Showing posts with label মুক্তমত. Show all posts
Showing posts with label মুক্তমত. Show all posts
বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য ‘পিআর’ পদ্ধতি’র বিকল্প নেই : কক্সবাজারে গোলটেবিল বৈঠক

বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য ‘পিআর’ পদ্ধতি’র বিকল্প নেই : কক্সবাজারে গোলটেবিল বৈঠক

চকরিয়া টাইমস :

জুলাই সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনসহ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত পাঁচ দফা দাবিতে ১১ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল সড়কস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা আমিরুল ইসলাম মীর, খেলাফত মজলিস কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা আবু মুছা, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মুফতী মাওলানা মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল খালেক নিজামী, খেলাফত মজলিস জেলা সেক্রেটারি মাওলানা জুনায়েদ মাহমুদ, নেজাম ইসলাম কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারি মাওলানা নূরুল হক আরমান, জাতীয় নাগরিক পার্টি জেলা সংগঠক অধ্যাপক ওমর ফারুক, জেলা যুব ইসলামী আন্দোলন সভাপতি নূরুল ইসলাম আজিজী, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জাফর উল্লাহ ইসলামাবাদী, অধ্যক্ষ মাওলানা শফিউল হক জিহাদী, কক্সবাজার ৩ সংসদীয় আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী শহিদুল আলম বাহাদুর, শ্রমিক নেতা মাওলানা মুহাম্মদ মুহসীন, শহর জামায়াতের সেক্রেটারি রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিল।
জেলা সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক জসিম উদ্দীন, অধ্যাপক নূরুল আজিম, অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, সাংবাদিক প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি কামাল হোসেন আজাদ, সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মোহাম্মদ হাশিম, দৈনিক নয়া দিগন্ত কক্সবাজার অফিস প্রধান জিএএম আশিক উল্লাহ, আমার দেশ প্রতিনিধি আনছার হোসেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন কক্সবাজার জেলা সহ-সভাপতি ছৈয়দুল হক সিকদার।
উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারি আল আমীন মু. সিরাজুল ইসলাম, জেলা অফিস সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শাহজাহান, কক্সবাজার সদর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক খুরশিদ আলম আনসারী,
ইসলামী আন্দোলন কক্সবাজার জেলা প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক মোহাম্মদ জুনাইদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক আবু নাসের, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোঃ ইসমাইল, মাওলানা শামসুল হক আজিজী, মাওলানা শাহজাহান আব্দুল্লাহ, মাওলানা মোস্তাফিজুল হক চৌধুরী, হাফিজ মাওলানা মুহাম্মদ ওমর ফারুক, দৈনিক হিমছড়ি সম্পাদক হাসানুর রশীদ, সাংবাদিক হুমায়ূন সিকদার, শহর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি দরবেশ আলী মুহাম্মদ আরমান, সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবদুর রশীদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দ।
বৈঠকে বক্তারা বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনামলে দেশের মানুষ সাড়ে পনেরো বছরে পর পর তিনটি নির্বাচনে ভোট প্রদান করতে পারেনি। প্রচলিত পদ্ধতির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আ'লীগ জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে দিনের ভোট রাতে এবং আমি ডামি মার্কা নির্বাচন করেছে। যার কারণে সুশাসনের পরিবর্তে দেশবাসী সাড়ে পনেরো বছর ফ্যাসিবাদী শাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে পড়েছিল। ২০২৪ সালের জুলাই গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ ছিল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ।
দুই হাজার শহীদের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ আবারো পুরানো কাঠামোতে ফিরে যাবে এটা দেশবাসী প্রত্যাশা করে না। তাই জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ইসলামী ও সমমনা দলগুলো 'পিআর' পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা অবিলম্বে জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি এবং সেই আলোকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় দেশে আবারো অবিশ্বাস, আস্থাহীনতা এবং নতুন ফ্যাসিবাদ তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল প্রশাসন, সচিবালয়, পুলিশসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে নিজস্ব বলয় তৈরি করে প্রভাব বিস্তারের আলামত পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই অবস্থায় নির্বাচন হলে সকল দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছাড়া নির্বাচন হলে দেশে অরাজকতা বৃদ্ধি পাবে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হবে যার কারণে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে যা আমরা কখনোই কামনা করি না। সুতরাং ক্ষমতার মোহ এবং দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির উর্ধ্বে উঠে দেশের সংকট সমাধানে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। বক্তারা আরো বলেন, আমরা পরিলক্ষিত করছি কক্সবাজার জেলাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে আওয়ামী চক্রের চিহ্নিত অপরাধী, সন্ত্রাসী ও ভোট ডাকাতরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পরিকল্পিত খুন-খারাবি করে জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে, প্রশাসনের ব্যর্থতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা বড় ধরনের অঘটন ঘটানোর চেষ্টা চালাবে আমরা চিহ্নিত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত এবং আ'লীগের দোসর জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। আমরা সকল ইসলামী দল দেশব্যাপী একটি বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলে ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে বদ্ধপরিকর।
দেশের মানুষ অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই। জন আকাঙ্ক্ষার সরকার যদি জনমানুষের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে ব্যর্থ হয় তাহলে দেশের মানুষ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।
চকরিয়ায় “প্রবীণ পরিচর্যা ও সুরক্ষায় সামাজিক অঙ্গীকার” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

চকরিয়ায় “প্রবীণ পরিচর্যা ও সুরক্ষায় সামাজিক অঙ্গীকার” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

চকরিয়া টাইমস:

চকরিয়ায় “প্রবীণ পরিচর্যা ও সুরক্ষায় সামাজিক অঙ্গীকার” শীর্ষক এক সেমিনার-২০২৫ উপজেলা পরিষদের মোহনা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকাল পাঁচটায় চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় এবং প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান চকরিয়া উপজেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত সেমিনারের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ তৈয়ব আলীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় সমাজসেবা একাডেমির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহী নেওয়াজ।

আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিগরপানখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মুজিবুল হক বিএসসি ও চকরিয়া সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রফেসর মুজিবুল হক রতন।

এসময় চকরিয়া আবাসিক মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. জুবাইদুল হক, চকরিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার সালেহ আহমদ, সদস্য মাস্টার আবুল কালাম, মাস্টার রাম প্রসাদ, হাজী রুকুন উদ্দিন, আলহাজ্ব এস.জি.এম আফজাল হোসেন (কাউসার)সহ প্রবীণ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে প্রবীণ পরিচর্যায় ভূমিকা পালন করায় মাস্টার সালেহ আহমদ ও উম্মে হাবিবার হাতে মমতাময়ী সম্মাননা তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।

আবদুল্লাহ আল ফারুক একজন কর্মস্পৃহা সম্পন্ন তরুণ জননেতা : মুসা বিপ্লব

আবদুল্লাহ আল ফারুক একজন কর্মস্পৃহা সম্পন্ন তরুণ জননেতা : মুসা বিপ্লব

 চকরিয়া টাইমস : 

মসজিদের ইমাম একজন দুনিয়া সেরা আলেম, সমাজে ও দেশে রয়েছে ব্যাপক খ্যাতি, তাকে জাতী প্রত্যাশা পূরণে প্রতি নিয়তে চলে যেতে হয়, গ্রামে গঞ্জে, শহরে নগরে এবং দুর দুরান্তে। এবার বলেন তাকে দিয়ে কি নিদিষ্ট কোনো মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ইমামতি করা সম্ভব? অবশ্য সম্ভব না। কারণ দেশ ও জাতীর বৃহত্তর স্বার্থে তার চাহিদা রয়েছে বেশ। তাই তাকে জাতীর বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষায় সময় দিতে হবে। এটার বিবেচনায় সেই মহান ব্যক্তির জন্য শুভকামনা। 

