-টিআইবি মনে করে অবাধ তথ্য প্রবাহ দুর্নীতি প্রতিরোধের পূর্বশর্ত। হাসপাতালের সেবা গ্রহীতাগণ যাতে অতিসহজে হাসপাতালের বিভিন্ন সেবা সম্পর্কে অবহিত হতে পারে এবং সঠিক সেবা গ্রহণ করতে পারে সেই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে উক্ত ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়। সনাক চকরিয়ার ইয়েস গ্রুপের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত উক্ত ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্রায় ৪শতাধিক সেবা গ্রহীতা ও তাদের পরিবারের সদস্যগণ চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন সেবা সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন। ভ্রাম্যমান তথ্য ও পরামর্শ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে যেসকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করা হয় তারমধ্যে অন্যতম হলো, ‘টিকেট কাউন্টার, ল্যাবরেটরি, জরুরী বিভাগ, নার্স স্টেশন, অ্যাম্বুলেন্স, ইপিআই, কোভিড ভ্যাকসিনেশন, এনসিডি, নরমাল ডেলিভারী, সিজারিয়ান সেবা, আন্তবিভাগে ভর্তি ও বহিঃবিভাগে সেবা গ্রহণ ইত্যাদি। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শোভন দত্ত সনাক-টিআইবি চকরিয়ার ইয়েস গ্রুপের এই আয়োজনকে স্বাগত জানান এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সনাক-টিআইবি’র উদ্যোগে আরো গঠনমূলক কার্যক্রম আয়োজনের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-টিআইবি চকরিয়া হাসপাতালের যাবতীয় সেবার তথ্য সম্বলিত একটি তথ্যপত্র প্রকাশ করে এবং ইয়েস সদস্যদের মাধ্যমে সেটি হাসপাতালে আগত সকল সেবা গ্রহীতাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। ভ্রাম্যমান তথ্য ও পরামর্শ বিষয়ক ক্যাম্পেইন পরিচালনায় দায়িত্ব পালন করেন ইয়েস দলনেতা কহিন আল ইসলাম, সহ-দলনেতা নুরুল কবির মিলন ও সাদিয়া সোলতানা রিফাত, ইয়েস সদস্য তানজিনা আফরিন রোকেয়া, নিলু মনি, জান্নাতুন নায়ীম মারজান, রায়হানুল ইসলাম, আবু সৌরভ, মোজাহিদ হোছাইন, সৌরভ আফ্রিদী শাকিল, নুর মোহাম্মদ এবং এসিজি সদস্য নার্গিস সোলতানা, প্রসেনজিৎ ধর রুবেল, রিমন দাশ, সুজয় দাশ প্রমুখ।

করোনা রোধকল্পে টিকা গ্রহণের হার বাড়াতে চকরিয়ায় আইএসডিই’র এডভোকেসি সভা

করোনা রোধকল্পে টিকা গ্রহণের হার বাড়াতে চকরিয়ায় আইএসডিই’র এডভোকেসি সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আইএসডিই বাংলাদেশ’র উদ্যোগে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে টিকা গ্রহণের হার বাড়াতে জনসচেতনা তৈরির লক্ষ্যে স্বাস্থ্য বিভাগ, সংশ্লিষ্ট সরকারীদপ্তর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে সাথে এক এডভোকেসি সভা সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) চকরিয়াস্থ বিআরডিবি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আইএসডিই কর্মসূচি সমন্বয়কারী জাহাংগীর আলমের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী।  

বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা পেশ করেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিধান কুমার রুদ্র, উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মেহাম্মদ মনিরুজ্জামান, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার আবদুল মতিন ও সহকারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ নুরুল আনোয়ার।

