Showing posts with label কক্সবাজার. Show all posts
Showing posts with label কক্সবাজার. Show all posts
বৈষম্যহীন ও সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে শ্রমিক সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে : মুহাম্মদ শাহজাহান

বৈষম্যহীন ও সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে শ্রমিক সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে : মুহাম্মদ শাহজাহান

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আলহাজ¦ মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, এদেশে সব ধর্মের-বর্ণের মানুষ মিলেমিশে আছি। বাংলাদেশ আমাদের সবার। আমরা সোচ্চারভাবে বলেছি বাংলাদেশে কোনো মেজরিটি এবং মাইনোরিটি মানি না। এদেশে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন তারা সবাই এদেশের গর্বিত নাগরিক। মাইনোরিটি শব্দটি ব্যবহার করে দেশের বাইরে থেকে একটি গোষ্ঠী তাদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়। আমরা একটি বৈষম্যহীন ও সাম্যের বাংলাদেশ গঠন করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দিতে হবে। আমরা দেশের মানুষের সেবা করার জন্য সবার সহযোগিতা চাই। এই দেশ নতুনভাবে গড়তে হবে। এই দেশ গড়তে হলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ কলঙ্কমুক্ত কিছু মানুষ দরকার। সংস্কার এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে।

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের ত্যাগ এখনও শেষ হয় নাই। আরও অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। যে জাতির নেতারা ঘুমিয়ে থাকে সে জাতি যে কোনো সময় বিপদের সম্মুখীন হতে পারে। তাই জাতির যে কোন ক্রান্তিকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে আজকের শ্রমিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। 

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কক্সবাজার জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।  

জেলা শ্রমিক কল্যাণের সভাপতি শামসুল আলম বাহাদুরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ মুহসিনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কক্সবাজারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি লস্কর মুহাম্মদ তসলিম, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এসএম লুৎফর রহমান, জেলা উপদেষ্টা এডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, জাহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী কক্সবাজার শহর শ্রমিক কল্যাণের প্রধান উপদেষ্টা আবদুল্লাহ আল ফারুক ও উপদেষ্টা জাকির হোসাইন। 

এসময় শ্রমিক কল্যাণের জেলা সহ-সভাপতি সাইদুল আলম, শহিদুল মোস্তফা চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম হাসান, শহর সভাপতি সরওয়ার কামাল সিকদার, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক এম.ইউ বাহাদুর, পরিবহন শ্রমিক নেতা মো. শাহজাহান, মো. শাহজাহান ও জসিম উদ্দিন।


দেশের জনগণ দুর্নীতিবাজদের হাতে আর ক্ষমতা ছেড়ে দিবেনা : হামিদুর রহমান আযাদ

দেশের জনগণ দুর্নীতিবাজদের হাতে আর ক্ষমতা ছেড়ে দিবেনা : হামিদুর রহমান আযাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক সংসদ সদস্য এ.এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, বৈষম্যহীন কাংখিত বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের জনগণ আর কখনও দুর্নীতিবাজদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিবেনা। জনগণের সরকার গঠনের মাধ্যমে প্রত্যেক হত্যাকান্ডের বিচার করা হবে ইনশাআল্লাহ। জুলাই বিপ্লবে যারা জীবন দিয়ে বাংলাদেশেকে ফ্যাসিস্টের হাত থেকে মুক্ত করেছে তারা জাতির বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আজীবন সম্মানের সাথে স্মরনীয় হয়ে থাকবে।

তিনি বলেন, ৫৩ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও সাম্য, সমতার সুফল পায়নি জনগণ। সংবিধানে বলা আছে আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান, অথচ নিরাপদে কেউ বসবাস করতে পারেনি, ব্যবসা বানিজ্য করেতে পারেনি, আইন করে একটি পরিবারের জন্য প্রটোকল দেওয়া হয়েছে নির্লজ্জভাবে,রাস্তা ঘাট,ইজারাদার দখল,হাট বাজার দখল,ভুমি অধিক গ্রহণের টাকা লুটপাট, এসব অপমান আ'লীগের নেতাকর্মীদের জন্য হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এখন সজাগ এবং সতর্ক, এদেশের জনগণ আর কখনো দূর্নীতিবাজদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিবেনা, নেতৃত্ব নির্বাচনে ভুল করবেনা এদেশের জনগণ। ৮৫%সম্পদ গুটি কয়েক লোকের হাতে আর ১৫%সম্পদ দিয়ে সিংহভাগ মানুষ জীবন ধারণ করে, ৬০হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে তারা। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সবাইকে দ্বীনের দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌছে দিতে সকলের ঐক্যের প্রাচীর গড়ে তুলতে হবে।

গতকাল মঙ্গলবার মহেশখালী উপজেলা দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে মহেশখালী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত কর্মী ও সহযোগি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহেশখালী উপজেলা দক্ষিণ জামায়াতের আমীর মাস্টার শামীম ইকবালের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি হাফেজ আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় বিশাল কর্মী সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে জাতীকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস চালিয়ে ১৫টি বছর,জোরজার মুল্লুক তার নীতিতে তারা নির্বাচন করেছে, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ছিলনা,তারা জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে ক্ষমতা স্থায়ী করতে চেয়েছিলেন।
১৫বছর যারা অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করেছিল, বাংলাদেশে রাজনীতি করার নৈতিক কোন অধিকার রাখে না, ৫৭জন সেনা সদস্য হত্যা,২৮ অক্টোবর ট্রাজেডি,৫ই আগষ্ট আলেম হত্যার মাস্টার মাইন্ড, আগস্ট বিপ্লবে গণহত্যার জন্য দায়ী খুনি হাসিনার বিচার বাংলার মাটিতেই করা হবে বলে তিনি হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন আ'লীগের নেত্রী শেখ হাসিনাকে।

এতে বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমীর সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী, কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, জেলা শ্রমিক কল্যাণের সভাপতি শামসুল আলম বাহাদুর, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য জাকের হোসাইন, মহেশখালী উপজেলা উত্তরের আমীর মাস্টার নজরুল ইসলাম, কক্সবাজার শহর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা কামরুল হাসান, মহেশখালী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আজিজুল হক, কুতুবদিয়া উপজেলা আমীর আ.স.ম শাহরিয়ার চৌধুরী, এডভোকেট নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
"জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে বৈষম্যমুক্ত দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে" : মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান

"জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে বৈষম্যমুক্ত দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে" : মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান

হ্নীলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলন 

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন,  আ'লীগ পনেরো বছরের শাসনামলে দেশের প্রতিটি সেক্টর কে কলুষিত করে ফেলেছে। দেশের শাসন ব্যবস্থাকে একদলীয় রূপ দিয়ে জনগণের নূন্যতম গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ পরিচালনা করেছে। সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করে জাতীয় ঐক্য কে ভেঙে চুরমার করে ফেলেছিল। এহেন দুঃসহ পরিস্থিতি থেকে দেশের মানুষ কে মুক্তি এনে দিয়েছে তরুণ ছাত্র -জনতা। তাই তরুণ প্রজন্মের বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ গঠনে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে সকল দলমত নির্বিশেষে এগিয়ে আসতে হবে। 

জামায়াতে ইসলামী টেকনাফ উপজেলা হ্নীলা ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে আয়োজিত শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। 

ইউনিয়ন আমীর মাওলানা গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী, জেলা সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম ও জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ নূরুল হোসাইন ছিদ্দিকী। 

প্রধান অতিথি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী এদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষ কে সত্যিকারের বৈষম্য মুক্ত দেশ উপহার দিতে জামায়াতে ইসলামী বদ্ধপরিকর। আমরা জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ দেশ গঠন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কর্মী সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল্লাহ, শ্রমিক নেতা সরওয়ার কামাল সিকদার, জামায়াত নেতা মুহাম্মদ আবদুল মজিদ, মাওলানা জামাল হোছাইন, মোখতার হোসাইন প্রমুখ।