অতপর, চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার-১) আসনে এমপি হিসেবে জাতীয় নেতার প্রয়োজন নাই। কারণ জাতীয় নেতাকে মন্ত্রণালয় দেখতে হবে, দেশ ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি সামাল দিতে হবে। নিজে এলাকার কোনো নাগরিকের জন্য, ওই জাতীয় নেতা মানের এমপির স্বাক্ষর কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজন হয় তাহলে ওনাকে এলাকার কেটে খাওয়া নাগরিকরা কোথায় খুঁজে পাবে? ওনি থাকবে ঢাকার উত্তরা, বসুন্ধরা, গুলোশান, নয়াপল্টন কিংবা দেশের বাইরে চীন, নেপাল, ইন্ডিয়া, লন্ডন বা আমেরিকা ইত্যাদি জায়গায়।  যদি কোনো সহযোগিতার নেতা সহযোগিতা নিয়ে জাতীয় নেতার সান্নিধ্য পেতে চাই, তাহলে চাঁদা ঘুষ লবিং বা অন্য কোনো বিভ্রান্তকর পরিস্থিতির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।

সুতরাং এমন নেতা আমরা চাই, যাকে প্রতিদিন খুঁজে পাওয়া যাবে জনগণ। যিনি থাকবেন তার নির্বাচনী এলাকার নাগরিকদের সাথে। যার সম্পূর্ণ কর্মতৎপরতার সেবা পাবে চকরিয়া পেকুয়ার সবস্তরের জন সাধারণ। 

এমন একজন নেতার নাম আবদুল্লাহ আল ফারুক, তিনি তরুণ এক জননেতা। তরুণ হওয়ার কারণে তার রয়েছে যথেষ্ট কর্মস্পৃহা বা কাজের গতি । তিনি ছাত্রজীবন থেকেই চকরিয়া পেকুয়ার মানুষের সাথে মিশে মিশে বড় হয়েছে। তিনি মানুষের যে কোনো দুর্যোগে সবার আগে ছুটে যান যেমন অগ্নিকাণ্ড, বন্যা বা দুর্ঘটনা ইত্যাদি। ছাত্রজীবন থেকেই মেধা ও প্রজ্ঞার সাথে রাজনীতি করে যাচ্ছেন। তিনি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তর ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের মতো একটি সংগঠনের কর্মী বা নেতা হিসেবে  স্কুল, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষে জেলা শিবিরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে ছাত্রজীবন শেষ করেন। বর্তমানে মানবতা মুক্তি আন্দোলন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কক্সবাজার শহর শাখার আমীরের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি জেলা, উপজেলা ও জাতীয় পর্যায়ে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছেন। 

তিনি তার সমস্ত শক্তি দিয়ে চকরিয়া পেকুয়ার জনগণের উন্নয়ন করতে নিজে বিলিয়ে দিয়েছে। সর্বশ্রেনীর মানুষের দুঃখ কষ্টে তিনি ছুটে যান। তিনি প্রতিদিন চকরিয়া পেকুয়ার কোনো না কোনো এলাকায় অবস্থা করেন, মানুষের দুঃখের কথা শুনেন এবং সমস্যা চিহ্নিত করে তা অনুযায়ী সাধ্যমতো ব্যবস্থা নিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। 

পরিশেষে বলতে পারি, চকরিয়া পেকুয়ার মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা রাখার মতো কর্মস্পৃহা সম্পন্ন তরুণ জননেতার নাম আব্দুল্লাহ আল ফারুক। তিনি জনতার পাশে থাকবেন, এবং জনতা তাঁকেই সবসময় পাশে পাবেন।

মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী একজন ডাইনামিক লিডার : মুসা বিপ্লব

মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী একজন ডাইনামিক লিডার : মুসা বিপ্লব

চকরিয়া টাইমস : 

একজন জননন্দিত চেয়ারম্যান, খ্যাতিমান ওয়ায়েজিন, দক্ষতা সম্পন্ন প্রিন্সিপ্যাল, কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর, গনমুখী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী।
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারীকে এমপি প্রার্থী করা হয়েছে। যোগ্যতা ও দক্ষতার দিক থেকে তুলনা মুলক ভাবে ওনার কোনো ঘাটতি নেই।
তিনি টানা ৪বারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান: টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের থেকে নির্বাচন করে টানা ৪বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি ১ম বার প্রায় এক হাজার একশ (১১০০) ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, ২য় বার প্রায় দুই হাজার একশ (২১০০) ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, ৩য় বার প্রায় তিন হাজার একশ (৩১০০) ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন, এবং ৪র্থ বার প্রায় চার হাজার একশ (৪১০০) ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
ওনি চেয়ারম্যান হিসেবে মানুষের দ্বারে দ্বারে ওনার সেবা সমুহ পৌঁছাতে নিশ্চিত করেন। এমন কি চেয়ারম্যান যে সিল মারা হয় সে সিলটি তাঁর নিজে পকেটে পকেটে রাখেন। কোথাও যদি জানাযায়ও যান সেইখানে লোক জনের প্রয়োজনীয় কাগজে সিল স্বাক্ষর দিয়ে থাকেন।

তিনি একজন ওয়ায়েজিন: আমাদের দেশে বর্ষ মৌসুম কেটে গেলে যখন মাঠ শুকনো থাকে তখন গ্রামে গঞ্জে ও শহরে নগরে তাফসিরুল কোরআন মাহফিল, সিরাতুন্নী (সঃ) মাহফিল, মিলাদুন্নী (সঃ) মাহফিল ও ইসলামী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সেখানে দেশের খ্যাতিমান ইসলামিক বক্তারা ওয়াজ করেন। মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী তাদেরই একজন দেশ বরণ্য আলেম। যার ওয়াজের দাওয়াত কক্সবাজার- চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি একজন সুবক্তা।
তিনি একজন প্রিন্সিপ্যাল: টেকনাফ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হ্নীলা শাহ মজিদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যাল। তার হাতে গড়া হাজারো ছাত্র দেশের বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত আছে। তাঁর হাতে গড়া হাজারো আলেমে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলেম তৈরিতে নিয়োজিত রয়েছে। তার তৈরি করা ওয়ায়েজ বর্তমানে সারাদেশে কোরআনের বিপ্লবী দাওয়াতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
তিনি জামায়াতে ইসলামীর কক্সবাজার জেলা আমীর: বর্তমান বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় ইসলামী দল ও অন্যতম রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কক্সবাজার জেলা শাখার আমীরের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি টেকনাফের উপজেলা আমীর ছিলেন, পরে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ছিলেন। তার দক্ষতা ও যোগ্যতার কারণে কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সর্বচ্ছো শপথের জনশক্তি রুকনরা প্রত্যক্ষ ভোটে ২০২০ সালে ওনাকে জেলা আমীর হিসেবে নির্বাচিত করেন।
ওনার এমন একনিষ্ঠ দক্ষতা, যোগ্যতা ও সততাকে গুরুত্ব দিয়ে নিজের দল জামায়াতে ইসলামী তাঁকে (কক্সবাজার-৪) উখিয়া-টেকনাফ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসাবে চুড়ান্ত করেন। অথচ একই আসনে জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক ছাত্রশিবিরে কেন্দ্রীয় মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহানও রয়েছে। কিন্তু মুহাম্মদ শাহজাহান নিজেই, মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারীকে দক্ষ ও জনবান্ধব নেতা হিসেবে বিবেচনা করে ওনাকে উক্ত আসনে সিদ্ধান্ত দেন। মাওলানা আনোয়ারীর বিচক্ষণতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞাকে সম্মান জানিয়ে তার প্রসংশায় পঞ্চমুখ হতেন বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি গুলোও।
পরিশেষে বলা যায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে (কক্সবাজার-৪) উখিয়া টেকনাফ সংসদীয় জনবান্ধন জননেতা, বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন ও শিক্ষাবিদ, হ্নীলা শাহ মজিদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা প্রিন্সিপ্যাল, হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়নের চার বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী (হাফি:) একজন ডায়নামিক লিডার এবং সবার সেরা সংসদ সদস্য প্রার্থী। তার কাছে জনগণের আমানত তসরুপ হবে না।
মুসা ইবনে হোসাইন বিপ্লব
লেখক:
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
রামুতে সাত নারী পেলো উইমেন্স ট্যুরিজম লিডার্স অ্যাওয়ার্ড