আলোচনায় অংশগ্রহন করেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক ওছমান গণি, সূর্যের হাসি ক্লিনিক ম্যানেজার মামুনুল ইসলাম, চকরিয়া উপজেলা পল্লী চিকিৎসক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার কামাল, মেরি স্টোপসের রাশেদুল হাসান, এনএসএস মা ও শিশু স্বাস্থ্য ক্লিনিকের বিজন কুমার বিশ্বাস, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয়ের প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম, সাংবাদিক শাহজালাল শাহেদ, এম. নুরুদ্দোজা, জামাল হোসাইন, নারী নেত্রী আনারকলি জলদাস, জালাল উদ্দীন, সুধীর চন্দ্র দাশ আবদুল্লাহ মোঃ ফাহিম প্রমুখ।  বক্তারা কোভিড সংক্রমণরোধে ভ্যাকসিন গ্রহণের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, চকরিয়া উপজেলায় এখনও বিপুল সংখ্যক মানুষ টিকার বাহিরে রয়েছে। ভ্যাকসিন গ্রহনের হার বৃদ্ধিতে সচতনতার বিকল্প নাই। সচেতনতা বৃদ্ধিতে সকলেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার অঙ্গিকার করেন। সরকারী বেসরকারী সমন্বয়ের মাধ্যমে সেবার মানোন্নয়ন জরুরী। 

সরকারী বেসরকারী কার্যক্রমের সমন্বয়ের মাধ্যেম সুবিধা বঞ্চিত ও দুর্গম এলাকার মানুষের কাছে স্বাস্থ্য সেবা দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার উপর বক্তারা গুরুত্ব আরোপ করেন। "বাদ যাবে না কেউ" এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত কোভিড টিকা ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতনতা কার্যক্রম গ্রহণের আহবান জানানো হয়। 

সভায় সরকারী কর্মকর্তা, স্বাস্থ্যকর্মী, বেসরকারী স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, নারী নেত্রী, তরণ সমাজের প্রতিনিধিসহ মোট ৩২ জন অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, আইএসডিই বাংলাদেশে এনজিও‘দের সমন্বয়কারী প্রতিষ্টান এডাব ও ইউনিসেফ-এর সহায়তায় “কোভিড়-১৯ প্রতিরোধঃ ঝুঁকি নিরুপণ যোগাযোগ, জনসম্পৃক্ততা এবং টিকা-বার্তা যোগাযোগ জোরদারকরণ” শীষক একটি প্রকল্প চকরিয়া উপজেলায় বাস্তবায়ন করছে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।

এমবিবিএস পাশ করেছে সাংবাদিক নুরুদ্দোজার ভাতিজি রুকসা

এমবিবিএস পাশ করেছে সাংবাদিক নুরুদ্দোজার ভাতিজি রুকসা

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চকরিয়ার কর্মরত সাংবাদিক মোহাম্মদ নুরুদ্দোজা জনির ভাতিজি তাসকিয়া জান্নাত রুকসা এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
ডাঃ রুকসা চকরিয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড ফুলতলার বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ লেদুর দ্বিতীয় কন্যা এবং মরহুম নুরুল কবির রেঞ্জারের সুযোগ্য নাতনি।
জাতীয় শোক দিবসে চকরিয়া রয়েল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা

জাতীয় শোক দিবসে চকরিয়া রয়েল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে চকরিয়া রয়েল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনায় সাড়ে তিন শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ আগস্ট) প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম সোহেল ও সহধর্মিণী ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাছরিন জান্নাত শাওনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সারাদিন ফ্রি এ মেডিকেল ক্যাম্প সম্পন্ন হয়।

এতে মেডিসিন, বাথ-ব্যাথা, হৃদরোগ, লিভার কিডনী, ডায়াবেটিস, নাক, কান, গলা, চর্ম-যৌন, মা ও শিশু রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন ডাঃ মোঃ সাইদুল ইসলাম, ডাঃ তাহমিনা আকতার ও ডাঃ মোঃ নকিবুল আবছার চৌধুরী।

