Showing posts with label চট্টগ্রাম. Show all posts
Showing posts with label চট্টগ্রাম. Show all posts
শহর রক্ষাবাঁধ ও নদী ভাঙ্গন রোধে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে চকরিয়ায় মানববন্ধন

শহর রক্ষাবাঁধ ও নদী ভাঙ্গন রোধে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে চকরিয়ায় মানববন্ধন

চকরিয়া টাইমস : 

চকরিয়া পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ড কোচপাড়াস্থ মজিদিয়া পৌর আলিম মাদরাসা হতে মাতামুহুরী নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধে শহর রক্ষাবাঁধ টেকসই করার দাবিতে  মানববন্ধন করেছে স্থানীয় জনসাধারণ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।

মঙ্গলবার (৩ জুন) মানববন্ধন কর্মসূচির সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা কুতুব উদ্দিন হেলালী, পৌরসভা যুবদলের সাবেক  সভাপতি সাবেক প্যানেল মেয়র শহিদুল ইসলাম ফোরকান, মাস্টার গোলাম মাওলা, ৮নং ওয়ার্ড জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ইব্রাহিম খলিল, যুবনেতা নুর মোহাম্মদ সিকদার। এসময় ছাদেকুর রহমানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম আসলে আতঙ্কে দিন কাটে এ এলাকার হাজারো পরিবার ও ব্যবসায়ীদের। এমনকী বেঁড়িবাধ ভেঙে সর্বস্ব হারানোর ভয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটান অনেক পরিবার। এ অবস্থায় কোচপাড়া থেকে মজিদিয়া আলীম মাদ্রাসা পর্যন্ত এলাকা ও ১নং শহর রক্ষা বাঁধ হয়ে মাতামুহুরি ব্রিজ পর্যন্ত মাতামুহুরি নদীর তীরে আরসিসি ব্লক ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জেলা প্রশাসন, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

অন্যদিকে চকরিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড এলাকায় বালুর মেশিন বসিয়ে যারা বালু উত্তোলন করছে তাদের কঠোর হুশিয়ারি দেন তরুণ জননেতা শহিদুল ইসলাম ফোরকান। তিনি বলেন, প্রশাসন যদি এসব অবৈধ বালুর মেশিন বন্ধ না করে তাহলে এলাকার মানুষকে সাথে নিয়ে নিজেরাই ভেঙে দিবেন। ৮নং ওয়ার্ডে কোনো ধরনের বালুর মেশিন বসাতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এলাকায় যারা বালুর মেশিন বসিয়ে ব্যবসা করছেন, তারা হাজার হাজার মানুষের জানমালের ক্ষতি করছেন। যার ফলে অসংখ্য স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তাই এলাকাবাসীর জানমাল রক্ষার্থে অনতিবিলম্বে নদী ভাঙ্গন রোধে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

থাইল্যান্ডের হাসপাতালে মারা গেছে চট্টগ্রামের জুলাই যোদ্ধা হাসান

থাইল্যান্ডের হাসপাতালে মারা গেছে চট্টগ্রামের জুলাই যোদ্ধা হাসান

স্টাফ রিপোর্টার : 

ফ্যাসিবাদবিরোধী জুলাই আন্দোলনে চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাস এলাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত মোহাম্মদ হাসান থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন।

পরিবারের উদ্বৃতি দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তার ভেরিফাইড ফেসবুকে একথা জানিয়েছেন।

উমামা ফাতেমা ফেসবুকে লিখেছেন ‘জুলাই অভ্যুত্থানে আহত হাসান ভাই একটু আগে শহীদ হয়েছেন। হাসান ভাই আহত হওয়ার পর থেকে 'এম্পাওয়ারিং আউয়ার ফাইটার্স’র মাধ্যমে তার সঙ্গে কলি আপু সার্বক্ষণিক যুক্ত ছিলেন। কিছুদিন আগে কলি কায়েয আপু বলছিলেন হাসানের অবস্থা বেশি ভালো না। আমি ভাবছিলাম দেশে আসলে দেখতে যাব। কি বলব! ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আহত, শহীদদের পরিবারের জীবন থমকে গেছে। আমরা ঠিকই যাপন করে যাচ্ছি। কিন্তু যাপন করি কই! জুলাই তো কাঁধে বয়ে বেড়াতে হয়। শহীদদের লাশের ভার কি আমাদের কাঁধকেই ভারী করে তুলে! বাকিসব তো দেখি দিব্যি কেটে যাচ্ছে।’

এ ছাড়া, রাত ১১টা ২১ মিনিটে ‘এম্পাওয়ারিং আওয়ার ফাইটারস’ নামে একটি ফেসবুক পেজে হাসানের বোনের বরাতে বলা হয়, জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম আহত যোদ্ধা আমাদের ভাই হাসান থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একটু আগে শহীদ হয়েছেন। সবাই দোয়া করবেন। ফোনে খবরটি নিশ্চিত করেছেন হাসানের ছোট বোন সুমাইয়া।

ওই স্ট্যাটাসে উল্লেখ করা হয়, ‘গত সাত মাস ধরে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে ছিলেন মোহাম্মদ হাসান। গত ১০ এপ্রিল হাসানকে লাইফসাপোর্ট থেকে সরিয়ে সাধারণ বেডে আনা হয়। ২৫ এপ্রিল তার অবস্থার অবনতি ঘটায় তাকে পুনরায় লাইফসাপোর্টে নেওয়া হয়।’

স্ট্যাটাসে বলা হয় ‘গত ৫ আগস্ট টাইগারপাসে আন্দোলনের সময় মাথার ডান পাশে গুলিবিদ্ধ হয়- যা সম্ভাব্য ব্রেন ড্যামেজের কারণ হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার খাদ্যনালী ও কণ্ঠনালী এক করে লাইফসাপোর্ট দেওয়া হয়। এ সময় ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ে তার মস্তিষ্কে এবং শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে দ্রুত তাকে ঢাকা সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়।’

আজ শুক্রবার পৃথক স্ট্যাটাসে এম্পাওয়ারিং আউয়ার ফাইটার্স জানিয়েছে, শহীদ মোহাম্মদ হাসানের মরদেহ আগামীকাল আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশে পৌঁছাবে। ঢাকা সিএমএইচ-এ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। এরপর শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে নোয়াখালীর জামেয়া ইসলামিয়া ফারুকিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে— যেখানে তিনি প্রাথমিকভাবে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর নিজ জেলা নোয়াখালীর সোনাপুর গ্রামে তাঁকে দাফন করা হবে।

হাসান চট্টগ্রামের হালিশহর গরিবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। করোনাকালীন সময় পড়াশোনা থেকে ছিটকে পড়লেও পরিবারকে সহায়তা করতে একটি ওয়ার্কশপে কাজ শুরু করেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই তিনি দুই বোনের একমাত্র ভাই হিসেবে পরিবারের ভরসাস্থল ছিলেন। মায়ের দুঃখ ঘোচাতে নিজ হাতে জীবনের হাল ধরতে চেয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেশের বৃহত্তর স্বার্থে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।