রামুতে সাত নারী পেলো উইমেন্স ট্যুরিজম লিডার্স অ্যাওয়ার্ড

চকরিয়া টাইমস :

রামুতে সাত নারী উদ্যোক্তা পেয়েছেন 'উইমেন্স ট্যুরিজম লিডার্স অ্যাওয়ার্ড রামু ২০২৫' সম্মাননা। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় রামু উপজেলা পরিষদের বাঁকখালী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে তাদের এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

পর্যটনের ভূদৃশ্য রূপান্তরে নারীর ক্ষমতায়নে আইএলও–আইজেক প্রকল্প ও এনরুট ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় কক্সবাজার মহিলা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজনে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাশেদুল ইসলাম। অতিথিরা সাত নারী উদ্যোক্তার হাতে সম্মাননা তুলে দেন।

কক্সবাজারে পর্যটন খাতে নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ অবদানকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্যে 'উইমেন্স ট্যুরিজম লিডার্স অ্যাওয়ার্ড রামু ২০২৫' সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজারের পর্যটন শুধু সমুদ্রসৈকত আর হোটেল নয়। এটি মানুষের জীবন, সংস্কৃতি ও জীবিকার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। পর্যটনের সুবিধা যেন তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছায়। সে জন্য নারীর অংশগ্রহণ অপরিহার্য। সফল নারী উদ্যোক্তাদের সম্মাননা প্রাপ্ত কথাগুলো, নতুন নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করবে।

কক্সবাজার মহিলা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি জাহানারা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রামু উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা উম্মে সুরাইয়া আমিন, উপজেলা পল্লী জীবিকায়ন কর্মকর্তা মহিউদ্দিন শরিফ, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নওরিন আজম তামান্না, আইএলও'র কনসালট্যান্ট মো. মুস্তাফিকুর রহমান।

আইএলও-আইএসইসি পর্যটন খাত বাস্তবায়ন অংশীদারিত্ব কর্মসূচির আওতায় অনুষ্ঠিত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, তানিশা বিনতে আলম ও ইনতিজাম উল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, খাদ্য, হস্তশিল্প ও সেবাখাতে নারীরা অসাধারণ ভূমিকা রাখছেন। তারা পরিবার সামলিয়ে উদ্যোক্তা হয়ে উঠছেন এবং কক্সবাজারের পর্যটনকে আরও বৈচিত্র্যময় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তুলছেন। পুরস্কার প্রাপ্ত নারীরা আমাদের গর্ব। তারা প্রমাণ করেছেন যে সামান্য সুযোগ ও সহায়তা পেলে নারীরা পর্যটন খাতে সফল উদ্যোক্তা হয়ে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন। এই ধরনের উদ্যোগ নারীদের দৃশ্যমানতা বাড়ায় এবং তাদের কাজকে স্বীকৃতি দেয়। পর্যটন খাতে নারীর নেতৃত্ব শুধু কর্মসংস্থানই তৈরি করছে না, বরং টেকসই উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির ভিত্তি তৈরি করছে।

অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তা হয়ে উঠার গল্প বলেন, 'উইমেন্স ট্যুরিজম লিডার্স অ্যাওয়ার্ড রামু ২০২৫' সম্মাননা প্রাপ্ত আইরিন ক্লাসিক কিচেনের সামিনা আফরীন আইরিন, মুনা'স হেঁশেলের রেহেনা পারভিন মুনা, বেবি ফুড উদ্যোক্তা ফারিয়া আহমদ, 'ঘরোয়া স্বাদ বাই আফরিন সুমি'র প্রতিষ্ঠাতা আফরিন সুলতানা সুমি, কমিউনিটি লিডার রেখা বড়ুয়া, রওনক কুক আর্টের রওনক আরা খানম, টুপি কারুশিল্পী ছেনোয়ারা আকতার।

সামিনা আফরীন আইরিন, একজন সফল নারী উদ্যোক্তা। তার কর্মোদ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আইরিন ক্লাসিক কিচেন। বাঙালি ঐতিহ্যবাহী খাবার ও বেকড পণ্যে বিশেষজ্ঞ তিনি। তার পণ্য জাতীয় মহিলা সংস্থা কর্তৃক স্বীকৃত। তরুণ নারী উদ্যোক্তাদের পরামর্শদাতা হিসেবে তিনি সমাদৃত। তার কর্মোদ্যোগে বাঙালি ঐতিহ্যবাহী খাবার ও বেকড পণ্যের গুণগত মান, ঐতিহ্যের ভারসাম্য বজায় রেখেছে। নতুন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সামিনা আফরীন আইরিন ও আইরিন ক্লাসিক কিচেন অনন্য মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।

রেহেনা পারভিন মুনা, ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মুনা'স হেঁশেল এর প্রতিষ্ঠাতা। নিজ কর্মদক্ষতায় আচার, পিঠাপুলি ও রান্নাকে কাজে লাগিয়ে তিনি আজ সফল নারী উদ্যোক্তা। বিভিন্ন প্রতিকূলতা তার কাছে হার মেনেছে। তিনি পেয়েছেন ব্যবসায়িক সাফল্য এবং বিভাগীয় জয়িতার পুরস্কার।

ফারিয়া আহমদ, একজন সফল উদ্যোক্তা। তিনি পর্যটক ও স্থানীয়দের জন্য বেবি ফুড, শুকনো ফল ও তেল উৎপাদন করেন। উৎপাদন ও প্যাকেজিং-এ নারীদের কর্মসংস্থান তৈরি করেছেন তিনি। ফারিয়া আহমদের কর্মোদ্যোগ কক্সবাজারের নারীদের ডিজিটাল উদ্যোক্তা হওয়ার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে জয়িতা পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

আফরিন সুলতানা সুমি, ঘরোয়া স্বাদ বাই আফরিন সুমি-এর প্রতিষ্ঠাতা। পিঠা, পুলি ও শুঁটকির মাধ্যমে কক্সবাজারের পর্যটনকে সমৃদ্ধ করছেন। নারীদের রান্না ও ডিজিটাল দক্ষতায় প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান দিয়েছেন এবং পরিবার ও উদ্যোক্তা জীবনের সফলতা পেয়েছেন তিনি।

রেখা বড়ুয়া, একজন উদ্যোক্তা ও কমিউনিটি লিডার। নারীর অধিকার ও নিরাপত্তা এবং নারীদের জীবিকা ও কর্মসংস্থানে সহায়তা করেছেন। তিনিও জেলা পর্যায়ে জয়িতা পুরস্কার পেয়েছেন।

রওনক আরা খান, রওনক কুক আর্ট এর প্রতিষ্ঠাতা। মেলা ও উৎসবে রাখাইন-বাঙালি খাবারের প্রচার করেছেন তিনি। একজন চিকিৎসক হয়েও নারীদের কর্মসংস্থান নিয়ে কাজ করে তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা। তিনিও জয়িতা পুরস্কার পেয়েছেন। -খালেদ শহীদ (রামু)

বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় ঢাবির ৩৫ জন শিক্ষক

বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় ঢাবির ৩৫ জন শিক্ষক

নিউজ ডেস্ক : 

যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও নেদারল্যান্ডসভিত্তিক প্রকাশনা সংস্থা ‘এলসভিয়ার’ বিশ্বসেরা গবেষক তালিকা প্রকাশ করেছে। বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৩৫ জন শিক্ষক ও গবেষক স্থান পেয়েছেন। যা দেশে সর্বোচ্চ।