প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাছরিন জান্নাত শাওন জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। এ ক্যাম্পে ব্যাপক রোগীর সাড়া মিলেছে। আমরাও আমাদের চিকিৎসক দ্বারা তাদের সুন্দরভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, চকরিয়া পৌরসভার মেইন রোডের পশ্চিম পাশে হাসপাতাল রোড়ের উত্তর পাশে হাঁচু মিয়া মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় চকরিয়া রয়েল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সকল প্রকার ল্যাব পরীক্ষায় ৫০% ছাড় দেওয়া হয় এবং আল্ট্রাসোনোগ্রাফী মাত্র ৫০০ টাকা করে নেওয়া হয়। এছাড়া গাইনী রোগীদের জন্য মহিলা ডাক্তার দ্বারা গাইনী রোগের চিকিৎসা এবং সাশ্রয়ী মূল্যে আল্ট্রা করা হবে বলে তিনি জানান।

গুরুতর অসুস্থ আমিন মুন্সীর আশু সুস্থতায় দোয়া কামনা

গুরুতর অসুস্থ আমিন মুন্সীর আশু সুস্থতায় দোয়া কামনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

চকরিয়া থানা সেন্টারের সর্বমহলে পরিচিত ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় অভিজ্ঞ এজাহার লিখক বিএনপি নেতা নুরুল আমিন মুন্সী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।

তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ।

এদিকে পিতার আশু সুস্থতা কামনায় সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন নুরুল আমিন মুন্সির ছেলে চকরিয়া পৌরসভা বিএনপির সদস্য ও ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক ছাত্র ও যুবনেতা জাহাঙ্গীর আলম।

আবারো চকরিয়া সিটি হাসপাতালে অভিযান : বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ৫টি ক্লিনিক

আবারো চকরিয়া সিটি হাসপাতালে অভিযান : বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ৫টি ক্লিনিক

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চকরিয়া সিটি হাসপাতালে আবারো অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে না পারায় পনেরো দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র উপস্থাপন করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষতে সুযোগ দেয়া হয়। রোববার (২৯ মে) উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে নিবন্ধন না থাকায় উপজেলার ৫টি ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন নিশ্চিত করেন। 

রোববার অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাহাতুজ্জামান দিপু ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ডাঃ শোভণ দত্ত।  এসময় আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইফতেখারুল ইসলাম ও ডাঃ সাইমুল ইসলামসহ সেনিটারি ইনস্পেক্টর ও পুলিশদল উপস্থিত ছিলেন।  

উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রোববার চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নির্দেশনায় উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরিদর্শন ও অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নিবন্ধন না থাকায় উপজেলার পৌরশহরের একুশে ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেন্ট্রাল হাসপাতাল, বদরখালী মর্ডান ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, বদরখালী ল্যাব হাউস, বদরখালী জেনারেল হাসপাতাল ল্যাব পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সিলগালা করে বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়া চকরিয়া ম্যাক্স হাসপাতাল, সিটি হাসপাতাল, শেভরন হাসপাতালকে উপযুক্ত ডক্যুমেন্টস  দাখিলের জন্য ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়। তাছাড়া অন্যান্য  হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল ল্যাবগুলোতে পরিদর্শন চলতি সময়েই করা হবে। 

এদিকে এরআগেও ১৬ মে চকরিয়া সিটি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ডাঃ মাঈন উদ্দিন নামে জনৈক ফরিদ উদ্দিন নামে একজন ভূয়া চিকিৎসককে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত। ধৃত ফরিদ ভূয়া প্রমাণিত হলে ভ্রাম্যমান আদালত তাকে ১বছরের কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তৎসময় জরিমানা অনাদায়ে আরো ১বছরের অতিরিক্ত সাজা প্রদান করা হয়। তবে সিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেন, ডাঃ মাঈন উদ্দিন নামে জনৈক ফরিদ উদ্দিন সিভি জমা দেন। ওইসময় তার কাগজপত্র সন্দেহ হলে তাকে পুলিশে সোপর্দ করতে সংশ্লিষ্ট সহযোগিতা গ্রহণ করি।  

এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ডাঃ শোভণ দত্ত জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এই অভিযান পরিচালনায় স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ একযোগে কাজ করেছে। তবে জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে লাগামহীন বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে  স্বাস্থ্য বিভাগের এই অভিযান অব্যাহত রাখার কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।