আলীর সুড়ঙ্গের পরাবাস্তব আখ্যান

আলীর সুড়ঙ্গের পরাবাস্তব আখ্যান

মমতাজ উদ্দিন আহমদ:

আলীকদমের শান্ত প্রকৃতির মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা আলীর পাহাড় যেন এক রহস্যের আঁধার। এর গভীরে লুকিয়ে থাকা সুড়ঙ্গগুলো কালের সাক্ষী, ধারণ করে অসংখ্য অশরীরী কল্পকথা। লোকমুখে ফেরা সেইসব কিংবদন্তীর আবছা আলোয় আজ আমরা প্রবেশ করব এক পরাবাস্তব জগতে, যেখানে বাস্তবতা আর কল্পনার সীমা অস্পষ্ট।
আলীর পাহাড়ের নামকরণের ইতিহাস ধূসর, তবে এর গায়ে লেগে থাকা রহস্যের ছোঁয়া আজও অনুভব করা যায়। জনশ্রুতি বলে, এই পাহাড় ও তার সুড়ঙ্গ এক ভিন্ন জগতের প্রবেশদ্বার। হয়তো সেই অজানার টানেই বহু বছর আগে একদল কাঠুরিয়া ভাগ্য অন্বেষণে এখানে এসেছিল।
একদিন, কাঠ কাটার সময় তাদের দলের একজন গভীর অরণ্যের নিস্তব্ধতায় হারিয়ে যায়। সঙ্গীরা যখন তাকে খুঁজে ক্লান্ত, তখন সে এক অলৌকিক মায়াজালে বাঁধা পড়ে। গাছের পাতায় আচ্ছাদিত এক অপার্থিব রূপসী তাকে আলিঙ্গন করে, যার স্পর্শে পৃথিবীর সমস্ত সত্য যেন তুচ্ছ মনে হয়।
হারানো সেই কাঠুরিয়া আর ফেরে না। সঙ্গীরা ধরে নেয় কোনো বন্য জন্তুর শিকার হয়েছে সে। কিন্তু সত্য ছিল অন্য কিছু। সেই রূপসী, কোনো দূর নক্ষত্রের আলোয় গড়া মূর্তির মতো, তাকে টেনে নিয়ে যায় আলীর পাহাড়ের গভীরে, এক সুড়ঙ্গের আঁধারে।
সুড়ঙ্গের অভ্যন্তরে সময় থমকে দাঁড়ায়। দিনের আলো প্রবেশ করে না, রাতের তারারাও যেন পথ ভুলে যায়। সেই রূপসীর বাহুডোরে বন্দি কাঠুরিয়া এক নতুন জগতে প্রবেশ করে—যেখানে বাস্তবতা স্বপ্নের মতো অস্পষ্ট। ধীরে ধীরে সে জানতে পারে, সেই নারী কোনো সাধারণ মানুষ নয়, বরং এই পাহাড়ের রহস্যময় আত্মার অংশ।
মাঝে মাঝে সেই রূপসী তার আসল রূপে আবির্ভূত হয়—এক বিশাল, শ্বেতকায় সত্তা, যার পরনে পশুর চামড়া আর অলংকার পাখির পালক। তারা আগুনের উত্তাপ চেনে না, বেঁচে থাকে প্রকৃতির দান ফলমূল আর শিকার করা পশু-পাখির মাংসের ওপর। কাঠুরিয়াও ধীরে ধীরে সেই অচেনা জীবনের অংশ হয়ে ওঠে।
রাতের নিস্তব্ধতা তার মনে ভয়ের সঞ্চার করে। সেই অশরীরী নারীর পাশে নিজের অস্তিত্বকে ক্ষণস্থায়ী আর মিথ্যা মনে হয়। তার আলিঙ্গন ক্রমশ অসহ্য হয়ে ওঠে, যেন কোনো অদৃশ্য শেকল তাকে বেঁধে রাখে।
একদিন, যখন রহস্যময়ী নারী শিকারে যায়, সুড়ঙ্গের মুখ খোলা থাকে। কাঠুরিয়া দেখে, বাইরের পৃথিবীর আলো তার জন্য অপেক্ষা করছে। সে পালিয়ে আসে, ফেলে আসে সেই পরাবাস্তব জগৎ। কিন্তু সেই মায়াবী স্পর্শ, সেই অচেনা ভয়—সবকিছু তার স্মৃতিতে জীবন্ত থাকে।
তবে সেই অশরীরী মায়ার বাঁধন কি এত সহজে ছিন্ন হওয়ার? লোককথা বলে, আজও আলীর পাহাড়ের গভীরে সেই রূপসীর দীর্ঘশ্বাস শোনা যায়, তার হারানো সঙ্গীর জন্য এক অসীম হাহাকার। আর গভীর রাতে, সুড়ঙ্গের মুখে নাকি দেখা যায় এক ছায়ামূর্তি—যার চোখে তার হারানো ভালোবাসার জন্য অনন্ত বেদনা।
এই কাহিনী কোনো বাস্তব ঘটনা নয়, হয়তো বা আলীর পাহাড়ের নীরবতা আর সুড়ঙ্গের অন্ধকার জন্ম দিয়েছে এমন রহস্যময় কল্পনার। তবে আজও যারা সেই পথে হাঁটেন, তারা হয়তো অনুভব করেন এক অশরীরী উপস্থিতির নীরব স্পন্দন—এক পরাবাস্তব জগতের ক্ষীণ প্রতিধ্বনি।
লেখক: মমতাজ উদ্দিন আহমদ,
সভাপতি, আলীকদম প্রেসক্লাব,
বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
বাঞ্ছারামপুর প্রেসক্লাবের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন ইউএনও ফেরদৌস আরা

বাঞ্ছারামপুর প্রেসক্লাবের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন ইউএনও ফেরদৌস আরা

সোহাইল আহমেদ বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): 

"নিজস্ব ভবনের স্বপ্ন পূরণে সাংবাদিকদের নতুন ঠিকানা"

 ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সাংবাদিকদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন অবশেষে বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। নিজস্ব ভবনের অভাববোধ পেরিয়ে এবার তারা পেতে চলেছেন নিজেদের ঠিকানা। বুধবার (১৪ মে) বিকাল ৫টায় বাঞ্ছারামপুর প্রেসক্লাব ভবন নির্মাণের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌস আরা।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাঈদা আক্তারসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ। 

প্রসঙ্গত, প্রায় ৩৭ বছর আগে বসুন্ধরা গ্রুপ প্রেসক্লাবের জন্য উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ৬ শতক জমি কিনে দিলেও কোনো নির্বাচিত কমিটি না থাকায় ও নানাবিধ প্রতিবন্ধকতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে জমিটি পরিত্যক্ত ছিল। অবশেষে ৩৬ বছর পর ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটি গঠিত হয়। শপথগ্রহণের মধ্য দিয়ে ৫ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