অর্জিত স্বাধীনতার চেতনায় বাংলাদেশ গড়তে ফ্যাসিবাদের শেখড় উপড়ে ফেলতে হবে : মুহাম্মদ শাহজাহান

অর্জিত স্বাধীনতার চেতনায় বাংলাদেশ গড়তে ফ্যাসিবাদের শেখড় উপড়ে ফেলতে হবে : মুহাম্মদ শাহজাহান

 কক্সবাজারে ২৮অক্টোবর স্মরণে দোয়া মাহফিল 

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার শহর জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত “ইতিহাসের কালো অধ্যায় ২৮ অক্টোবর” শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল শনিবার (২৬অক্টোবর) কক্সবাজার পাবলিক হল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমীর সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল্লাহ আল ফারুকের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রিয়াজ মুহাম্মদ শাকিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান। 

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী, জেলা সহকারী সেক্রেটারি সাবেক ছাত্রনেতা জাহেদুল ইসলাম, অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, শ্রমিক কল্যাণ কক্সবাজার জেলা সভাপতি শামসুল আলম বাহাদুর, জামায়াত নেতা এডভোকেট জাফর উল্লাহ ইসলামবাদী, সাবেক পৌর মেয়র সরওয়ার কামাল, জামায়াত নেতা কফিল উদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা কামরুল হাসান, দরবেশ আলী আরমান, শ্রমিক নেতা সরোয়ার কামাল সিকদার, সাবেক ছাত্রনেতা আজিজুর রহমান প্রমুখ। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের লগি-বৈঠার হত্যাযজ্ঞের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হলেন শেখ হাসিনা। তিনিই সেদিন ডাক দিয়েছিলেন সারাদেশ থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের লগি-বৈঠা নিয়ে ঢাকায় আসতে। বিশ্ববিবেক বিষ্ময় দৃষ্টিতে সেদিন তাকিয়ে দেখেছিল আওয়ামী লীগ কিভাবে মৃত মানুষের লাশের উপর দাঁড়িয়ে নর্তন-কুর্তন করেছিল। 

জামায়াত নেতা মুহাম্মদ শাহজাহান প্রশ্ন তুলেন, একাত্তর সালের মিমাংসিত বিষয় নিয়ে যদি দীর্ঘকাল পর বিচার করতে পারে আওয়ামী লীগ, তাহলে ২০০৬ সালের লগি-বৈঠা হত্যাকা-ের বিচার কেন এতোদিন পর বিশেষ ট্রাইব্যুনালে করা যাবে না?

তিনি বলেন, সেদিন ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা আল্লাহর রাসূলের নেতৃত্বের অনুসারীদের মতো আমাদের নেতাদের সামনে মানবঢাল হয়ে রক্ষা না করতেন, হয়তো আমাদের অনেক নেতাকেই শাহাদতের অমীয়সুধা পান করতে হতো। তিনি মনে করেন, জামায়াত ইসলামী ও ছাত্রশিবির ইসলামী আন্দোলনের কাংখিত একটি কাফেলার নাম। এই কাফেলার পেছনে কাজ করেছে শত শত নেতাকর্মীর খুন। এমনও আছে- তাদের কোথায় মৃত্যু হয়েছে, কোথায় কবরস্থ করা হয়েছে আমাদের জানা নেই। এভাবে অনেক ভাইকে গুম করে ফেলা হয়েছে। 

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে পাঁচই আগস্ট ছাত্রজনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের মধ্যদিয়ে ইসলাম ও বৈষম্যহীন গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখার একটি নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়। সেই অর্জিত সম্ভাবনার বাংলাদেশকে সত্যিকারর্থে স্বাধীনতার চেতনায় গড়ে তুলতে হলে বাংলাদেশ থেকে সবধরনের ফ্যাসিবাদের শেকড় উপড়ে ফেলতে হবে। এদেশে খুনিদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না; শহীদদের স্বপ্নই বাস্তবায়ন হবে।

ঈদগাঁও গরু বাজারের চাঁদাবাজির টাকা যায় ডাকাতদের পকেটে!

ঈদগাঁও গরু বাজারের চাঁদাবাজির টাকা যায় ডাকাতদের পকেটে!

অভিযোগ গরু ব্যবসায়ীদের 

বিশেষ প্রতিবেদক: কক্সবাজারে প্রাচীনতম ঈদগাঁও গরুর বাজার থেকে চাঁদাবাজির টাকা ডাকাতদের পকেটে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ইজারার বাইরে অতিরিক্ত মোটা অংকের টাকা জোর আদায় করে সে টাকার বড় অংশ ভাগ-বাটোয়ার করেন ইজারাজার এবং ডুলাহাজারা, খুটাখালী ও চকরিয়ার চিহ্নিত ডাকাতরা। 

সম্প্রতি ডুলাহাজারায় সেনা কর্মকর্তা খুনের জড়িত ডাকাতদের নিয়মিত চাঁদার টাকা ভাগ দিতেন বলে ঈদগাঁও গরু বাজারের ইজারাদার রমজান আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

অভিযোগ উঠেছে, ইজারাদার রমজানের মাধ্যমে ঈদগাঁও গরু বাজার কেন্দ্রিক চাঁদাবাজিতে জড়িত ছিলেন ডাকাত হেলালের নেতৃত্বাধীন ডুলাহাজারার ওই ডাকাত দল। সেনা কর্মকর্তা হত্যায় হেলাল ও তার দলের সদস্যরা জড়িত বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে তারা অধিকাংশ গ্রেপ্তারও হয়েছেন।  

ঈদগাঁও গরুর বাজারে বেচাকেনার সাথে জড়িত অনেকে অভিযোগ করেছেন, পশু ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ সরকারি নিয়ম মতে গরু প্রতি বিক্রেতা ৭০০ ও ক্রেতা ৫০০ টাকা করে ১২০০ টাকা হাছিল নেয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু দূর-দূরান্ত থেকে গরু-মহিষ কিনতে আসা ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে গরু বহনকারী প্রতি গাড়ি থেকে অবৈধভাবে ১১ হাজার ৫০০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে আসছে ইজারাদার রমজান।

এই বিষয়ে ইজারাদার রমজান গরু ব্যবসায়ীদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, ডাকাতমুক্ত হয়ে নিরাপদে গরু বহন করে নেয়ার জন্য চকরিয়া, খুটাখালী ও ডুলাহাজার ডাকাতদের দিতে এসব চাঁদা নেয় তিনি ও তার ম্যানেজার ফিরোজ। 

গরু ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, ডাকাদের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির ফাঁদ বসিয়েছে রমজান আলম। ভয় দেখিয়ে উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গরু কিনতে আসা ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে প্রতি গাড়ি থেকে সাড়ে ১১ থেকে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে। এই টাকা থেকে দিয়ে অস্ত্র ও ডাকাতির নানা রসদ কিনেন ডাকাতরা।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোনো ব্যবসায়ী টাকা দিতে না চাইলে বা গড়িমসি করলে তাদের গরুবহনকারী গাড়িতে ডাকাত লাগিয়ে দেয়া হয়। চাঁদা না দেয়ায় ২০২২ সালের ৫ মার্চ ঈদগাঁও বাজার থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাওয়ার পথে  ডুলাহাজারা মালুমঘাট থেকে অস্ত্রধারী ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে গাড়িসহ গরুর লুট করে। এই ঘটনায় গরুর মালিক রামুর আবু তাহেরের ম্যানেজার মোস্তাক বাদি হয়ে ইজারাদার রমজানকে প্রধান আসামী করে ডাকাতদের বিরুদ্ধে  চকরিয়া থানা ডাকাতির মামলা করেছিলেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। 

উক্ত মামলার পর বহুদিন আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। পরে পরিস্থিতি হালকা হলে ফিরে এসে আবারো অবৈধ চাঁদাবাজি শুরু করেন। 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইজারাদার রমজানুল আলম সিকদারের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। একাধিক মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি রহস্যজনক কারণে দেশের বাইরে রয়েছেন!