গত বছর এই তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থান পেয়েছিলেন ১০ জন। চলতি বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ এ, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে। গবেষকদের প্রকাশিত গবেষণাপত্র, সাইটেশন, এইচ-ইনডেক্স, কনসিস্টেন্সি এবং সহ-লেখকদের প্রভাবের ওপর ভিত্তি করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই স্বীকৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক গবেষণাক্ষেত্রে শক্তিশালী অবস্থান এবং বৈশ্বিক জ্ঞানচর্চায় ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রতিফলন।

স্বীকৃত গবেষকরা হলেন- এম. এ. খালেক, মো. মনজুর হাসান, মুহাম্মদ ইব্রাহিম শাহ, মো. আব্দুল মুকতাদির, মো. রাকিবুল হক, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, নেপাল চন্দ্র রায়, অমিত আবদুল্লাহ খন্দকার, তসলিম উর রশিদ, আব্দুস সালাম, মো. নাজমুল হাসান, কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ, মো. শাদ সালমান, এম. রেজাউল ইসলাম, মোঃ কাওসার আহমেদ, খাদিজা কুবরা, এম. এস. রহমান, তাওসিফুর রহমান, আনিছুর রহমান, সৈকত মিত্র, এম. মঈনুল ইসলাম, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মো. আবু বিন হাসান সুসান, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, এম. ফেরদৌস, মো. আব্দুল কুদ্দুস, মো. মাহমুদুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লা, মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, মো. রবিউল হাসান, আল সাকিব খান পাঠান, মো. আব্দুর রাজ্জাক, অনিমেষ পাল, শেখ এম. এম. ইসলাম এবং মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পাওয়ায় শিক্ষক ও গবেষকদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই স্বীকৃতি শুধু শিক্ষক ও গবেষকদের অসাধারণ অর্জনকে তুলে ধরে না বরং এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানচর্চার বিকাশ এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিরও প্রতিফলন ঘটায়। এই অর্জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি এবং শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


উপাচার্য আরো বলেন, নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন শিক্ষক ও গবেষকদের জন্য একটি টেকসই অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত এক বছর ধরে গবেষণা ও প্রকাশনা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক গবেষণা সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার মতো নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

উখিয়া-টেকনাফকে নতুন করে সাজাতে দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে : মুহাম্মদ শাহজাহান

উখিয়া-টেকনাফকে নতুন করে সাজাতে দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে : মুহাম্মদ শাহজাহান

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

উখিয়া-টেকনাফকে নতুন করে সাজাতে হলে দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করার আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর কাছ থেকে ফ্যাসিস্ট সরকার যা কিছু কেঁড়ে নিয়েছিল, সবকিছুই মহান আল্লাহ আবারও ফিরিয়ে দিয়েছেন। আগামী নির্বাচনও জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে যাবে, ইনশাআল্লাহ। 

তিনি আরও বলেন, আমরা উখিয়া টেকনাফকে নতুন করে সাজাতে চাই। অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী ইউনিয়ন পরিষদে বারবার বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি মানুষের খেদমত করার চেষ্টা করেছেন। ভোটের নানা অনিয়ম, কারচুপির পরেও উপজেলা নির্বাচনে তিনি সম্মানজনক ভোট পেয়েছিলেন। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জনস্রোতের সামনে কালো টাকার স্রোত বিজয়ী হতে পারবে না। উখিয়া-টেকনাফবাসী আগামী নির্বাচনে অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে, ইনশা’আল্লাহ। 

সোমবার (২৮জুলাই) রাতে বিআইএ মিলনায়তনে উখিয়া-টেকনাফ ফোরাম আয়োজিত চট্টগ্রাম উখিয়া-টেকনাফের সাবেক বর্তমান দায়িত্বশীলদের প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন কাদেরীর সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্রনেতা আমান উল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় প্রীতি সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার-৪ আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমীর পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম, উখিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল ফজল, টেকনাফ উপজেলা জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ রফিকুল্লাহ, চট্টগ্রাম জজকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, এডভোকেট রফিকুল আলম, উখিয়া উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর নুরুল হক, সেক্রেটারি সুলতান আহমদ, আইআইইউসির প্রক্টর মোস্তফা মনির চৌধুরী, সিভাসুর সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর খলিলুর রহমান, অধ্যাপক জহির আহমেদ, মুহাম্মদ হানিফ, ছিদ্দিকুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার নুরুল আবছার ইব্রাহিম ছিদ্দিক নুর কাশেম, জয়নাল উদ্দিন, ছাত্র প্রতিনিধি রুহুল আমিন, নুরুল আবছার প্রমুখ।

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় বেসরকারি স্কুল অন্তর্ভূক্ত করার দাবিতে চকরিয়ায় মানববন্ধন

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় বেসরকারি স্কুল অন্তর্ভূক্ত করার দাবিতে চকরিয়ায় মানববন্ধন

চকরিয়া টাইমস: 


চকরিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৫ এ কিন্ডার গার্টেনসহ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অন্তর্ভূক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশের ন্যায় চকরিয়া আদালত এলাকার প্রধান সড়কে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এসোসিয়েশন চকরিয়া উপজেলা শাখার ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে উপজেলার অর্ধশতাধিক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ অসংখ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা অংশগ্রহণ করেন।

এসোসিয়েশনের চকরিয়া উপজেলা সভাপতি চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল আখেরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি সাহারবিল রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মশিউর রহমান আরিফ, চকরিয়া গ্রামার স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ.এম নুরুল হান্নান, অর্থ সম্পাদক মো. শহিদুল আলম, চাইল্ডস মর্ডান স্কুলের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবিরসহ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। ন্যায্য এ দাবির সাথে একাত্মতা পোষন করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল শেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি জমা দেয়া হয়। যার অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে প্রদান করা হয়।

এদিকে সমাবেশে বক্তারা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ঘোষিত ২০২৫ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ না রাখায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন।


মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা হাতে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে ‘জুলাই বিপ্লবের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’; ‘শিক্ষা অধিকার, অনুগ্রহ নয়’ এবং ‘আমার শিশুর বিচার তার মেধায় চাই’ এসব স্লোগান দিতে থাকেন।

বক্তারা বলেন, প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুযোগ দিয়ে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত সরাসরি সংবিধান পরিপন্থি এবং বৈষম্যের একটি ন্যক্কারজনক উদাহরণ।

তারা বলেন, কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীরাও জাতীয় শিক্ষাক্রমে পাঠ গ্রহণ করে, বছরজুড়ে প্রস্তুতি নেয়। অথচ প্রতিষ্ঠান সরকারি নয় এই অজুহাতে তাদের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এতে প্রশ্ন উঠছে, ‘শিক্ষা কি প্রতিষ্ঠাননির্ভর, না শিক্ষার্থীর যোগ্যতা ও মেধাভিত্তিক?’

বক্তারা আরও জানান, সরকার যদি সত্যিই বৈষম্যবিরোধী অবস্থানে থাকে, তাহলে এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করে সকল বেসরকারি প্রা. বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় তারা রাজপথে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন।

দৈনিক যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাতা নুরুল ইসলামের স্মরণে চকরিয়ায় দোয়া মাহফিল

দৈনিক যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাতা নুরুল ইসলামের স্মরণে চকরিয়ায় দোয়া মাহফিল

চকরিয়া টাইমস:

চকরিয়ায় যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের স্বপ্নদ্রষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২০ জুলাই) বিকেলে যুগান্তর চকরিয়া উপজেলা প্রতিনিধি আবুল মনসুর মোঃ মহসিন এর উদ্যোগে চকরিয়া হস্তশিল্প কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

চকরিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দৈনিক ইনকিলাব ও ডেইলি অবজারভার এর সাংবাদিক আলহাজ্ব ইবনে আমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, চকরিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দৈনিক মানব কন্ঠের আবদুল মজিদ, উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি বাংলাদেশ প্রতিদিনের জিয়াউদ্দিন ফারুক, দৈনিক যায়যায়দিনের মনজুর আলম, দৈনিক আমার দেশের ইকবাল ফারুক, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ এর জিয়াবুল হক, দৈনিক কালবেলার মনিরুল আমিন, দৈনিক ভোরের সময়ের নুরুল আমিন টিপু প্রমূখ আলোচনায় অংশ নেন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সাংবাদিকরা বলেন, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী নুরুল ইসলাম জাতির বাক স্বাধীনতা অর্জন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লেখার জন্য দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টিভি প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীন দেশে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য যমুনা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করে অনন্য রেকর্ড স্থাপন করেছেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ভোরের ডাক এর সাঈদী আকবর ফয়সাল, দৈনিক আপন কন্ঠ এর জুলফিকার আলি ভুট্টাে, দৈনিক বাংলাদেশের খবর এর তৌহিদুল ইসলাম, দৈনিক মুক্ত খবরের রিদুয়ানুল হক, দৈনিক আমার সংবাদের নুরুল ইসলাম সুমন, কক্স অনলাইন বার্তার সম্পাদক রুবেল খান।

এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা নেছার উদ্দিন।

অপপ্রচারের প্রতিবাদ

অপপ্রচারের প্রতিবাদ

চকরিয়া টাইমস: 

সম্প্রতি "দৈনিক সময়ের কথা নিউজ মিডিয়া" ক্রেডিট দিয়ে মোহাম্মদ আবদুল হক নামের একটি ফেসবুক আইডিতে "চিরিংগা ইউনিয়নের চরণদ্বীপে বেপরোয়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ" শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সংবাদে উল্লেখিত তথ্য ও ছবি মিথ্যা, ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

আমার সহধর্মিণী নারী জনপ্রতিনিধি বেবী আক্তারের নাম উল্লেখ করে এবং আমি ও আমার পরিবারকে জড়িয়ে অস্ত্রের ভয়ভীতি, চাঁদাবাজি, নারীর প্রতি অনৈতিক আচরণ, প্রজেক্ট ডাকাতি ও লুটপাটের যে অবান্তর তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে; তা সম্পূর্ণ হাস্যকর। এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে আমার সহধর্মিণীর অবস্থান সুস্পষ্ট সোচ্চার ভূমিকা রয়েছে।

মূল বক্তব্য হলো; চিরিংগা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার বেবী আক্তার একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবক। তার দৈনন্দিন সমাজসেবামূলক বিভিন্ন প্রশংসনীয় কার্যক্রমে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। 

সংবাদে একটি এডিটিং টিকটক ভিডিওতে আমার স্কুল পড়ুয়া ছেলের হাতে অস্ত্র রয়েছে মর্মে যে ছবিটি দেখানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও কল্পনাপ্রসূত। সেই ছেলেটি স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর নিয়মিত ছাত্র। তাছাড়া যেসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তার যথোপযুক্ত সুনির্দিষ্ট কোনো ভুক্তভোগির বক্তব্য নেই। অতএব বিভ্রান্তিকর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ফেসবুক সংবাদটি আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের সামাজিকভাবে মানহানি করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে প্রচার করা হয়েছে। 

আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি মিথ্যা প্রচারিত সংবাদে প্রশাসন ও পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি। 


প্রতিবাদকারী- 

মো. শোয়াইব

চিরিংগা ইউনিয়ন, চকরিয়া।

হারবাং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি

হারবাং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি

চকরিয়া টাইমস :

চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের অবকাঠামোগত সংস্কার ও সেবার মানোন্নয়নের দাবিতে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার হাতে লিখিত স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন জুলাই আন্দোনের অন্যতম মুখপাত্র সাখাওয়াত হোসাইন শিপনের নেতৃত্বে হারবাংবাসী।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে স্মারকলিপি গ্রহণ শেষে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা যৌক্তিক দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, আমি নিজেও কিছুদিন আগে এই স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেছি, আমি দ্রুত সময়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে একজন চিকিৎসক নিয়োগ, চিকিৎসক সহকারীকে নিয়মিত রোগী দেখার জন্য অবহিত করবো। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য উদ্যোগ গ্রহন করবো।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সংগঠক ও সাবেক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের দাওয়া ও ছাত্রকল্যান সম্পাদক সাখাওয়াত হোসাইন শিপন বলেন, আমরা আগের মতো এই কেন্দ্র থেকে চিকিৎসাস সেবা পেতে চাই। আমাদের ইউনিয়নে ৪৪ হাজার মানুষ বসবাস করেন, কিন্ত চিকিৎসাহ সেবা পাচ্ছে না। যদি আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে এই সমস্যা সমাধান হবেন বলে আশা ব্যাক্ত করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক টুটুল বলেন, আমাদেরকে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখার সুযোগ নেই। যদি সুন্দর একটা সমাধান পেতে চাই সেক্ষেত্রে সরকার এবং জনগণকে একসাথে কাজ করতে হবে।
“জুলাই ঘোষণাপত্র: কক্সবাজারের জনগণের প্রত্যাশা” শীর্ষক আপ বাংলাদেশের আলোচনা সভা

“জুলাই ঘোষণাপত্র: কক্সবাজারের জনগণের প্রত্যাশা” শীর্ষক আপ বাংলাদেশের আলোচনা সভা

চকরিয়া টাইমস :

ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)-এর আয়োজনে “জুলাই ঘোষণাপত্র: কক্সবাজারের জনগনের প্রত্যাশা” শীর্ষক তাৎপর্যময় এক আলোচনা সভা শনিবার (২১ জুন) কক্সবাজার প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আপ বাংলাদেশ’র কেন্দ্রীয় সদস্য মো. রায়হানুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও কক্সবাজারের সংগঠক নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আপ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত।

সভায় বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এডভোকেট আজিজুল ইসলাম, কক্সবাজার জেলা জামায়াতের মজলিসে শূরা সদস্য সাবেক ভিপি শহিদুল আলম বাহাদুর, আপ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সদস্য আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনৈতিক বিষয়ক কমিটির প্রধান মিনহাজুর রহমান রেজবী, রামু উপজেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা মোহসেন শরীফ, আপ বাংলাদেশ’র কেন্দ্রীয় সদস্য যথাক্রমে শেখ স্বপ্নীল হক আদিবা, ফায়াজ শাহেদ, তানভীর আজম, কক্সবাজার জেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মীর মোহাম্মদ আবু তালহা, ছাত্রনেতা ও জুলাই যোদ্ধা এম. রুবায়েত আদেল, কক্সবাজার সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক এনসিপি সংগঠক মোহাম্মদ ওমর ফারুক, কক্সবাজার ছাত্র অধিকার পরিষকের সংগঠক ইউসুফ বিন নূরী, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মোহাম্মদ নুরুল হক নুর প্রমুখ।

সভায় মাওলানা মহসিন শরীফ বলেন “জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তরুণরা, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে তরুণদের সক্রিয় থাকতে হবে। জুলাই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে জুলাই আন্দোলনের স্বীকৃতি দিতে হবে এবং দুর্নীতি মুক্ত, ধর্মবিদ্বেষমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে।”

এডভোকেট আজিজুল ইসলাম বলেন, “আমরা এমন একটি সমাজ গড়ে তুলতে চাই যেখানে শোষণ থাকবে না, যেখানে প্রতিটি মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত হবে।”

সাবেক ককসু ভিপি শহীদুল আলম বাহাদুর বলেন, “গত ১৭ বছর ফ্যাসিবাদী আমলে আমরা যারা অধিকারের কথা বলেছি, ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের ওপর গুম, হত্যাকান্ড চালিয়েছে। জুলাই পরবর্তীতে সেই পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। সেই পরিবেশ তৈরি করতে, আমাদের এক সাথে কাজ করতে হবে।”

মিনহাজুর রহমান রেজবী বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্রে সকল জুলাই যোদ্ধা ও সকল শ্রেণির মানুষের প্রত্যাশা প্রতিফলন থাকতে হবে।”