এসময় উপস্থিত ছি‌লেন বাঞ্ছারামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোল্লা মো. নাসির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম শিবলী, সহ-সভাপতি ফয়সল আহমেদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে রাব্বি রিফাত, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সোহাইল আহমেদ, সিনিয়র সাংবাদিক শাহীন আহমেদ সাজু, দপ্তর সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ পলাশ মিয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য আলাউদ্দিন সাদীসহ অন্যান্য সদস্যরা। 

ইউএনও ফেরদৌস আরা বলেন, “সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। তাদের জন্য একটি সুন্দর, নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব। প্রেসক্লাব ভবনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন হবে বলে আশা করি।”

ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, “সাংবাদিকদের কল্যাণে নেওয়া এই মহতী উদ্যোগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবসময় সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”

প্রেসক্লাব সভাপতি মোল্লা মো. নাসির আহমেদ বলেন, “দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে নিজস্ব ভবনের কাজ শুরু হওয়ায় আমরা গর্বিত ও আনন্দিত।”

সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম শিবলী বলেন, “এই ভবন শুধু ইট-পাথরের কাঠামো নয়, এটি আমাদের আশা, আকাঙ্ক্ষা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক।”

সহ-সভাপতি ফয়সল আহমেদ খান বলেন, “সবার ঐক্য ও সহমর্মিতায় আজকের এই সফলতা এসেছে। সামনে আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।”

দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্টকারীদের দমনে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : মুহাম্মদ শাহজাহান

দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্টকারীদের দমনে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : মুহাম্মদ শাহজাহান

চকরিয়া টাইমস : 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সম্ভাবনার এই লগ্নে বিভিন্ন অপকর্মমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তারা দুষ্কৃতকারী। অসাধু উদ্দেশ্যে দেশকে নৈরাজ্যকর ও অস্থিতিশীল করার জন্য লিপ্ত রয়েছে গণতন্ত্র ধ্বংসকারীরা। দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্টকারী এই অপশক্তি দমনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

বুধবার (৭ মে) সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম অঞ্চল দায়িত্বশীলদের এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
মুহাম্মদ শাহজাহান আরও বলেন, সরকারকে কোনো ধরনের সময় বা সুযোগ না দিয়েই রাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। অবৈধভাবে অর্থ ছড়িয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীকে উত্তেজিত করে রাজপথে নামানো হচ্ছে। এখন সময় এসেছে এই ষড়যন্ত্র এবং অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেওয়ার। সরকারকে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে এবং দৃঢ়তার সাথে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে, যেকোনো ধরনের বৈষম্য এবং ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে হবে, যাতে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি উন্নয়নের পথে এগিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিস্টের মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দী রয়েছেন। আমরা আজকের বৈঠক থেকে আমাদের প্রিয় নেতা এটিএম আজহার ভাইয়ের মুক্তির দাবি করছি।
চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের দেওয়ানবাজারস্থ বাংলাদেশ ইসলামিক একাডেমি (বিআইএ) কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত অঞ্চল দায়িত্বশীল সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক আহছানুল্লা ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য মুহাম্মদ জাফর সাদেক, অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আমিরুজ্জামান, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান ও অধ্যাপক নুরুল আমিন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমির আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমির আলাউদ্দিন শিকদার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা আমির অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা আমির মাওলানা আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও নগর জামায়াতের নায়েবে আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কক্সবাজার জেলা নায়েবে আমীর মুফতি মাওলানা হাবিবুল্লাহ,রাঙামাটি জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, নগর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সেক্রেটারি আবদুল জব্বার, কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম, রাঙামাটি জেলা সেক্রেটারি মনছুরুল আলম, খাগড়াছড়ি জেলা সেক্রেটারি মিনহাজুর রহমান, বান্দরবান জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল আউয়াল প্রমুখ।
চট্টগ্রামের বির্জাখাল খনন শুরু করেছে জামায়াত

চট্টগ্রামের বির্জাখাল খনন শুরু করেছে জামায়াত

'জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য জামায়াতকে স্বাগত জানাচ্ছি' -ডা. শাহাদাত হোসেন

'হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা ভুলে আমরা মানুষের জন্য কাজ করতে চাই' - শাহজাহান চৌধুরী
চকরিয়া টাইমস: ‘সবার সহযোগিতায় বির্জাখাল পাবে প্রাণ’ এই স্লোগানকে ধারণ করে চট্টগ্রাম নগরবাসীর দুঃখ খ্যাত জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে বির্জাখাল খনন কার্যক্রম ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে।
আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়াস্থ ইছহাকের পুল এলাকার অছি মিয়া দোস্ত ভবনের মাঠে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে এক গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, শপথ নেয়ার পর থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনে আমি মনে করেছি সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। চট্টগ্রাম নগরী কারো একার শহর নয়। সকলের দেশ ও শহরের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে, তাহলেই দেশ ও শহর সমৃদ্ধ হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে এই উদ্যোগের জন্য আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে স্বাগত জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে উন্নয়নের নামে চট্টগ্রাম নগরকে জলাবদ্ধতার নগরীতে পরিণত করা হয়েছে। আইন আইনের জায়গায় থাকবে। এখন থেকে আমরা কঠোর হবো। দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে হলে আইনের সঠিক বাস্তবায়ন করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনসহ সব ধরনের উন্নয়নে সিটি কর্পোরেশনকে আমরা সর্বোচ্চ সহায়তা করব। হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা ভুলে আমরা মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।
তিনি বলেন, আমাদের কয়েকটা বাজারের দায়িত্ব দিন। সেই বাজারগুলোকে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা চায়নার শহরের মত সুন্দর বাজার উপহার দিবে। পাশাপাশি ১০টি স্কুলের কাজ করার সুযোগ দিন। সেগুলোর আঙ্গিনাসহ আশেপাশের এলাকা জামায়াতের কর্মীরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে দেবে, ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার আই ইউ এ চৌধুরী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ও মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মানজারে খোরশেদ, ইঞ্জিনিয়ার মোমিনুল হক, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, সাংগঠনিক সম্পাদক, চট্টগ্রাম-১০ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, চট্টগ্রাম-৯ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. এ কে এম ফজলুল হক, বাকলিয়া থানার আমির সুলতান আহমদ, নায়েবে আমির আবুল মনসুর, সেক্রেটারি নুর আহমদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কাজী হাসান বিন শামস্, ইঞ্জিনিয়ার ফাহমি, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, নগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মমতাজুর রহমান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, হামেদ হাসান ইলাহী, অধ্যক্ষ মাওলানা জাকের হোসাইন, আমির হোসাইন, আবু বকর ছিদ্দিক, বিশিষ্ট ব্যাংকার এয়াকুব আলী, কোতোয়ালী থানা নায়েবে আমীর অধ্যাপক আবদুজ্জাহের, চকবাজার থানার নায়েবে আমির আবদুল হান্নান, কোতোয়ালী থানার সেক্রেটারি মোস্তাক আহমদ, চকবাজার থানার এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি শহিদুল্লাহ, কোতোয়ালী থানার এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আ ন ম জোবায়ের প্রমুখ।
গণসমাবেশ শেষে প্রধান অতিথি সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে ও নগর জামায়াতের আমীর শাহজাহান চৌধুরীসহ খাল খনন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ সময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণসহ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী এবং বাকলিয়া এলাকার সর্বস্তরের জনগণ উপস্থিত ছিলেন। এই উদ্যোগের কারণে জনগণের মধ্যে উৎসাহ উদ্দিপনা দেখা দেয়। তারা জামায়াতে ইসলামীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং জামায়াতে ইসলামীর সাথে থাকার ইচ্ছাপোষণ করেন। বির্জাখাল এলাকায় উৎসবের আমেজে পরিণত হয়।
দুই উপজেলার মেলবন্ধন এক বাঁশের সাঁকো