'মন খুলে বর্তমান সরকারের সমালোচনা করুন' : কক্সবাজারে প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি

'মন খুলে বর্তমান সরকারের সমালোচনা করুন' : কক্সবাজারে প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

'বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে মন খুলে সমালোচনা করা যাবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনুস নিজেই তাঁর সরকারের সমালোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন।' 

এমন মন্তব্য করেছেন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সহকারি প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি। তিনি শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এমন মন্তব্য করেন। 

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কোন মিডিয়াকে কোন ভাবেই প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে না। কোন নিউজের কেমন ট্রিটমেন্ট হবে তা নিয়ে কোন ভাবেই চাপ দেবে না এই সরকার। 

সহকারি প্রেস সচিব বলেন, সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। ভোক্তা অধিকারকে কাজে লাগানো হচ্ছে। তবে সরকার মার মার কাট কাটে বিশ্বাসী নয়। নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে। 

প্রধান উপদেষ্টার সহকারি প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি শনিবার কক্সবাজার আসেন। তিনি সরকারের পক্ষ থেকে কক্সবাজার জেলার দূর্গোৎসব পর্যবেক্ষণ করছেন। 

তিনি বিকালে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আসেন। ওই সময় প্রেসক্লাব সভাপতি মাহবুবর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারী তাঁকে পুস্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারি প্রেস সচিবের ভগ্নিপতি ডা. বিশ্বজিৎ রায় (রাজিব), কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইকরাম চৌধুরী টিপু, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও কালের কন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার আনছার হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক কামাল হোসেন আজাদ, এডভোকেট মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী, দৈনিক সমকাল প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল মামুন, দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিনিধি সায়ীদ আলমগীর, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ প্রতিনিধি এএইচ সেলিম উল্লাহ, দৈনিক সংবাদের স্টাফ রিপোর্টার জসিম উদ্দিন সিদ্দিকী, দৈনিক খবরের কাগজ প্রতিনিধি মুহিবুল্লাহ মুহিব, সি নিউজ সম্পাদক শাহেদ মিজান, সিবি টুয়েন্টিফোর সম্পাদক মহিউদ্দিন মাহী প্রমুখ।

অপসংস্কৃতি থেকে বাঁচাতে ঘরে ঘরে কুরআন ও সীরাতের চর্চা বাড়িয়ে দিতে হবে : আ.জ.ম ওবায়েদুল্লাহ

অপসংস্কৃতি থেকে বাঁচাতে ঘরে ঘরে কুরআন ও সীরাতের চর্চা বাড়িয়ে দিতে হবে : আ.জ.ম ওবায়েদুল্লাহ

কক্সবাজারে শতাব্দী সাংস্কৃতিক সংসদের সিরাত কনফারেন্স ও পুরস্কার বিতরণ 

নিজস্ব প্রতিবেদক : সুস্থ ধারার সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম প্ল্যাটফর্ম শতাব্দী সাংস্কৃতিক সংসদ কক্সবাজারের উদ্যোগে সিরাতুন্নবী (স.) উপলক্ষে সিরাত কনফারেন্স ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শুক্রবার (৪ অক্টোবর) কক্সবাজার পাবলিক হল মিলনায়তনে সম্পন্ন হয়েছে।

শতাব্দী সাংস্কৃতিক সংসদের আহবায়ক আল আমিন মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদ দেশজ’র চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আ.জ.ম ওবায়েদুল্লাহ। 

তিনি বলেন, অসুস্থ সংস্কৃতি আজ আমাদেরকে ধংস করে দিচ্ছে। চলছে অপসংস্কৃতির প্রতিযোগিতা। এই আগ্রাসন থেকে ছোট বড় কেউই রেহাই পাচ্ছেনা। ভভিষ্যত প্রজন্মতো হুমকির মুখে। কৃত্রিম কোন উপায়ে এর থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন অভিভাবক হিসেবে চোখ-কান খোলা রাখা। জাতিকে এর থেকে মুক্তি দিতে হলে ঘরে ঘরে কুরআন ও সীরাতের চর্চা বাড়িয়ে দিতে হবে।

তিনি বলেন, কুদরত-ই খোদা প্রবর্তিত শিক্ষাব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় চালু করে পুরো জাতিকে ধ্বংসের কিনারে নিয়ে এসেছে। এই অসুস্থ শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার নয়, পুরোপুরি বাতিল করতে হবে। তাহলে উন্নত ও সমৃদ্ধ একটি জাতি গড়া সম্ভব। 

এতে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের প্রফেসর ড. আ.ক.ম আব্দুল কাদের এবং শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী।


শিল্পী ইকবাল হাসান ও জাবেরুল গনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার মো. নাসির উদ্দিন, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক জাহেদুল ইসলাম, মাওলানা শফিউল হক জিহাদী, অধ্যাপক খুরশিদ আলম আনসারী, অধ্যাপক ফরিদুল আলম, রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিল। 

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে পরিবেশিত হয় কাওয়ালী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। এই অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট গীতিকার ও সুরকার ড. চৌধুরী আব্দুল হালিম। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবক আবদুল্লাহ আল ফারুক ও সাংবাদিক জি.এ.এম আশেক উল্লাহ।

অনুষ্ঠানে ইসলামী সাংস্কৃতিক অঙ্গণে বিশেষ অবদান রাখায় অধ্যাপক ফরিদুল আলমকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। 

রম্য উপস্থাপক আতিক সুজনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনায় ছিলেন, শতাব্দী সাংস্কৃতিক সংসদ, প্রবাল সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ, অনির্বাণ সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ, নির্ঝর সাহিত্য সংস্কৃতিক সংসদ, আলো সাংস্কৃতিক সংসদ ও অর্ণব সাংস্কৃতিক সংসদ।

কক্সবাজার শহর জামায়াতের সীরাত সেমিনার কাল

কক্সবাজার শহর জামায়াতের সীরাত সেমিনার কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার শহর শাখার উদ্যোগে রবিউল আওয়াল মাস উপলক্ষে “বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে মহানবী স.-এর শিক্ষা”-শীর্ষক সেমিনার আগামীকাল মঙ্গলবার ১অক্টোবর দুপুর আড়াইটায় কক্সবাজার পাবলিক হলে অনুষ্ঠিত হবে। 

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর হাসমত আলী। 

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমেদ আনোয়ারী, জেলা নায়েবে আমীর মুফতী মাওলানা মোঃ হাবিবুল্লাহ ও জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী। 

প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর মমতাজ উদ্দিন কাদেরী, ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা শফিউল হক জিহাদী ও কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মাওলানা মোঃ হামিদুল ইসলাম। 

সীরাত সেমিনারের সভাপতিত্ব করবেন কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমীর সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল্লাহ আল ফারুক।

শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে জেলা প্রশাসককে বেসরকারি শিক্ষকদের স্মারকলিপি

শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে জেলা প্রশাসককে বেসরকারি শিক্ষকদের স্মারকলিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থা (স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসা ও কারিগরি) জাতীয়করণের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বৈষম্য বিরোধী সম্মিলিত শিক্ষক সমাজের জাতীয় কর্মসূচি ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে “স্মারকলিপি প্রদান” করা হয়েছে। 

এ স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর প্রেরণ করা হয়। 

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলার জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) বিভীষণ কান্তি দাসের হাতে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে জেলার সাধারণ শিক্ষকদের প্রতিনিধিবৃন্দ। এতে নেতৃত্ব দেন চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও বৈষম্য বিরোধী সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ কক্সবাজার জেলার সমন্বয়ক মো. আনিসুজ্জামান। 