তানভীর আজম বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্রই সেই দলিল; যার মাধ্যমে ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদার সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে।”

ফায়াজ শাহেদ বলেন, “জুলাইকে ‘বিপ্লব’ বলে স্বীকার করে ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করতে হবে।”

শেখ স্বপ্নীল হক আদিবা বলেন, “নারীদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে জুলাই ঘোষণাপত্রকে দেখা মানে শুধুমাত্র নীতিগত বিবৃতি নয়; এটি দেখার বিষয় যে ঘোষণাপত্রে নারীর নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণ কতটা গুরুত্ব পেয়েছে।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাফে সালমান রিফাত বলেন, “জুলাই গনঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শাসক পালিয়ে গেলেও, ফ্যাসিস্ট সংস্কৃতি ও কাঠামো থেকে গেছে। ফলে, এই কাঠামোর মধ্যে যেই আসবে, সেই ফ্যাসিস্ট রুপে আবির্ভূত হবে।জুলাই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে সেই ফ্যাসিবাদের কাঠামো ভেঙে দিতে হবে।”

সভাপতির বক্তব্যে মো: রায়হানুল ইসলাম বলেন, “ইন্টেরিম সরকারকে বলব, কোনো গড়িমসি না করে দ্রুত "জুলাই ঘোষণাপত্র" বাস্তবে রুপ দিতে হবে।”

বক্তারা বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র কেবল একটি রাজনৈতিক বিবৃতি নয়— এটি এক প্রজন্মের রক্ত, শ্রম, এবং ন্যায্যতার দাবি দিয়ে লেখা এক গণ-সংবিধান।এটি বিকেন্দ্রীকরণ, বৈষম্যহীনতা এবং নৈতিক রাষ্ট্রচিন্তার যৌথ খসড়া যার ভিত্তি হচ্ছে ইনসাফ।

বক্তারা ঐক্যমত পোষন করে আরো বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্র কেবল রাজনৈতিক দাবি নয়, এটি একটি বিপ্লবের স্বীকৃতি এবং তা সংবিধানে কার্যকরভাবে প্রতিফলিত করতে হবে।” এই সভা ছিল এক রাজনৈতিক কাব্য, যার প্রতিটি বাক্য ছিল প্রতিরোধের বারুদ। রাষ্ট্র যদি নীরব থাকে, তবে আমরা তার কণ্ঠ হয়ে উঠবো। ইনসাফই হবে আমাদের রাজনীতি। ইনশাআল্লাহ।”

উল্লেখ্য, এটি ছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিক আলোচনার ১২ তম পর্ব, যেখানে উঠে আসে অংশীজনের বাস্তব প্রত্যাশা ও রাষ্ট্রচিন্তার সাহসী রূপরেখা। এতে আলেম, শিক্ষক, আইন বিশেষজ্ঞ ও ছাত্রনেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জনকল্যাণমূলক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ইসলামী আদর্শের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে : মুহাম্মদ শাহজাহান

জনকল্যাণমূলক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ইসলামী আদর্শের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে : মুহাম্মদ শাহজাহান

চকরিয়া টাইমস :

চট্টগ্রামে অবস্থানরত চকরিয়া-পেকুয়া আসনের জামায়াত শিবিরের জনশক্তিদের নিয়ে এক প্রীতি সমাবেশ ও প্রীতিভোজ মঙ্গলবার (২০ মে) চট্টগ্রাম চকবাজার কিশলয় কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রোগ্রামের নির্ধারিত সময়ের পূর্ব থেকে চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলার নেতাকর্মীরা জমায়েত হতে শুরু করে। হলরুম কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ছাড়িয়ে যায় বাহিরেও। এসব উপস্থিত শতশত নেতাকর্মী প্রজেক্টরের মাধ্যমে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। প্রীতি সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা হলেও অনুষ্ঠানস্থল পরিণত হয় মিলন মেলায়।

চট্টগ্রাম ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান। প্রধান বক্তার আলোচনা পেশ করেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমীর সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমীর আবদুল্লাহ আল ফারুক ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দাওয়াহ সম্পাদক মো. মিছবাহুল করিম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, চকরিয়া পেকুয়া আসন জামায়াতে ইসলামীর বিজয়ী আসন। ১৯৯১ সালে বাঘা বাঘা নেতাদের হারিয়ে বিপুল ভোটে জামায়াতের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছিলেন। এই এলাকার সকল পর্যায়ের মানুষের কাছে ইসলামী আদর্শের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে কল্যাণমূলক জনবান্ধব নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

প্রধান বক্তা আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেন, জামায়াতে ইসলামী জন্য রাজনীতি করে না। ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের প্রচেষ্টার মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের কাজ করে যাচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, জামায়াতে ইসলামী বর্তমান সময়ে দেশের মানুষের কাছে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে একমাত্র নির্ভরশীল ঠিকানায় পরিণত হয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সংগঠনের কর্মী-সমর্থকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিবর্গকে যৌথভাবে এগিয়ে আসতে হবে। কর্মীদেরকে সুখে দুঃখে জনগণের পাশে থেকে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রীতি সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক এম. কবির আহমদ।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ, আল-আমিন মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য আখতার আহমদ, ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি আ.ম.ম মশরুর হোসাইন, আ.ন.ম জুবায়ের, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাফর আলম, চকরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল বশর, চকরিয়া পৌরসভা আমীর আরিফুল কবির, পেকুয়া উপজেলা আমীর মাওলানা ইমতিয়াজ উদ্দিন, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আমীর মাওলানা ফরিদুল আলম, বিশিষ্ট সমাজসেবক আরিফুর রহমান চৌধুরী মানিক, বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা এ.এইচ.এম বদিউল আলম, পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মনজু, ইসলামী ছাত্রশিবির কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারি মীর মোহাম্মদ আবু তালহা, হারবাং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন আহমেদ বাবর, চট্টগ্রামস্থ চকরিয়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক হামিদ হোছাইন ও বিশিষ্ট সমাজসেবক সরফরাজ আল নেওয়াজ চৌধুরী। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন সাবেক ছাত্রনেতা ব্যাংক কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম।

প্রীতি সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার, রাঙামাটি সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক মিছবাহ উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদুদ্দিন ফারুক, আন্তর্জাতিক ইসলামী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের সাবেক প্রোভিসি ড. মসরুর মাওলা, ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক কফিল উদ্দিন ও অধ্যাপক সরওয়ার আলম, সাবেক ছাত্রনেতা গোলাম কবির, চকরিয়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা সৈয়দ করিম, পৌরসভা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা কুতুব উদ্দিন হেলালী, লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার, চট্টগ্রামস্থ চকরিয়া সমিতির সভাপতি লায়ন মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, পেকুয়া সমিতি চট্টগ্রামের জয়েন্ট সেক্রেটারি সিরাজুল ইসলাম, রেজাউল করিম, সাবেক ছাত্রনেতা এস.এম আলী জিন্নাহ, আনোয়ার হোসাইন, মোহাম্মদ ইসমাঈল, হাফেজ তৌহিদুল ইসলাম, ফরিদুল আলম প্রমুখ।

গণতান্ত্রিক সম্ভাবনা ধরে রাখতে আধিপত্য ও ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিকে এক হতে হবে : হাসনাত

গণতান্ত্রিক সম্ভাবনা ধরে রাখতে আধিপত্য ও ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিকে এক হতে হবে : হাসনাত

চকরিয়া টাইমস : 

গণতান্ত্রিক সম্ভাবনা যাতে কোনভাবেই হুমকির মুখে না পড়ে এবং সম্ভাবনাকে ধরে রাখতে আধিপত্য ও ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিকে এক হওয়ার আহবান জানিয়েছেন জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী অন্যতম মুখপাত্র হাসনাত আবদুল্লাহ। বৃহস্পতিবার (২২ মে) তিনি নিজ ফেসবুক টাইমলাইনে এক পোস্টের মাধ্যমে এ আহবান জানান তিনি। নিম্নে হুবুহু তা তুলে হয়েছে। 