দুই উপজেলার মেলবন্ধন এক বাঁশের সাঁকো

সোহাইল আহমেদ, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবা‌ড়িয়া): 

তিতাস নদীর উপর অস্থায়ী সাঁকো, পাকা সেতুর দাবি ৩৫ হাজার মানুষের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে তিতাস নদীর উপর নির্মিত অস্থায়ী বাঁশের সাঁকোই এখন ভরসা দুই উপজেলার ১৭ গ্রামের প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের। অর্ধশত বছর ধরে এই স্থানে খেয়া নৌকায় পারাপার করতে গিয়ে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হতো এলাকাবাসীর। তবে গত ৪-৫ বছর ধরে এই বাঁশের সাঁকো নির্মিত হওয়ায় মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। এখন ঝুঁকি নিয়ে হলেও দ্রুত নদী পারাপার করতে পারছে তারা।

সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী জানিয়েছেন, তিতাস নদীর উপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মিত হলে বাঞ্ছারামপুর ও নবীনগর উপজেলার প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। বিশেষ করে নবীনগর উপজেলার অন্তত ১৭ হাজার মানুষ কম সময়ে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে পারবে।

স্থানীয়দের দাবি উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের চরলোহনিয়া ওয়াই সেতুর নিচ থেকে তিতাস নদীর একটি শাখা কলাকান্দি, পূর্বহাটি, ফরদাবাদ, পিঁপড়িয়াকান্দা, দুবাচাইল, বাজে বিশারা, ভিটিবিশারা, গোকুলনগরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ওপর দিয়ে ইমামনগর পর্যন্ত প্রবাহিত। অর্ধশত বছর ধরে এই স্থানে খেয়া নৌকা চলাচল করত। কিন্তু নৌকায় পার হতে সময় লাগার পাশাপাশি ঝুঁকিও ছিলো অনেক।

অবশেষে এলাকাবাসীর নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় আড়াই লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। এই সাঁকো ব্যবহার করে দুই উপজেলার মানুষ প্রতিদিন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরসহ ঢাকা, কুমিল্লা, মুরাদনগর ও নবীনগরে যাতায়াত করছে। তবে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি এই সাঁকোটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং বর্ষাকালে চলাচল আরও কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। 

সাঁকোটি ব্যবহার করে নবীনগর উপজেলার রতনপুর, শ্রীকাইল, ভিটিবিশারা, বাজে বিশারা, শাগদা, পেন্নাই, চন্দ্রনাইল, দুবাচাইল, সাহাপুর, সাতমোড়া, মোল্লা ও ভাউচাইল গ্রামের মানুষ কড়িকান্দি ফেরি পার হয়ে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছে। অন্যদিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ইমামনগর, দরিকান্দি, গোকুলনগর, খাল্লা ও ফরদাবাদ গ্রামের মানুষ নবীনগরসহ কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে যাতায়াত করছে। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে।

স্থানীয়দের দাবি দ্রুত সেতু নির্মাণ স্থানীয়দের মতে, তিতাস নদীর উপর একটি পাকা সেতু নির্মিত হলে দুই উপজেলার প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে। এতে নবীনগরের অন্তত ১৭ হাজার মানুষ কম সময়ে ঢাকা যেতে পারবে। এলাকাবাসী দ্রুত একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে বলেছেন, বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

তাদের দাবি, প্রশাসনের নজরদারি ও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ দূর হবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থারও উন্নতি হবে।

নতুন কমিটি ঘোষণা, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজের প্রতিশ্রুতি: মাহবুবুর রহমান

নতুন কমিটি ঘোষণা, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজের প্রতিশ্রুতি: মাহবুবুর রহমান

সোহাইল আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার: 

ছাত্র-তরুণরা ধ্বংসের মুখে থাকা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ার সুযোগ দিয়েছে উল্লেখ‌ করে মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অধ‌্যাপক মাহবুবুর রহমান

বৃহস্পতিবার  (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকা‌লে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উদ্যোগে  মাওলাগঞ্জ বাজার অ‌ডি‌টোরিয়ামে এক জনসভায়  তিনি এ কথা বলেন। মাও‌লানা জুবা‌য়ের আহ‌মে‌দ ও মাওলানা নুরুদ্দি‌নের সঞ্চলনায় সভাপতিত্বে ক‌রেন মোহম্মদ শামসুল হক (সুমন)

মাহবুবুর রহমান ব‌লেন, ‘ছাত্র তরুণরা ধ্বংসের মুখে থাকা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ার সুযোগ দিয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। মতপার্থক্য নিয়েই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে সবাইকে।’

তিনি আরও ব‌লেন আমাদের লক্ষ্য একটাই, বাংলাদেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করা। যেখানে জুলুম, দুর্নীতি, অন্যায় থাকবে না। থাকবে শান্তি, সমৃদ্ধি, মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ববোধ এবং সাম্য। সেই রাষ্ট্র হবে ইসলামি মূল্যবোধের রাষ্ট্র। এ জন্য আমরা ইসলাম, দেশ ও মানবতার পক্ষের শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়াস নিয়েছি। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী দিনে দেশ গড়ার কাজ করতে চাই। ইসলামের পক্ষে বৃহত্তর ঐক্যের জন্য এই প্রয়াস ইনশা আল্লাহ সফল হবে