এসময় শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার মডেল হাই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক আবু ছালেক আব্বাসী, জোয়ারিয়ানালা হাজী মোহাম্মদ সাঁচি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. নাছির উদ্দিন, বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক আবু ইউসুফ ও মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, চকরিয়া বহদ্দারকাটা উচ্চ বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক আনিসুল ইসলাম সবুজসহ বিভিন্ন উপজেলার সমন্বয়করা।

ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে জামায়াতের কার্যক্রম সর্বমহলে প্রশংসিত : মু. শাহজাহান

ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে জামায়াতের কার্যক্রম সর্বমহলে প্রশংসিত : মু. শাহজাহান

রামু উপজেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত 


নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী এদেশে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক নেতৃত্ব কায়েমের কাজ আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। আজ সংগঠনটির সুশৃংখল কার্যক্রম সর্বমহলে প্রশংসিত। তিনি বলেন, সমাজের সকল ক্ষেত্রে অসৎ, দুর্নীতিবাজ ও অদক্ষ নেতৃত্বের কারণে দেশ থেকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা দূর হচ্ছে না। জামায়াতে ইসলামী দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারুণ্যের ইচ্ছাকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশ পরিচালনায় অবদান রাখতে বদ্ধপরিকর। দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী  দুঃশাসনের কারণে দেশের তরুণ সমাজ হতাশায় নিমজ্জিত ছিল। বেকারত্ব, দুর্নীতি, গণতন্ত্রহীনতার কারণে দেশের মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছিল। বাক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের অধিকার ছিল শুধুমাত্র আ’লীগদের। এহেন অবস্থা থেকে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে মুক্তি এনে দিয়েছে এ দেশের ছাত্রসমাজ। আমরা তাদের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধা জানাই। 

সম্মেলনে মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান আরো বলেন, গত ১৬ বছরে জামায়াত-শিবিরের অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা ও গুম করা হয়েছে। নির্যাতনের পর নির্যাতন করা হয়েছে। জামায়াতের প্রথম সারির সকল নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। এ কঠিন পরিস্থিতিতেও জামায়াত এদেশে প্রতিষ্ঠিত ছিলো, শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করেনি। বাতিল শক্তির কাছে এক সেকেন্ডের জন্যও মাথা নত করেনি। কারণ জামায়াত কেবল আল্লাহকেই ভয় করে। যে কারণে চরম জুলুম নির্যাতন নিপীড়ন সত্ত্বেও জামায়াত ঠিকে ছিলো। অথচ আওয়ামী লীগ একটি প্রাচীণ রাজনৈতিক দল। একটানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও ক্ষমতা হারানোর পর এক ঘন্টার জন্যও রাজনীতিতে ঠিকে থাকতে পারেনি। 

তিনি বলেন, আমরা ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রভেদে পার্থক্যে বিশ্বাসী নয়। সকলে বাংলাদেশী হিসেবে সমঅধিকার নিশ্চিতে বিশ্বাসী। জাতিকে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরুতে বিভক্ত করে কোন কিছু অর্জন করা সম্ভব নয়। সকলেই বাংলাদেশী হিসেবে সমঅধিকারের ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রামু উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে বিশাল কর্মী সম্মেলন স্থানীয় সিটি পার্ক কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

রামু উপজেলা জামায়াতের আমীর ফজলুল্লাহ মুহাম্মদ হাসানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি প্রভাষক আ.ন.ম হারুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা মুফতি হাবিব উল্লাহ, জেলা সেক্রেটারি এডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, কক্সবাজার সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল আলম বাহাদুর, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আমীর ওমর ফারুক সিরাজী, রামু উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ নুরুল হাকিম, উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা রফিকুল আলম, উপজেলা উপজেলা আইন বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ তৈয়ব উল্লাহ, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোক্তার আহমদ, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি বাদশা আলম, গর্জনিয়া ইউনিয়ন সভাপতি আকতার কামাল, ফতেখারকুল ইউনিয়ন সভাপতি সোহরাব হোসেন, খুনিয়াপালং ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা জয়নাল আবেদীন, চাকমারকুল ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা শরীফুল হক ও ছাত্রশিবিরের উপজেলা সভাপতি ইরাক মিয়া।

এসময় উপজেলা জামায়াতের অফিস সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন সেলিম, উপজেলা যুব সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাস্টার আবদুল মান্নানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 


“ছাত্রদের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকাকে অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে”

“ছাত্রদের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকাকে অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে”

ঈদগাঁও উপজেলা জামায়াতের কর্মী সমাবেশে মুহাম্মদ শাহজাহান

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ আজ এক নতুন মোহনায় এসে উপনীত হয়েছে। মানবাধিকার, গণতন্ত্র, সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই সুযোগ কে দেশের কল্যাণে কাজে লাগিয়ে নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন কে বাস্তবে পরিণত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামী সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত রয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঈদগাঁও উপজেলা শাখা আয়োজিত শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১০টায় ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ শাহজাহান উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। উপজেলা আমীর মাওলানা সলিম উল্লাহ জিহাদী‌র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী, জেলা নায়েবে আমীর মুফতী মাওলানা মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন ও সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট সলিম উল্লাহ বাহাদুর।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ শাহজাহান আরো বলেছেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জামায়াতে ইসলামী দেশের মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত। দেশের স্বাধীনতা -সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় জামায়াত সর্বদা অতন্দ্র প্রহরীর মতো ভূমিকা পালন করে আসছে। নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন ও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জামায়াতে ইসলামী যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত রয়েছে। দেশের মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যে কোন ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে জামায়াতে ইসলামীর সকল জনশক্তিকে সজাগ থাকতে হবে।

উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা নূরুল আজিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা ছৈয়দ নূর হেলালী, জামায়াতনেতা ছৈয়দুর হক, লায়েক ইবনে ফাজিল, ছাত্রনেতা হাফিজ শাহেদ মোস্তফা, মোঃ আব্দুল্লাহ।
বরের বেশে ইমামের বিদায়!

বরের বেশে ইমামের বিদায়!

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কক্সবাজার সদর উপজেলার খরুলিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে টানা ৩৬ বছর ইমাম ও খতীব হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর মাওলানা ক্বারী নুরুল হককে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে রাজকীয় বিদায় জানিয়েছে খরুলিয়ার গ্রামবাসী, প্রাক্তন ছাত্র পরিষদসহ মসজিদ পরিচালনা কমিটি। বরের বেশে মাওলানাকে গ্রামের বাড়ি পৌঁছে দিতে চড়ানো হয়েছে মোটরসাইকেল বহর সহকারে ফুল সজ্জিত কারগাড়িতে। জমকালো এ অনুষ্ঠানে অকৃত্রিম ভালোবাসার কারণে তাকে পেনশন হিসেবে হাতে তুলে দিয়েছেন নগদ সাড়ে ৮ লাখ টাকার বিরল সম্মাননাসহ অসংখ্য উপহার। বিদায় বেলায় একজন ইমামকে সম্মানিত করার এমন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করায় প্রশংসায় ভাসছেন প্রাক্তন ছাত্র পরিষদসহ আয়োজকরা।

শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে খরুলিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে অবসরপ্রাপ্ত ইমাম মাওলানা ক্বারী নুরুল হকের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। সংবর্ধিত ইমাম মাওলানা নুরুল হক পেকুয়া উপজেলার টৈইটং ইউনিয়নের জালিয়ারচাং গ্রামের বাসিন্দা।

এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালের দিকে মাওলানা নুরুল হককে মসজিদটিতে ইমামতির দায়িত্ব দেন। এরপর কেটে যায় প্রায় ৩৬টি বছর। কর্মস্থল এ মসজিদটিতে তিনি তার উদ্যোগে এলাকাবাসীদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন সময় নানান সংস্কার কাজ করেন। পাশাপাশি শিক্ষকতা করেছেন খরুলিয়া তালিমুল কোরআন মাদরাসায়। এছাড়া খরুলিয়া নূরানী এন্ড ক্যাডেট মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করতে অনবদ্য ভূমিকা রাখেন তিনি। বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন অতিবাহিত করা প্রিয় ইমাম প্রিয় শিক্ষককে স্মরণীয় বিদায় জানাতে গ্রামবাসীসহ তাঁর প্রাক্তন ছাত্ররা ওই মসজিদে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

মসজিদ পরিচালনায় কমিটির সভাপতি মাস্টার হাবীব আহমদের সভাপতিত্বে ও ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মিজানুল কবিরের পরিচালনায় শুরুতে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন পেকুয়া এমইউ ফাজিল মাদরাসার আরবী প্রভাষক মাওলানা আজিজুল হক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার হাশেমিয়া কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা এম. আজিজুল হক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খরুলিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ হাসান।

এতে ইমাম মাওলানা নুরুল হকের কর্মময় জীবনের স্মৃতি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাওলানা আমিনুল হক, ইসলামী ব্যাংক হেড অফিসের প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ হোসাইন, মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি মুস্তফা কামাল, ব্যবসায়ী রহিম উদ্দীন, ইউপি সদস্য শরীফ উদ্দিন, ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ, মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলম, মসজিদ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আজিজ, মাস্টার গোলাম কবির, মাওলানা আবদুল্লাহ, শিক্ষক আলতাফ হোসাইন, সিরাজুল হক নিজামী, ব্যবসায়ী আজিম খান, সমাজকর্মী জাহাঙ্গীর আলম শামস, ইঞ্জিনিয়ার কায়ছার উদ্দিন, মোশারফ হোসাইন, ব্যাংক কর্মকর্তা আনিসুল কবির, ব্যবসায়ী ও যুবনেতা শফিকুল ইসলাম শফিক প্রমুখ। এসময় অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা, শিক্ষক, আলেমেদ্বীনসহ বিভিন্ন শ্রেণির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বৃহত্তর খরুলিয়ার ৭ গ্রামের বিভিন্ন পেশার মানুষের অংশগ্রহণে পুরো খরুলিয়ায় উৎসবের আমেজ তৈরি হয়। বিশেষ করে খরুলিয়া সিএনজি চালক সমিতি, ফার্নিচার ব্যবসায়ী সমিতি, বাজার ব্যবসায়ী সমিতি, মসজিদ কমিটি, এলাকাবাসী, প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ ও নুরানী ক্যাডেট মাদরাসার পক্ষ থেকে ক্রেস্ট এবং সম্মাননা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি খরুলিয়া তালিমুল কোরআন মাদরাসা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মরহুম মাওলানা মোহাম্মদ হোসাইনকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়।

বিদায়ী ইমামের স্মৃতি তুলে ধরতে গিয়ে মুসল্লিা বলেন, আমরা নামাজ কালাম শেখাসহ সামাজিক যাবতীয় সমস্যায় হুজুরের কাছ থেকে সমাধান নিতাম। হুজুর অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি আমাদের এলাকার জন্য একজন অনুসরণীয় ব্যক্তি হয়ে থাকবেন। বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণে আমাদের কাছ থেকে আজ বিদায় নিচ্ছেন; যা আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।

স্থানীয় সমাজ কর্মী জিয়াউল হক জিয়া, আনিসুল কবির, শরিয়ত উল্লাহ, ফয়সাল মাহমুদসহ শত শত যুবক বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য বেদনার। কেননা আত্মার আত্মীয়কে বিদায় দিচ্ছি, যিনি দীর্ঘ ৩৬ বছর দ্বিনি শিক্ষায় আমাদের আলোকিত করেছেন।

ইসলামি ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মিজানুল কবির বলেন, কক্সবাজার সদরে ইমামের এমন রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা এটাই প্রথম। এরআগে কখনো উপজেলায় এমনভাবে কোনো ইমামকে বিদায় দেওয়া হয়নি। ইমাম সমাজের নেতা। নেতাকে রাজকীয়ভাবে বিদায় দিতে পেরে আমরা মহান আল্লাহ তাআলার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ।

সংবর্ধিত বিদায়ী ইমাম মাওলানা নুরুল হক আবেগ আপ্লুত হয়ে চোখের পানি মুছতে মুছতে বলেন, ১৯৮৯ সাল থেকে এই মসজিদে ইমামতি করে আসছি। ৩৬ বছরের বিদায় বেলাতে এত ভালোবাসা ও সম্মান দেওয়ায় আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। বিদায়বেলায় তিনি কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন গড়া এবং ঈমান ও আমলের ওপর সবাইকে জীবন পরিচালিত করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাওলানা এম. আজিজুল হক বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠান সবার চক্ষু খোলে দিয়েছে। সকল মসজিদের দায়িত্বশীলদেরকে এখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে। দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিত করতে সকলকে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করার আহবান জানান। 

অনুষ্ঠান শেষে বিদায়ী ইমাম ক্বারী মাওলানা নুরুল হককে বরের বেশে ফুল সজ্জিত প্রাইভেট কারে বসিয়ে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে রাজকীয় সম্মানে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেন আয়োজকরা। দীর্ঘ ৩৬ বছরের কর্মময় এলাকা খরুলিয়ার হাজারো মুসল্লি ও শিক্ষার্থীসহ পুরো গ্রামবাসী আবেগ আপ্লুত হয়ে ক্বারী নুরুল হক হুজুরকে বিদায় জানান অশ্রুসিক্ত নয়নে।


ফুলকুঁড়িদের বৃক্ষরোপণ

ফুলকুঁড়িদের বৃক্ষরোপণ

চকরিয়া টাইমস : 

ফুলকুঁড়ি আসর কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) শাখাধীন চকরিয়া পৌরশহরের সাব রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন বাড়ির আঙ্গিনায় চারা গাছ রোপণের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় আসরের কৃষি শিল্প ও বিজ্ঞান সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চকরিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল শাহেদ। জেলা শাখার সহকারী পরিচালক আবু নাঈমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত কর্মসূচি ক্ষুদে ফুলকুঁড়ি সদস্যরাও অংশগ্রহণ করে। পরে তাদের মাঝে ফলদ ও বনজ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কক্সবাজার জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কক্সবাজার জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

চকরিয়া টাইমস :

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কক্সবাজার জেলা শাখার ৪৩ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে মাস্টার নুরুল আমিন হেলালিকে (দৈনিক কক্সবাজার ৭১) সভাপতি এবং মো. ওসমান গনি ইলিকে (জাতীয় অর্থনীতি ও এশিয়ান টিভি) সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়।

কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুহাম্মদ আলতাফ হোসেন ও মহাসচিব মো. কামরুল ইসলাম কক্সবাজার জেলা কমিটির অনুমোদন করেন।

কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনার আলোকে জেলা কমিটির অন্যান্য পদবির কর্মকর্তারা হলেন; সহ-সভাপতি মো. আব্দুর রহমান (আনন্দ বাজার), মাস্টার রেজাউল করিম (বাংলাদেশ বেতার/ দৈনিক আজাদী), মো. শেফাইল উদ্দিন (দৈনিক খবর/ রূপালী সৈকত), জামাল হোছাইন (দৈনিক জনবানী/ সকালের কক্সবাজার), নাজিম উদ্দীন (আমার সংবাদ), আব্দুল আলিম নোবেল (কক্সবাজার ৭১), সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম রেজা (দৈনিক ইত্তেফাক), শাহজালাল শাহেদ (দৈনিক সংগ্রাম), মিজানুর রহমান (বাংলাদেশ প্রতিদিন/ এশিয়ান টিভি), আবু হেনা সাগর (বাংলাদেশ সমাচার), আবুল কালাম আজাদ (দৈনিক বসুন্ধরা), জিয়াবুল হক আকাশ (জাতীয় অর্থনীতি), মহিলা সম্পাদক শাহানাজ বেগম (জাতীয় অর্থনীতি ও কক্সবাজার সংবাদ), কামরুন তানিয়া (একুশে সংবাদ), সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাশেদুল আলম রাশেদ (আমার বার্তা), সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এম. নুরুল আমিন টিপু (দৈনিক ভোরের সময়/ কক্সবাজার বাণী), রাসেল তালুকদার (বাংলাদেশ সমাচার), অর্থ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন, সহ-অর্থ সম্পাদক এইচ.এম রুহুল কাদের (দৈনিক গণমানুষের আওয়াজ), প্রচার সম্পাদক হোসেন সুমন, আশ্রয় প্রতিদিন, সহ-প্রচার সম্পাদক মো. সাঈদুজামান (দৈনিক দৈনন্দিন), দপ্তর সম্পাদক একে সোহেল (দৈনিক মেহেদী), সহ-দপ্তর সম্পাদক জয়নাল আবেদীন (বাংলাদেশ সমাচার), বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শফিউল আলম আজাদ (দৈনিক দৈনন্দিন), সহ-বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খায়েদ আলম কায়সার, ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক ওমর ফারুক ঈমন (কক্সবাজার বাণী), সহ-ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত (দৈনিক মেহেদী), সাংস্কৃতিক সম্পাদক রানা মুল্লিক (আশ্রয় প্রতিদিন), সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজিজুল হক রাজু (রূপালী সৈকত), ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ওমর ফারুক (ভোরের চেতনা), মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক বিজয় কুমার ধর (দৈনিক দেশবিদেশ), সহ-মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম খান বাপ্পী (ভোরের সময়), আপ্যায়ান বিষয়ক সম্পাদক জাফর আলম দিদার (দৈনিক কক্সবাজার বাণী), সহ-আপ্যায়ান বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল বাসেত (দৈনিক আপনকন্ঠ), আইসিটি বিষয়ক সম্পাদক জাফর আলম, সহ-আইসিটি বিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ আলী, সদস্য যথাক্রমে- কামাল উদ্দিন, তামান্না জান্নাত, শওকত আলম, ইমরান উদ্দিন প্রমুখ। (প্রেসবিজ্ঞপ্তি)

প্রেসিডিয়াম সদস্য কামাল হোসেন আজাদের অভিনন্দন:

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কক্সবাজার জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হওয়ায় কমিটির সকল কর্মকর্তাদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কক্সবাজার জেলা শাখার সাবেক সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক কামাল হোসেন আজাদ। তিনি সকলের সুস্বাস্থ্য এবং পেশাগত উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে : অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে : অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

কক্সবাজার জেলা জামায়াতের দিনব্যাপি রুকন শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত 

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা -সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন। জননিরাপত্তা মারাত্মক সংকটে নিপতিত। পরিবারিক, সামাজিক ও ইসলামী মূল্যবোধ অবক্ষয়ের কারণে সামাজিক নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকারের কোন মর্যাদা নেই বললেই চলে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপণ্যের বাজার আওয়ামী সিন্ডিকেটের কারণে সাধারণ জনগণ দিশেহারা। দীর্ঘ পনের বছরের অধিক গণতন্ত্রহীনতার কারণে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি, নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খল  পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এহেন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারই দায়ি। তাই সকল সংকট, সীমাবদ্ধতা ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশের মানুষের কল্যাণ ও মুক্তির লক্ষ্যে জামায়াতের রুকনদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে অগ্রণি ও সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। শনিবার (৬ জুলাই) কক্সবাজার জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত দিনব্যাপি রুকন (সদস্য) শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। 

জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম ও মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান। 

শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথি আরো বলেন, প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে জামায়াতে ইসলামী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে জনগণ থেকে জামায়াতকে বিচ্ছিন্ন করার অপকৌশল দেশবাসী রুখে দিয়েছে। তাই দেশের মানুষ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় জামায়াতে ইসলামী ভবিষ্যতে আরো বলিষ্ঠ ও সাহসী ভূমিকা পালন করতে সচেষ্ট। 

বিশেষ অতিথি সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, ইসলামের সোনালী অধ্যায় রচনায় একদল জিন্দাদীল, পরিচ্ছন্ন, সাহসী, আল্লাহ ভীরু ও জান্নাত প্রত্যাশী আসহাবে রাসূলের ভূমিকা বিশ্ববাসীর সামনে সমুজ্জল। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও আত্মত্যাগের কারণে ইসলাম ও ইসলামী তাহজীব-তামাদ্দুন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। জামায়াতে ইসলামীর রুকনদেরকে আসহাবে রাসূলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অর্জন ও অনুসরণে ব্রতী হয়ে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে। 

বিশেষ অতিথি সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করতে হলে ইসলাম ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানার্জনের কোন বিকল্প নেই। মানব রচিত মতাদর্শের বিপরীতে ইসলামী আদর্শের শ্রেষ্ঠত্ব, সৌন্দর্য মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য নিজেদেরকে অনুকরণীয় মডেল হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে। সত্য, সুন্দর ও কল্যাণকর কাজে অন্য সকলের চেয়ে জামায়াতে ইসলামীর সদস্যদেরকে অগ্রণি ভূমিকা পালন করতে হবে। 

জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী ও জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় দিনব্যাপি শিক্ষাশিবিরে জেলা নায়েবে আমীর মুফতী মাওলানা মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, জেলা সেক্রেটারি এডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কক্সবাজার জেলা সভাপতি শামসুল আলম বাহাদুর, জামায়াত নেতা মুহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।(প্রেস বিজ্ঞপ্তি) 

খোদাভীরু নেতৃত্ব তৈরির মাধ্যমে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে জামায়াত বদ্ধপরিকর : হামিদ আযাদ

খোদাভীরু নেতৃত্ব তৈরির মাধ্যমে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে জামায়াত বদ্ধপরিকর : হামিদ আযাদ

বিশেষ প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ আজ সৎ, দক্ষ ও খোদাভীরু নেতৃত্বের অভাবে গভীর সংকটে নিপতিত। দুর্নীতি, অপশাসন ও গণতন্ত্রহীনতার কারণে সঠিক নেতৃত্বের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে সৎ, দক্ষ ও খোদাভীরু নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই। তাই জামায়াতে ইসলামী সমাজে খোদাভীরু নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার কাজ আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব দেয়ার উপযোগী জনবল তৈরি করতে  জামায়াতের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। 

জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ২দিনব্যাপী (৩০ ও ৩১মে) উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য শিক্ষাশিবির সম্পন্ন হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। 

কক্সবাজার জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান ও এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। 

প্রধান অতিথি হামিদুর রহমান আযাদ আরো বলেন, বাংলাদেশে আজ রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, গণতান্ত্রিক , নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয় প্রকট আকার ধারণ করেছে। সমাজ এবং রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে এসকল মূল্যবোধ অবক্ষয়ের সকল আয়োজন সক্রিয়। এহেন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল স্তরে খোদাভীরু নেতৃত্ব তৈরি ও প্রতিষ্ঠায় জামায়াতে ইসলামী অগ্রণি ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। 

শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যেক দায়িত্বশীল হবে সকলের জন্য অনুকরণীয় মডেল। পরকালীন জবাবদিহিতার অনুভূতি নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের কাজ ইহসানের সাথে পালন করতে হবে। মজলুম মানবতার মুক্তির কণ্ঠস্বর হিসেবে সমাজের সকল স্তরে দায়িত্বশীলদের বিচরণ অব্যাহত রাখতে হবে। 

সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, সংগঠন সম্প্রসারণ ও মজবুতি অর্জনে দায়িত্বশীলদেরকে সময়োপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নিজেদের মান উন্নয়ন ও সংরক্ষণের পাশাপাশি সাংগঠনিক কাঠামোকে সক্রিয় রাখতে সচেষ্ট থাকতে হবে। জ্ঞান চর্চা ও আমলের ক্ষেত্রে সকলের চেয়ে দায়িত্বশীলদের অগ্রগামী থাকতে হবে। 

জেলা সহকারী সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শিক্ষাশিবিরে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা মুফতি হাবিবুল্লাহ, জেলা সেক্রেটারি এডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ড. মাওলানা ছাবের আহমদ প্রমুখ। 

সমাজে সুবিধা বঞ্চিতদের সফল অভিভাবক মানবিক সমাজকর্মী জান্নাতুল ফেরদৌস

সমাজে সুবিধা বঞ্চিতদের সফল অভিভাবক মানবিক সমাজকর্মী জান্নাতুল ফেরদৌস

বিশেষ প্রতিবেদক : 

অদম্য ইচ্ছাশক্তিই জান্নাতুল ফেরদৌসকে সমাজে পিছিয়ে পড়া অবহেলিত সুবিধা বঞ্চিত মানুষগুলোর সফল অভিভাবকে পরিণত করেছে। লেগে থেকে মানুষের কল্যাণের জন্য খাটতে পারাটাই তার স্বার্থকতা। তার কাছে মানবিক হয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করাই ছিল উদ্দেশ্য লক্ষ্য। এমনই একজন কর্ম উদ্যোমী সংগ্রামী নারীর নাম ইসলামপুরের জান্নাতুল ফেরদৌস।

জন্ম ও পরিচয় : কক্সবাজারের নতুন উপজেলা ঈদগাঁও ইসলামপুর ইউনিয়নের বামনকাটা গ্রামে ১৯৭৯ সালে ১০জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি স্থানীয় একটি মাদরাসা থেকে ১৯৯৩ সালে আলিম পাস করেন। সামাজিক ও পারিবারিক নানান বাধা বিপত্তির মুখেও তখন থেকে পরোপকারী মনোভাব পোষণ করেই চলতেন এই নারী। অন্যের ভালোতে তিনি মানসিক তৃপ্তি অনুভব করতেন। কম বয়সে ছোট খাটো সমাজসেবার মাঝপথে তিনি ১৯৯৯ সালে একই এলাকার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের এক সন্তানের সাথে বিবাহ বন্ধণে আবদ্ধ হয়ে সংসার জীবন শুরু করেন। 

অপরাজিতার সাথে যুক্ত ও প্রশিক্ষণ : ২০১৬ সালের তিনি অপরাজিতা প্রকল্পে যুক্ত হন। অপরাজিতার সাথে যুক্ত হওয়ার ফলে জান্নাতুল ফেরদৌস বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকেন। 

প্রশিক্ষণ জ্ঞান কার্যক্রম বাস্তবায়ন:  প্রশিক্ষণ থেকে জ্ঞান লাভ করার ফলে একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে সরাসরি মানুষের সেবা করার জন্য ২০১৬ সালের সংরক্ষিত আসনে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করে বিজয় লাভ করেন। অপরাজিতার কাছ থেকে প্রশিক্ষণের পর তিনি সমাজের সুবিধা বঞ্চিত কারা তাদের জানতে পারেন। তার প্রথম টার্গেট ছিল ইউনিয়ন এবং উপজেলা পরিষদের সেবাপ্রদানকারীদের  সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা। অপরাজিতার বিভিন্ন সভা ও প্রশিক্ষণে তাদের সাথে পরিচয় হওয়ার সুযোগ হয়। যার ফলে তিনি তার তিন ওয়ার্ডে যারা বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত আছে তাদের তালিকা করেন। তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে তাদেরকে সুযোগ-সুবিধা দেয়ার ব্যবস্থা করেন। যারা প্রতিবন্ধি তাদেরকে তিনি সবচেয়ে দুর্বল মনে করেন। তার পূর্বে যিনি জনপ্রতিনিধি ছিল তিনি সুবিধাবঞ্চিদের তেমন মূল্যায়ন করতেন না। ওইসব বৈষম্যমূলক আচরণের কথা মাথায় রেখে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা জাগিয়ে তিনি ১০০জন প্রতিবন্ধীকে প্রতিবন্ধী ভাতা পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন। তার এলাকায় প্রায় প্রতিবন্ধী এখন ভাতার আওতায় চলে এসেছে। তিনি ২০০ জন গর্ভবতী মহিলাকে গর্ভকালীন সেবা নিতে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে পাঠাতে সহযোগিতা করেন। জন কিশোরীদের টিটি টিকার আওতায় আনেন। ৬০০ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও কৃমি নাশক ক্যাপসুল খাওয়াতে সহযোগিতা  করেন। ৪০ জন মহিলাকে মাতৃত্বকালীন ভাতা, ১৫ জন মহিলাকে বিধবা ভাতা, এলাকার অবকাঠামুগত উন্নয়নের জন্য ৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। এইসব কাজ তিনি দক্ষতার সাথে করার জন্য  করার জন্য তিনি বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-২ এর দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি ইউনিয়ন পরিষদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি, স্থানীয় মাদরাসা পরিচালনা  কমিটির সভাপতি, কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি, ইউনিয়ন অপরাজিতা নেটওয়ার্কের সভাপতি এবং উপজেলা ও অপরাজিতা নেটওয়ার্কের নির্বাহী সদস্য। 

পরিশেষে বলা যায় জান্নাতুল ফেরদৌস একজন অপরাজেয় নারী প্রতিনিধি। তিনি মনে করেন মানুষের সেবা করতে টাকা লাগেনা; মনের ইচ্ছা শক্তিই যথেষ্ট। তিনি মনে করেন; মানুষের সেবা করতে পারলে মনের মধ্যে আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়।


ভয়াল ২৯শে এপ্রিল ঘুর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে ধলঘাটা এসোসিয়েশনের দোয়া মাহফিল

ভয়াল ২৯শে এপ্রিল ঘুর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে ধলঘাটা এসোসিয়েশনের দোয়া মাহফিল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানী ঢাকাস্থ মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নের বাসিন্দাদের সংগঠন ধলঘাটা এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ১৯৯১সালে ভয়াল ২৯শে এপ্রিল প্রলংয়করী ঘুর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে খতমে কুরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল দি রয়েল পাবলিকেশন্স মসজিদ মিলনায়তনে সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার (২৯এপ্রিল) মাগবিবের নামাযের পরে ধলঘাটা মোহাম্মদিয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  

তরুণ সমাজসেবক আলহাজ্ব মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের পরিচালনায় শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

আলোচনা সভায় স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন ‍দি রয়েল সায়েন্টিফিক পাবলিকেশন্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাঈদ মুহাম্মদ দিদার, ইসলামী ব্যাংক মিরপুর শাখার কর্মকর্তা মুহাম্মদ আয়াত উল্লাহ ও শিল্পী মুহাম্মদ শামসুল আলম টিটু।

পরে প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড়ে নিহতদের রুহের মাগফিরাত একং জীবিত সকল আত্মীয় স্বজনদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করেন দোয়া অনুষ্ঠানের সভাপতি মাওলানা সিরাজুল হক।

ইকুনোর কঠোর পরিশ্রম সমাজে সফল নারী নেত্রী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে

ইকুনোর কঠোর পরিশ্রম সমাজে সফল নারী নেত্রী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সামাজিক বৈষম্য ও আত্মবিশ্বাস না হারিয়ে অসহায় ও দরিদ্র নারী সমাজের সম্মান ও সমান অধিকারের দিকে এগিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ হন রোকসানা আক্তার ইকুনো। সমাজের সাহায্য এবং নিজের সাহসের জোরে রোকসানা অপরাজিতা নারীকে এক নতুন দিশা দেখাতে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। একজন মহিলা, অপরাজিতার, কোন কিছুই তাকে বিরক্ত করতে পারেনি। কারণ শক্ত হওয়ার জন্য তার ছিল সীমাহীন চেষ্টা। ক্ষমতা, শিক্ষা, বিশ্বাস এবং ইচ্ছাশক্তির প্রচেষ্টা তার নিজস্ব গল্প তৈরি করেছে এবং সমাজের কাছ থেকে তার স্বামীর সমর্থন ও সমর্থনে তিনি এখন ক্ষমতা ও সম্মানের সাথে নারীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সমাজ পরিবর্তনে অবদান রাখছেন। তিনি বলেন, অপরাজিতা প্রকল্প সব সময় আমার সঙ্গে লেগে আছে, আমার সাহস, ইচ্ছাশক্তি, স্বামীর সমর্থন এবং কঠোর পরিশ্রম আমাকে অন্যতম ক্ষমতাশালী নারী নেত্রী হিসেবে স্থায়ী করে তুলেছে। পাশাপাশি সমাজের মানুষের মনোভাব আমাদের সমাজ পরিবর্তনে নারীদের সফল হওয়ার পথ প্রশস্ত করতে সহায়তা করছে। 

পরিচয় জন্ম ও শিক্ষা:

১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারি উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নিদানিয়াপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে সাধারণ নারী হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন রোকসানা আক্তার ইকুনো। বিয়ের পর নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও অপরাজিতা ২০১৯ সালে এই প্রকল্পে যোগ দিয়ে প্রকল্পের পক্ষ থেকে প্রদত্ত সবধরনের প্রশিক্ষণ ও কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে উক্ত বিষয়গুলোতে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সক্ষম হয় তিনি।

কার্যক্রম বাস্তবায়ন: 

অপরাজিতা ইকুনো অত্যন্ত দুর্গম পাহাড়ি এলাকার পালংখালী ইউনিয়নে অংশগ্রহণ ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। মেয়ে হয়েও বাবার সঙ্গে নিয়মিত সালিশে যেতেন। তার স্বপ্ন ছিল একজন সমাজকর্মী হয়ে গ্রামের অসহায় মানুষের সেবা করা এবং একজন আত্মবিশ্বাসী সফল নারী নেত্রী হওয়া। তাই এলাকার হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়নের সহায়তায় তিনি সামাজিক-রাজনৈতিক অর্থনৈতিক কর্মকা- করে এলাকার অসহায় দরিদ্র মানুষের প্রিয় ব্যক্তিতে পরিণত হন এবং এগিয়ে যাওয়ার জন্য অসহায় স্বামী হারানো বিধবাদের তালিকা তৈরি করেন এবং উপজেলা সমাজকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দশজনকে বিধবা ভাতা পেতে সহায়তা করেন। এলাকার প্রায় ৫০ জন দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত ছেলে-মেয়ে প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করেন। তিনি তাদের স্কুলে ভর্তি দেখাতে সাহায্য করতেন। 

তিনি বাল্যবিবাহ বন্ধ, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে আটটি ট্রায়ালে অংশ নিয়ে সফলতার সাথে সমস্যা সমাধানে মতামত ও প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেন। স্থানীয় প্রশাসনের সকল ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নকে সমর্থন করে তিনি সর্বদা লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণে অবদান রেখেছেন। জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে ২৮০ জন ৯৯৯ জন ও ১০৯  জন নারীকে নির্যাতন বা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সচেতন করতে পেরেছেন। বর্তমানে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্য। ইকুনো ইউনিয়ন ও উপজেলা অপরাজিতা নেটওয়ার্কের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

তিনি উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে একজন আদর্শ কৃষক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে অপরাজিতা প্রকল্পের বিভিন্ন কমিটি ও কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে সমাজ পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যান। তার বাস্তব অভিজ্ঞতা ও সহায়তায় তিনি সমাজে পরিবর্তন এনেছিলেন। তিনি নারীর সামাজিক মর্যাদা ও অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করেন। তার ইচ্ছাশক্তি ও সাহসের মাধ্যমে তিনি নারীর ক্ষমতা ও মর্যাদার লড়াইয়ে অগ্রগতি অর্জন করেছিলেন। যেখানে নারীরা বঞ্চিত ছিল এবং তার কার্যকলাপ একটি সুস্থ ও সক্রিয় সমাজ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। 

পরিশেষে বলা যায়, প্রত্যন্ত গৃহবধু থেকে পালংখালী ইউনিয়নের অন্যতম অপরাজেয় মানুষ হিসেবে সমাজে অবদান রেখে চলেছেন ইকুনো। আর অপরাজিতা এসে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ইতিবাচক চিন্তা ভাবনার কারণে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে প্রমাণ করেছেন; আমরা ঘরের বাইরের নারী। তার সাফল্যের গল্প সমাজের অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা ও অনুকরণীয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।


অভিনয়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন প্রবালের মুদাববির

অভিনয়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন প্রবালের মুদাববির

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কক্সবাজার জেলার ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রবাল শিল্পী গোষ্ঠীর নিয়মিত সদস্য মুদাববিরুল ইসলাম একক অভিনয়ে  “সেরাদের সেরা” জাতীয় পর্যায়ের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় “ক” গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। রোববার (৩মার্চ) গার্লস গাইড হাউস মিলনায়তনে সমন্বিত সাংস্কৃতিক সংসদ (সসাস) আয়োজিত সেরাদের সেরা-২০২৩ জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার (জাতীয় পর্যায়ে অডিশন) গ্র্যান্ড ফিনাল সম্পন্ন হয়। 

এতে সারা বাংলাদেশের জাতীয় মানের সকল প্রতিযোগিদের চমকে দিয়ে দেশসেরা হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করে ক্ষুদে অভিনেতা মুদাববিরুল ইসলাম। প্রবাল শিল্পী গোষ্ঠীর অভিনয় বিভাগের প্রশিক্ষক সাবেক সহকারী পরিচালক ও থিয়েটার বিভাগের সাবেক পরিচালক আবু তৈয়ব আজাদ রচিত “নিরাপদ সড়ক চাই” শিরোনামে অভিনয় পরিবেশন করে বিচারকদের নজর কাড়তে সক্ষম হলে; চ্যাম্পিয়ন তথা কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্যের এ দৃষ্টান্ত স্থাপন করে মুদাববির। চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনতে অভিনয় রচয়িতা নিজেই সাফল্যের নেপথ্যে অব্যাহত ভূমিকা পালন করেন।

সসাস পরিচালক আহমেদ তৌফিকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দেশের খ্যাতিমান সাহিত্যিক কবি মোশাররফ হোসেন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সুরকার ও গীতিকার আবু তাহের বেলাল ও বিশিষ্ট নাট্য অভিনেতা মুনিরুল ইসলাম। জাতীয় পর্যায়ের এ প্রতিযোগিতায় বিজ্ঞ বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন বিশিষ্ট নাট্যকার জাকারিয়া হাবিব পাইলট, মির্জা তারেক ও তাহসিন সকাল।

এদিকে প্রবালের সদস্য মুদাববিরুল ইসলাম অভিনয়ে জাতীয়ভাবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করে ও ক্ষুদে অভিনেতাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশিষ্ট সুরকার ও গীতিকার শিল্পী শোয়াইব বিন হাবিব, প্রবাল শিল্পী গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ আরমান, ভাইস চেয়ারম্যান প্রবালের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুসা ইবনে হোসাইন বিপ্লব ও প্রবাল পরিচালক মো. আবদুল গফুরসহ বিশিষ্টজনেরা। অভিনন্দনদাতারা তার উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন। উল্লেখ্য, দেশসেরা ক্ষুদে অভিনেতা মুদাববিরুল ইসলাম মার্শাল আর্ট তায়কোয়ানদো বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠতম ব্ল্যাক বেল্টপ্রাপ্ত সদস্য। বর্তমানে সে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।