সভায় প্রধান বক্তা হি‌সা‌বে উপ‌স্থিত ছি‌লেন অধ‌্যাপক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা গাজী নিয়াজুল ক‌রীম, মুফ‌তি মাসুম বিল্লাহ, মাওলানা জা‌কির হোসাইন,হা‌ফেজ কারী মোহাম্মদ আলী, মুফ‌তি সাইদুর ইসলাম আল মাদানী, মাওলানা জ‌মির হোসাইন সি‌দ্দিকী, আলমগীর হোসাইন (বাদল), মুফ‌তি মাসুম বিল্লাহ ফরিদী আরও উপ‌স্থিত‌ ছি‌লেন হা‌ফেজ আশ্রাফ আলী, মুফ‌তি শেখ সাদী বিন আব্দুল মজীদ, মুফ‌তি মোবারক উল্লাহ সিরাজী, শ‌ফিক মিয়া প্রমূখ। 

প‌রে স‌ম্মেলন শে‌ষে দুই (২০২৫-২৬) বছ‌র মেয়াদী নতুন ক‌মি‌টি গঠন করা হয় সভাপ‌তি মো: শামসুল হক সুমন, সহসভাপ‌তি মো: জুবা‌য়ের আহ‌মেদ, সহসভাপ‌তি মুফ‌তি সাইদুল ইসলাম, সে‌ক্রেটা‌রি মওলানা জা‌কির হোসাইন, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক মাওলানা নুরু‌দ্দিন।

নতুন কোনো ফ্যাসিবাদকে বাংলাদেশের জনগণ রাজনীতি করতে দেবে না : মুহাম্মদ শাহজাহান

নতুন কোনো ফ্যাসিবাদকে বাংলাদেশের জনগণ রাজনীতি করতে দেবে না : মুহাম্মদ শাহজাহান

নিউজ ডেস্ক :

শেখ হাসিনা অনেক গুলো খুনের মাস্টারমাইন্ড ছিলো। জনগণ দেখতে চায় নিজামী যে রশিতে ফাঁসিতে ঝুলেছে হাসিনাকেও সেই রশিতে ঝুলতে হবে। শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নোয়াখালী জেলা শাখার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
নোয়াখালী জিলা স্কুল মাঠে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এর উদ্যোগে বুধবার (২৫ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এক বিশাল কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ফেডারেশন জেলা সভাপতি এডভোকেট জহিরুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান।
মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আওয়ামী সরকারের আমলে সাংবাদিক, শ্রমিক, রাজনীতিবিদ ও আলেম-ওলামা কাউকেই ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কোনো আন্দোলন করতে দেয়া হয়নি। বরং তাদেরকে গুম, খুন ও হত্যাকান্ড এবং জেল জুলুম সহ বিভিন্ন নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছে। হাসিনা সরকারের আমলে শ্রমিকরা কোনো আন্দোলন করতে পারেনি। শ্রমিকরা দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে, অথচ তারা নূন্যতম মজুরীর সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শ্রমিক অঙ্গনে নির্যাতনকারী শ্রমীক লীগকে বেআইনি ঘোষণা ও নির্যাতনকারীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রধান অতিথি বলেন, শেখ পরিবার দেশের কোটি কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। তারা শিক্ষাব্যবস্থা ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। জুলাই-আগস্টের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নোয়াখালীর ২৫ জন সাধারণ জনগণ নতুন বাংলাদেশের জন্য শাহাদাত বরণ করেছে এবং একটি উপজেলায় শেখ হাসিনার অন্যায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে ৭ জন মানুষ জীবন দিয়েছে। সেই জেলা এবং সেই বাংলাদেশকে আমরা সঠিক পথ হারাতে দেবো না।
মাওলানা শাহজাহান তার বক্তৃতায় বলেন, শ্রমিক অঙ্গনের নেতৃত্বে ও ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নে আমাদেরকে নেতৃত্ব গ্রহণ করতে হবে। ইসলামি সমাজ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়া বৈষম্যহীন শ্রমনীতি ও সমাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান। তিনি বলেন হাসিনা সরকারের আমলে নূন্যতম মজুরির দাবীতে আন্দোলনরত ৪ জন শ্রমিককে খুন করা হয়েছে। এই খুনের অপরাধে শেখ হাসিনাকে বিশেষ ট্রাইবুনালে বিচার করতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরা সদস্য জনাব ইসহাক খন্দকার। তিনি বলেন, নোয়াখালী জিলা স্কুল মাঠ ছিলো আল্লামা সাঈদীর কুরআন তাফসীরের মাঠ। আমরা শপথ করবো মানুষের ঘরে ঘরে আল-কুরআনের কথা ছড়িয়ে দেবো। উক্ত সম্মেলনে ৭ দফা প্রস্তাব গৃহীত হয়।
উক্ত কর্মী সম্মেলনে সকাল নয়টার পূর্বেই পেন্ডেলের সকল আসন কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে শ্রমিক নেতা ও কর্মীগণ সম্মেলনে যোগদান করেন।
জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজওয়ানুল হকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি এ এস এম লুৎফুর রহমান, কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ মোঃ আব্দুস সালাম, নোয়াখালী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা নিজাম উদ্দিন ফারুক, জেলা নায়েবে আমির মাওলানা সাইয়েদ আহাম্মদ, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা বোরহান উদ্দিন , ইসলামী ছাত্রশিবির নোয়াখালী শহর সেক্রেটারি ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান আরমান।
সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলার আমীর ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ উৎসব মুখর পরিবেশে উপস্থিত ছিলেন।
রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মত হুঙ্কার দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে ছাত্রজনতা : শাহজাহান চৌধুরী

রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মত হুঙ্কার দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে ছাত্রজনতা : শাহজাহান চৌধুরী

চকরিয়া টাইমস :

২০২৪ সালের ৩৬ জুলাইয়ে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মত হুঙ্কার দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে ছাত্রজনতা। সেদিন বাংলাদেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ ছাত্রদের পাশে দাঁড়াতে রাস্তায় নেমে এসেছিল।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মুহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খায়রুল বাশার, নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, নগর কর্মপরিষদ সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল, প্রফেসর সাইফুল্লাহ, কোতোয়ালী থানা আমীর মুহাম্মদ আমির হোসাইন, ডবলমুরিং থানা আমীর ফারুকে আজম, চকবাজার থানা আমীর আহমেদ খালেদুল আনোয়ার, পাঁচলাইশ থানা আমীর মাহবুবুর রহমান রুমি প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগরী আমীর শাহজাহান চৌধুরী আরও বলেন, ৫ আগস্টের আগের শত্রুরা নতুন পরিচয়ে আবারও মাঠে নেমেছে। তাদেরকে প্রতিহত করতে না পারলে বিরাট একটি অধ্যায় ছাত্রজনতাকে আবারও অতিক্রম করতে হবে। না হয় ১৯৭১ সাল পরবর্তী সেই কালো অধ্যায়ের সম্মুখীন হবে দেশ। প্রকৃত আন্দোলনকারীদের চিহ্নিত করে আমাদের সংগঠিত করতে হবে যাতে ১৯৭১ সালের মতো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার উদ্ভব না হয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসরদের কোন অবস্থাতেই ছাড় দেয়া যাবে না। বুর্জুয়াদের টাকাপয়সা ধনসম্পদ সামলানোর জন্য এক শ্রেণির মানুষ দায়িত্ব নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সচেতন থাকতে হবে।

নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ ছিল ইসলাম বিরোধী, যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই ইসলামের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে দলটি। তারা গণতন্ত্রও ধ্বংস করে দিয়েছে। পার্শ্ববর্তী একটি দেশের লেজুড়বৃত্তি করে সর্বশেষ সাড়ে ১৫টি বছর তারা ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল। আওয়ামী লীগ এর বিনিময়ে দেশকে ভারতের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল।
মতবিনিময় সভায় শহিদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহিদ ফয়সাল আহমেদ শান্ত’র মা কহিনুর আক্তার, শহিদ কাউছার হামিদের মা নুর জাহান। আহতদের মধ্যে তাওহিদুল ইসলাম, নুর হোসেন, মোহাম্মদ ওয়ালি হোসেন, মিছবাহ উদ্দিন, মাহবুব তালুকদার, জাহাঙ্গীর আলম, সাইয়েদ মাহমুদুল হাসান, মুহাম্মদ ইমরান হোসেন, আহত জুবায়েরের মা দিলোয়ারা বেগম প্রমুখ।
‘জনকল্যাণমূখী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে চারিত্রিক সংশোধন ও রাষ্ট্রীয় সংস্কার অপরিহার্য’

‘জনকল্যাণমূখী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে চারিত্রিক সংশোধন ও রাষ্ট্রীয় সংস্কার অপরিহার্য’

হালিশহর থানা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে মুহাম্মদ শাহজাহান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার। সেই সাথে তাদের দলীয় অঙ্গসংগঠনগুলো চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলে মত্ত ছিল। বিশ্বের বুকে এ দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নেয়ার জন্য আমাদেরকে কাজ করতে হবে। জনকল্যাণমূখী এক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে চারিত্রিক সংশোধন ও রাষ্ট্রীয় সংস্কার অপরিহার্য। 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানার উদ্যোগে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ জামায়াত-শিবির ও জনতার উপর চরম নির্যাতন হামলা মামলা চালিয়েছে। নির্যাতিত নিরীহ জনতার ঘর-বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে। খুন, গুম ও অপহরণ চালিয়ে গোটা দেশে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হয়েছে। যারা আল্লাহর কাছে শহীদি তামান্না কামনা করে তাদেরকে জেল জুলুম চালিয়ে দমিয়ে রাখা যায় না। একটি আদর্শ আন্দোলনের নেতা-কর্মীকে হত্যা করা যায় কিন্তু আদর্শকে হত্যা করা যায় না। হত্যা জেল জুলুম নির্যাতন চালিয়ে ইসলামী আন্দোলনকে নিশ্চিহ্ন করা যায় না। 

হালিশহর থানা জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ফখরে জাহান সিরাজী সবুজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মী সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর বিশিষ্ট পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, নগর সহকারী সেক্রেটারি মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী। অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবির মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, জামায়াত নেতা অধ্যাপক মুহাম্মদ নুর, বন্দর থানা আমীর মাহমুদুল আলম, সদরঘাট থানা আমীর আব্দুল গফুর, হালিশহর থানা নায়েবে আমীর ড. মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, জামায়াত নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মঞ্জুরুল হক, শহীদ আবিদ বিন ইসলামের পিতা এডভোকেট মনিরুল ইসলাম, ছাত্রনেতা আবু শাহাদাত সায়েম, আব্দুল ফাত্তাহ উসামা প্রমুখ।

নগর আমীর শাহজাহান চৌধুরী বলেন, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান- আমরা সবাই এ দেশের গর্বিত নাগরিক। আমরা সবাইকে নিয়ে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে কোনো দরিদ্র থাকবে না, ক্ষুধামুক্ত, ভয়ভীতিমুক্ত ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে চাই। বর্তমানে দেশে একটি শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এই শান্তির পরিবেশকে অরাজকতার পরিবেশে সৃষ্টি করার জন্য একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। এই অরাজকতার পরিবেশ যাতে তৈরি করতে না পারে, এ জন্য আমাদের সব কর্মীকে একতাবদ্ধ থেকে এই অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। 

বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো সকল সামর্থবানদের নৈতিক দায়িত্ব : মুহাম্মদ শাহজাহান

বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো সকল সামর্থবানদের নৈতিক দায়িত্ব : মুহাম্মদ শাহজাহান

নিজস্ব প্রতিবেদক : 


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, বানভাসী মানুষগুলো আজ বড় অসহায়। বহু কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছে বন্যা দুর্গতরা। তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে সহানুভূতি প্রকাশ করা সামর্থবানদের নৈতিক দায়িত্ব। 

তিনি বলেন, যে কোন দুর্যোগে মানবিক সহায়তায় জামায়াতে ইসলামীর পাশাপাশি ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরও পিছিয়ে নেই। তার প্রমাণ আজকের এই ত্রাণ সহায়তা। জামায়াত-শিবিরের পাশাপাশি সরকারকে সহযোগিতায় বন্যার্ত মানুষের পাশে সকল বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত। 

সোমবার (২৬ আগস্ট) ফেনীতে বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তরের ব্যবস্থাপনায় ত্রাণ সামগ্রি বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। 

এসময় ফেনী জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা শামসুদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এ.টি.এম মিছবাউল হক, মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি ফখরুল ইমলাম, আইআইইউসি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহাম্মদ হাসনাইন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

রাঙ্গামাটি লংদুতে বজ্রপাতে নিহত পাঁচ পরিবারে আমীরে জামায়াতের পক্ষ থেকে অর্থ সহায়তা

রাঙ্গামাটি লংদুতে বজ্রপাতে নিহত পাঁচ পরিবারে আমীরে জামায়াতের পক্ষ থেকে অর্থ সহায়তা

বার্তা পরিবেশক : 

পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির দূর্গম এলাকা লংগদু উপজেলাধীন ভাসান্যাদম ও করল্যাছড়িতে বজ্রপাতে মারা যাওয়া ৫জনের পরিবারের মাঝে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর মানবিক নেতা ডাঃ শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে অর্থ সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। 

শনিবার (২৯জুন) জামায়াতে ইসলামী লংগদু উপজেলা আমীর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে আর্থিক সহায়তা প্রদান ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান। তিনি আমীরে জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে প্রতি পরিবারের স্বজনদের হাতে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। 

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ আবদুল আলীম। এসময় জেলা সহকারী সেক্রেটারি মনছুরুল হক, জেলা প্রচার সেক্রেটারি এডভোকেট হারুনুর রশীদ, উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা এ.এল.এম সিরাজুল ইসলাম, জামায়াত নেতা খন্দকার মতিউর রহমান, ডা. ছিদ্দিকুর রহমান খোকনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, গণ্যমান্য ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

বাংলা রচনা লিখন প্রতিযোগিতায় চকরিয়ার রাইসা বিভাগ চ্যাম্পিয়ন

বাংলা রচনা লিখন প্রতিযোগিতায় চকরিয়ার রাইসা বিভাগ চ্যাম্পিয়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ এর নির্ধারিত বাংলা রচনা লিখন প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চকরিয়া উপজেলার বহদ্দারকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী আফিফা আফতাব রাইসা। এরই মধ্যদিয়ে কৃতি শিক্ষার্থী রাইসা জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করেছে।  

জানা গেছে, মেধাবি শিক্ষার্থী রাইসা জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ নির্ধারিত রচনা প্রতিযোগিতায় ওই বিদ্যালয় থেকে অংশ গ্রহণ করে চকরিয়া উপজেলা, কক্সবাজার জেলা পর্যায়ে প্রথম হয়। পরে চকরিয়ার মেয়ে কক্সবাজার জেলার প্রতিনিধিত্ব করতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে রাইসা। সেখানেও বিভাগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ক্ষুদে রাইসা কৃতীত্বের সাক্ষর রাখে ধারাবাহিকভাবে। এরই ধারাবাহিকতায় চকরিয়ার মেয়ে আফিফা আফতাব রাইসা এবার অংশগ্রহণ করবে জাতীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায়। সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলে তার জন্য চকরিয়া তথা জেলাবাসীর দোয়া কামনা করেন।

দেশ ও জাতির কল্যাণে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই : মহাসচিব কামরুল ইসলাম

দেশ ও জাতির কল্যাণে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই : মহাসচিব কামরুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম বিভাগীয় মতবিনিময় ও বর্ধিত সভা শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকাল পাঁচটায় কক্সবাজার শহরের ডিঙ্গি রেস্টুরেন্ট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভাপতি মো. খাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কেফায়েত উল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মো. কামরুল ইসলাম। 

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১৪ এপিবিএনের কমান্ডার ডিআইজি মোহাম্মদ ইকবাল ও এপিবিএনের কমান্ডার ডিআইজি মোঃ আমির জাফর (বিপিএম)। 

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শাহজাহান মোল্লা, মমিনুর রশিদ শাহীন, প্রেসিডিয়াম সদস্য কক্সবাজার জেলা কমিটির সভাপতি কামাল হোসেন আজাদ, যুগ্ম মহাসচিব মো. আব্দুল মজিদ, কে.এম রুবেল, কাজী মাহমুদুল হাসান, সালাউদ্দিন আহমেদ, জনকল্যাণ সচিব কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জসীম উদ্দিন, তথ্য ও প্রযুক্তি সচিব মো. আবেদ আলী ও কক্সবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. উসমান গনি ইলি।

এসময় চট্টগ্রাম বিভাগের সহ-সভাপতি এস.এম খালেক মুসা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোবারক হোসেন, কক্সবাজার জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মো. নুরুল আমিন হেলালী, সহ-সাধারণ সম্পাদক রাশেদ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক ছৈয়দ আমিন, ঈদগাঁও উপজেলা শাখার সভাপতি শেফায়েল উদ্দিন, চকরিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি জামাল হোছাইন, সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল শাহেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন টিপু, অর্থ সম্পাদক রুহুল কাদের, সংবাদকর্মী ইমন উদ্দিন ফারুক, ফাহিম আবিদ, সুমন, আবছার, আশিকসহ বিভিন্ন উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  

বক্তারা বলেন, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাথে জড়িত সকল সংবাদকর্মীকে সৎ ও দক্ষ গণমাধ্যমকর্মী হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে পিআইবিসহ গুরুত্বপূর্ণ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, অনৈক্যের কারণে আজ সাংবাদিকরা নির্যাতিত হচ্ছে। দেশের সর্বত্রই সাংবাদিকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারীরা তৎপর। সাময়িক স্বার্থ হাসিলের জন্য কুচক্রী মহল এসবে ইন্দন যোগাচ্ছে। বস্তুনিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে তাদের চিহ্নিত করে জাতির কাছে মুখোশ উন্মোচন করে দিতে হবে। তাই দলমত নির্বিশেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। 

একজন সৎ সাংবাদিকের কোন বন্ধু নেই উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, সুবিধা বঞ্চিত প্রকৃত সংবাদকর্মীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে সামর্থের আলোকে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি নির্যাতিত সাংবাদিকদের পাশে থেকে এর প্রতিবাদে সোচ্চার ভূমিকাসহ ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের সহযোগিতায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে মতপ্রকাশ করেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। 

সভা থেকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মো. কামরুল ইসলাম কক্সবাজার জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মো. নুরুল আমিন হেলালীকে সভাপতি পদে মনোনীত করে নতুন সভাপতি হিসেবে নাম ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, এরপূর্বে জেলা কমিটির আগের সভাপতি কক্সবাজারের সিনিয়র সাংবাদিক কামাল হোসেন আজাদকে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটিতে সহ-সভাপতি মনোনীত করা হয়।

নিজগ্রাম বাঁশখালীতেই শায়িত হলেন বারবাকিয়ার জামাতা প্রফেসর ড. রফিকুল আলম

নিজগ্রাম বাঁশখালীতেই শায়িত হলেন বারবাকিয়ার জামাতা প্রফেসর ড. রফিকুল আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আধ্যাত্মিক সাধক সর্বজন শ্রদ্ধেয় মাওলানা বদিউল আলমের বড় জামাতা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর সাবেক বিভাগীয় প্রধান ডক্টর এস.এম রফিকুল আলমের নামাযে জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৩অক্টোবর) দুপুর দুইটায় মরহুম প্রফেসরের নিজ গ্রামেরবাড়ি পেকুয়া উপজেলার পাশ্ববর্তী উপজেলা বাঁশখালীর শীলকূপে খতিমা পুকুরপাড় স্থানীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মরহুমের শ্বাশুর বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমেদ্বীন মাওলানা বদিউল আলম। 

বিশাল নামাযে জানাযায় অংশগ্রহণ করেন বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মুহাম্মদ গালিব সাদলী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, পৌর মেয়র এডভোকেট তোফায়েল বিন হোসেন, বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ডক্টর প্রফেসর গিয়াস উদ্দিন তালুকদার, মরহুমের কর্মস্থল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের সহকর্মী-শিক্ষার্থী এবং উপজেলার বিশিষ্টজন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। পরে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের লাশ চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রফেসর ডক্টর এস.এম রফিকুল আলম সোমবার (২অক্টোবর) চট্টগ্রামস্থ নিজবাসায় ভোরে ফজরের নামাযরত অবস্থায় হঠাৎ ব্রেইন স্ট্রোক করেন। পরে বিষয়টি পরিবারের লোকজন অবগত হলে তাঁকে চট্টগ্রাম শহরের বেসরকারি ক্লিনিক ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে কুমিল্লা ইস্টার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে স্ত্রী, চার ছেলে সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। 

গ্রামীণ ব্যাংক বোয়ালখালীর গোমদন্ডী শাখায় বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন

গ্রামীণ ব্যাংক বোয়ালখালীর গোমদন্ডী শাখায় বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন

বার্তা পরিবেশক : 

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ঘোষিত সারা দেশব্যাপী বৃক্ষরোপন কর্মসূচি বাস্তবায়ন উপলক্ষে মঙ্গলবার (২০ শে) জুন গ্রামীণ ব্যাংক বোয়াখালীর গোমদন্ডী শাখায় বৃক্ষরোপন অভিযান পালন করা হয়েছে। 

বিশ্বব্যাপী  উষ্ণতা বৃদ্ধি, প্রকৃতিক পরিবেশ বিপন্ন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনযজ্ঞে যে সংকট তৈরি হয়েছে, সেখান থেকে পরিত্রাণের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক প্রাধান কার্যালয় বর্ষকাল ব্যাপী বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম যোনের নবাগত যোনাল ম্যানেজার কে এম রহমত উল্লাহ এর নির্দেশনায় বোয়ালখালী এরিয়ার এরিয়া ম্যানেজার মোঃ রফিকুল ইসলাম এর তত্বাবধানে এরিয়ার ১২টি শাখায় ব্যাপক আয়োজনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। 

গোমদন্ডী শাখার শাখা ব্যবস্থাপক মোক্তার আহমেদ এর নেতৃত্বে শাখার সকল সহকর্মী স্বতঃস্ফূর্তভাবে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করে। এ সময় কেন্দ্রে কেন্দ্রে সকল সদস্য কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে বাড়ির আঙিনায় পতিত জায়গায় ও রাস্তার দু'পাশে বৃক্ষরোপন করে। 

গ্রামীণ ব্যাংকের এই কর্মসূচি এলাকায় সাড়া জাগিয়েছে এবং সাধারণ জনগণকে বৃক্ষ রোপনে উৎসাহিত করেছে। বোয়ালখালী এরিয়ার এরিয়া ম্যানেজার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় আমাদের বৃক্ষ রোপন অব্যাহত থাকবে। 

গ্রামীণ ব্যাংক সবসময় দেশ ও জাতির কল্যাণে অগ্রগামী। গোমদন্ডী শাখার শাখা ব্যবস্থাপক মোক্তার আহমেদ বলেন, নোবেল বিজয়ী এই প্রতিষ্ঠান মানুষের জন্য নিবেদিত। "গাছে গাছে ভরবে দেশ, সবুজ হবে বাংলাদেশ" এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গ্রামীণ ব্যাংক সকল কর্মকর্তা/ কর্মচারী ও সদস্যের সাথে সবুজ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে। এই সময় শাখার ৬৩টি কেন্দ্রে এক সাথে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি পালিত হয়।

গরম তেলে পড়ে শিশুর মৃত্যু

গরম তেলে পড়ে শিশুর মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক :

চট্টগ্রামের রাউজানে নাস্তা তৈরির গরম তেলে পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম আবু সাঈদ আদিল। তার বয়স সাড়ে ৩ বছর। শিশু আদিল উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ওমান প্রবাসী আবু তৈয়বের ছেলে।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় শিশুর মা আফসানা নুর নাস্তা তৈরির জন্য চুলায় কড়াই বসিয়ে তেল দেন। শিশু আদিল দৌড়ে তার মায়ের কোলে উঠতে গিয়ে গরম তেলের কড়াইতে পড়ে ঝলসে যায়। পরিবারের সদস্যরা প্রথমে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করান। সেখানে তার মৃত্যু হয়।

আদিলের দাদি আছিয়া বেগম ও জেঠা মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, গরম তেলে পড়ে আদিলের মৃত্যু হয়েছে।
থানার উপ-পরিদর্শক মো. জহির উদ্দিন বলেন, গরম তেলে দগ্ধ হয়ে ওই শিশু মারা গেছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। পরিবারের সদস্যদের কারো কোনো অভিযোগ নেই, ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়।
এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে এডিশনাল পিপি নিযুক্ত

এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে এডিশনাল পিপি নিযুক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে এডিশনাল পিপি (অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের কৃতি সন্তান প্রয়াত নুরুল হক চেয়ারম্যানের বড় ছেলে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে কর্মরত এডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম। 

তিনি সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চারবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান জননেতা আজিমুল হক আজিমের ভাতিজা।

এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম গত ২২ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে এডিশনাল পিপি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।

 ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক টিপু চট্টগ্রামে সংবর্ধিত

ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক টিপু চট্টগ্রামে সংবর্ধিত

উন্নয়নের মহাসড়ক ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার সারথি হতে নিজেকে নিবেদিত রাখতে চাই ---আবদুল বারেক টিপু 

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের নবমনোনীত সহ-সম্পাদক চকরিয়া ডুলাহাজারার কৃতি সন্তান আব্দুল বারেক টিপুকে সংবর্ধনা দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ। 

শুক্রবার (৯ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথার মোড় এলাকায় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ নেতা আসাদ বিন ইকবাল ও মহানগর ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের আহবায়ক মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণের মাধ্যমে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। 

এসময় চাঁন্দগাও থানা ছাত্রলীগের নেতা সাহেদ রনি, সাইফুল হক তুষার, নয়ন, রুবেল, জাহেদসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিট কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের নবমনোনীত সহ-সম্পাদক ছাত্রনেতা আব্দুল বারেক টিপু বলেন, উন্নয়নের মহাসড়ক ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে দেশকে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে তারই সারথি হতে একজন ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে নিজেকে নিবেদিত রাখতে চাই। একঝাঁক রাজপথের একনিষ্ঠ সহযোদ্ধা কর্তৃক আজকের সংবর্ধনা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি আজীবন আপনাদের ভালোবাসার এ ঋণে আবদ্ধ থাকবো। 

আপনাদের সহযোগিতায় আমার নিজ এলাকা চকরিয়া তথা পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারসহ বিশেষ করে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ছাত্রসমাজের সামগ্রিক অসংগতি লাঘবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিচ্ছন্ন ছাত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করতে প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পতাকা তলে থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবো। তিনি সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন। 

পাশাপাশি এতো সুন্দর আয়োজনে সংবর্ধিত করার জন্য চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের নেতা আসাদ বিন ইকবাল ও মোস্তফা কামালসহ অন্যান্য নেতাকর্মীর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল বারেক টিপু।