এনসিপিকে নির্বাচনবিরোধী আখ্যা দিয়ে সচেতনভাবেই এক ধরনের কলঙ্ক দেওয়ার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, ছাত্র উপদেষ্টারা দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে চায়—এমন গুজব ছড়িয়ে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি করার নানা কার্যক্রমও চলমান। এই চক্রান্ত কয়েকটি দিক থেকে পরিচালিত হচ্ছে।

অথচ, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নির্বাচন নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। গতকাল, ২১ মে, এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন— "প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত যে সময় দিয়েছেন, আমরা সেটিকে সমর্থন করেছি। এর মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। তবে আমরা এর মধ্যে বিচার ও সংস্কারের কথা বলেছি।"
অন্যদিকে, ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ১০ মে বলেন— "ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবেই।" তিনি একাধিকবার নির্বাচন বিষয়ে এই অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
তারপরও, দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করা কীভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে? অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা এবং ইন্টারিম সরকারের অংশ হওয়া দুইজন ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চাওয়া মোটেই স্বাভাবিক কোন বিষয় বলে মনে করি না।
অন্যদিকে, আমাদের সাব-কনশাস মাইন্ডে আর্মিকে রাজনৈতিক সালিশের ক্ষমতা দিয়ে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অথচ বিএনপি ঐতিহাসিকভাবে সেনাবাহিনীর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ভুক্তভোগী একটা দল। আমরা এখনো ওয়ান-ইলেভেনের ইতিহাস ভুলে যাইনি, এখনো তারেক রহমানের নির্যাতনের ঘটনা আমাদের স্মরণে রয়েছে।
সেনাবাহিনী আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা সতর্ক পাহারাদার। দেশের প্রয়োজনে, সার্বভৌমত্বের প্রয়োজনে, আমরা প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব। কিন্তু গণতান্ত্রিক অধিকার এবং সুষ্ঠু ক্ষমতা হস্তান্তরের যে আকাঙ্ক্ষা থেকে ২০২৪-এর অভ্যুত্থান ঘটেছে, সেখানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপকে আমরা মেনে নেব না। রাজনৈতিক সালিশের সুযোগ দিয়ে আরেকটি ওয়ান-ইলেভেনের পথ কেউ প্রশস্ত করছে কি না—তা নিয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার আন্দোলনে আমরা যাদের পাশে পেয়েছি, তাদের প্রতি আমাদের ঐতিহাসিক কৃতজ্ঞতা থাকবে। আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতেও সব পক্ষকে এক থাকতে হবে। এই দাবিতে বড় কোনো দলের নির্লিপ্ততা আমাদের হতাশ করে।
গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চা, আওয়ামী লীগের বিচার এবং রাষ্ট্রীয় সংস্কার নিশ্চিত করে দ্রুত নির্বাচনে যাওয়ার লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দলের একসঙ্গে কাজ করা জরুরি। ক্ষণস্থায়ী ফায়দা লুটতে গিয়ে ২০২৪-এর অভ্যুত্থানের পর উদ্ভূত বিপুল সম্ভাবনার জনআকাঙ্ক্ষাকে নষ্ট করা হলে, তা হবে একটি ঐতিহাসিক ব্যর্থতা।
আমরা যেন নিজেরাই বিভাজনের পথ বেছে নিয়ে অন্য কাউকে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের সুযোগ না দিই। বাইরের কাউকে রাজনৈতিক মাতব্বরি করার সুযোগ দিয়ে দেশের শুদ্ধ গণতান্ত্রিক সম্ভাবনাকে হুমকির মুখে না ফেলি। বৈদেশিক হস্তক্ষেপ ও দেশীয় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি স্থিতিশীল, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে আধিপত্যবাদবিরোধী এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে এক হতে হবে।



আলীর সুড়ঙ্গের পরাবাস্তব আখ্যান

আলীর সুড়ঙ্গের পরাবাস্তব আখ্যান

মমতাজ উদ্দিন আহমদ:

আলীকদমের শান্ত প্রকৃতির মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা আলীর পাহাড় যেন এক রহস্যের আঁধার। এর গভীরে লুকিয়ে থাকা সুড়ঙ্গগুলো কালের সাক্ষী, ধারণ করে অসংখ্য অশরীরী কল্পকথা। লোকমুখে ফেরা সেইসব কিংবদন্তীর আবছা আলোয় আজ আমরা প্রবেশ করব এক পরাবাস্তব জগতে, যেখানে বাস্তবতা আর কল্পনার সীমা অস্পষ্ট।
আলীর পাহাড়ের নামকরণের ইতিহাস ধূসর, তবে এর গায়ে লেগে থাকা রহস্যের ছোঁয়া আজও অনুভব করা যায়। জনশ্রুতি বলে, এই পাহাড় ও তার সুড়ঙ্গ এক ভিন্ন জগতের প্রবেশদ্বার। হয়তো সেই অজানার টানেই বহু বছর আগে একদল কাঠুরিয়া ভাগ্য অন্বেষণে এখানে এসেছিল।
একদিন, কাঠ কাটার সময় তাদের দলের একজন গভীর অরণ্যের নিস্তব্ধতায় হারিয়ে যায়। সঙ্গীরা যখন তাকে খুঁজে ক্লান্ত, তখন সে এক অলৌকিক মায়াজালে বাঁধা পড়ে। গাছের পাতায় আচ্ছাদিত এক অপার্থিব রূপসী তাকে আলিঙ্গন করে, যার স্পর্শে পৃথিবীর সমস্ত সত্য যেন তুচ্ছ মনে হয়।
হারানো সেই কাঠুরিয়া আর ফেরে না। সঙ্গীরা ধরে নেয় কোনো বন্য জন্তুর শিকার হয়েছে সে। কিন্তু সত্য ছিল অন্য কিছু। সেই রূপসী, কোনো দূর নক্ষত্রের আলোয় গড়া মূর্তির মতো, তাকে টেনে নিয়ে যায় আলীর পাহাড়ের গভীরে, এক সুড়ঙ্গের আঁধারে।
সুড়ঙ্গের অভ্যন্তরে সময় থমকে দাঁড়ায়। দিনের আলো প্রবেশ করে না, রাতের তারারাও যেন পথ ভুলে যায়। সেই রূপসীর বাহুডোরে বন্দি কাঠুরিয়া এক নতুন জগতে প্রবেশ করে—যেখানে বাস্তবতা স্বপ্নের মতো অস্পষ্ট। ধীরে ধীরে সে জানতে পারে, সেই নারী কোনো সাধারণ মানুষ নয়, বরং এই পাহাড়ের রহস্যময় আত্মার অংশ।
মাঝে মাঝে সেই রূপসী তার আসল রূপে আবির্ভূত হয়—এক বিশাল, শ্বেতকায় সত্তা, যার পরনে পশুর চামড়া আর অলংকার পাখির পালক। তারা আগুনের উত্তাপ চেনে না, বেঁচে থাকে প্রকৃতির দান ফলমূল আর শিকার করা পশু-পাখির মাংসের ওপর। কাঠুরিয়াও ধীরে ধীরে সেই অচেনা জীবনের অংশ হয়ে ওঠে।
রাতের নিস্তব্ধতা তার মনে ভয়ের সঞ্চার করে। সেই অশরীরী নারীর পাশে নিজের অস্তিত্বকে ক্ষণস্থায়ী আর মিথ্যা মনে হয়। তার আলিঙ্গন ক্রমশ অসহ্য হয়ে ওঠে, যেন কোনো অদৃশ্য শেকল তাকে বেঁধে রাখে।
একদিন, যখন রহস্যময়ী নারী শিকারে যায়, সুড়ঙ্গের মুখ খোলা থাকে। কাঠুরিয়া দেখে, বাইরের পৃথিবীর আলো তার জন্য অপেক্ষা করছে। সে পালিয়ে আসে, ফেলে আসে সেই পরাবাস্তব জগৎ। কিন্তু সেই মায়াবী স্পর্শ, সেই অচেনা ভয়—সবকিছু তার স্মৃতিতে জীবন্ত থাকে।
তবে সেই অশরীরী মায়ার বাঁধন কি এত সহজে ছিন্ন হওয়ার? লোককথা বলে, আজও আলীর পাহাড়ের গভীরে সেই রূপসীর দীর্ঘশ্বাস শোনা যায়, তার হারানো সঙ্গীর জন্য এক অসীম হাহাকার। আর গভীর রাতে, সুড়ঙ্গের মুখে নাকি দেখা যায় এক ছায়ামূর্তি—যার চোখে তার হারানো ভালোবাসার জন্য অনন্ত বেদনা।
এই কাহিনী কোনো বাস্তব ঘটনা নয়, হয়তো বা আলীর পাহাড়ের নীরবতা আর সুড়ঙ্গের অন্ধকার জন্ম দিয়েছে এমন রহস্যময় কল্পনার। তবে আজও যারা সেই পথে হাঁটেন, তারা হয়তো অনুভব করেন এক অশরীরী উপস্থিতির নীরব স্পন্দন—এক পরাবাস্তব জগতের ক্ষীণ প্রতিধ্বনি।
লেখক: মমতাজ উদ্দিন আহমদ,
সভাপতি, আলীকদম প্রেসক্লাব,
বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
চকরিয়ায় ভুক্তভোগি পরিবারের সাংবাদিক সম্মেলন : সাজানো ঘটনার মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে

চকরিয়ায় ভুক্তভোগি পরিবারের সাংবাদিক সম্মেলন : সাজানো ঘটনার মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে

চকরিয়া টাইসম:

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড মৌলভীরকুম এলাকায় মাদক সেবীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে প্রতিবাদ করায় পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাস খানেক পূর্বের একটা মিথ্যা ধর্ষণ ঘটনা সাজিয়ে মৌলভীরকুমবাজার পাড়ার সমাজপতি শাহাবুদ্দিন সওদাগর (৬৫) এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকি মিথ্যা ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করে কতিপয় মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে হয়রানি ও মানহানিকর ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এর প্রতিবাদে রোববার (৪ মে) চকরিয়া থানা ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে সুবিচার কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শাহাবুদ্দিন সওদাগরের পরিবার।

চকরিয়া পৌরশহরে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে সাজানো ধর্ষণ ঘটনা নিয়ে এলাকার মাদকসেবি ও কতিপয় স্বার্থানেষী মহলের নানামুখী ষড়যন্ত্রের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বক্তব্য উপস্থাপন করেন শাহাবুদ্দিন সওদাগরের স্ত্রী বুলবুল আক্তার, ভাইয়ের স্ত্রী শাহেনা বেগম, সেলিনা আক্তার, এ্যানি আক্তার এবং দুই ছেলে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও সাদ্দাম হোসেন। এসময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

শাহাবুদ্দিন সওদাগরের স্ত্রী বুলবুল আক্তার (৫৬) বলেন, আমার স্বামী একজন শারীরিকভাবে অসুস্থ মানুষ। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভুগছেন। সংসার জীবনে তিনি একবারে অক্ষম একজন মানুষ। দীর্ঘ সাতবছর ধরে তিনি সংসার জীবন করতে পারছেনা। সেখানে তিনি কীভাবে ধর্ষণের মতো ঘটনায় জড়িত হবে, তা আমার কাছে মোটেও বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না।

তিনি বলেন, এলাকায় তিনি দীর্ঘ সময় ধরে সমাজপতি হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। কতিপয় মহল এতে বেশি ইর্ষাণিত। তাঁকে দায়িত্ব থেকে কীভাবে সরিয়ে দেওয়া যায়, সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণের মতো একটি সাজানো ঘটনায় তাঁকে জড়িয়ে মামলায় আসামি করা হয়েছে।

শাহাবুদ্দিন সওদাগরের ভাইয়ের স্ত্রী শাহেনা বেগম বলেন, আমার ভাসুর একজন ধার্মিক মানুষ। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে গিয়ে পড়েন। ফজরের নামাজের পর তিনি প্রতিদিন কুরআন তেলোয়াত করেন। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি আমাদের এলাকায় মসজিদে গিয়ে যিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে পড়ার চেষ্টা করেন। তিনি এধরণের ঘটনায় কোনভাবে জড়িত নন।

সাংবাদিক সম্মেলনে শাহাবুদ্দিন সওদাগরের দুুই ছেলে মহিউদ্দিন ও সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমাদের বাবার অপরাধ তিনি দীর্ঘ সময় ধরে সততার সঙ্গে এলাকায় সমাজপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।এলাকায় মাদকসেবি খারাপ মানুষের অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন। সেকারণে সমাজের খারাপ প্রকৃতির মানুষগুলো আমাদের বাবার উপর ক্ষুব্ধ। এই চক্রান্তের অংশ হিসেবে তাঁরা একমাস আগের একটি সাজানো ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করে আমার বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় জড়িয়ে দিয়েছে।

দুই ছেলে সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, আমাদের বাবা যদি সত্যিকারের অপরাধী হয, আমরা বিচার মাথা পেতে নেব। তবে তাঁর আগে ধর্ষণ ঘটনার মেডিকেল রিপোর্ট দিতে হবে। প্রয়োজনে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে ডিএনএ টেস্ট করতে হবে। আমরা প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চাই, নিরপেক্ষ নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

শাহাবুদ্দিন সওদাগরের পরিবার সদস্যরা বলেন, আমরা মিডিয়া ট্রায়াল বা অপপ্রচারের শিকার। একটি মিথ্যা ঘটনায় আমাদের পরিবার সদস্যদের জীবনযাপন বিষিয়ে তুলেছে। এখন রাতের বেলায় আমাদের বাড়িতে এসে হামলা চালানো হচ্ছে। পরিবারের নারীদের ইজ্জত নিয়ে টানাহেঁচড়া করা হচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা প্রশাসনের কাছে সুবিচার ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

আবদুল্লাহ আল ফারুখ তথা দাঁড়িপাল্লার বিজয়ের লক্ষ্যে কাজ করে যাবো : অধ্যাপক এনামুল হক মনজু

আবদুল্লাহ আল ফারুখ তথা দাঁড়িপাল্লার বিজয়ের লক্ষ্যে কাজ করে যাবো : অধ্যাপক এনামুল হক মনজু

চকরিয়া টাইমস :

চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার-১) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ছাত্রশিবিরের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক এনামুল হক মনজুর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক বিভাগের অর্থ সম্পাদক ও কক্সবাজার জেলা শাখার সাবেক সভাপতি মুছা ইবনে হোসাইন বিপ্লব।

আজ রোববার (৪ এ্রপ্রিল) দুপুর বারোটার রাজধানীর হাতিরপুল এলাকায় এ সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন তিনি। এতে জননেতা এনামুল হক মনজু বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে কক্সবাজার-১ আসনের জামায়াত মনোনীত সম্ভব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জননেতা আবদুল্লাহ আল ফারুখকে দাঁড়িপাল্লা মার্কায় বিজয় করার লক্ষ্যে চকরিয়া-পেকুয়া সর্বস্তরের মানুষের সাথে কাজ করে যাবো।

তিনি আরো বলেন ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী আমাকে নির্বাচনের মাত্র ৫০দিন আগেই প্রার্থী হিসেবে নিশ্চিত করেন। এবং এই কয়েক দিনের প্রচার প্রচারণার ব্যবধানে চকরিয়া ও পেকুয়ার আপামর জনসাধারণ আমাকে ও আমার সংগঠন জামায়াতে ইসলামীকে প্রাণ ভরে গ্রহণ করেছিলেন। আশা করি আগামী নির্বাচনে আব্দুল্লাহ আল ফারুখকে চকরিয়া-পেকুয়ার জনগণ সর্বাত্বক সমর্থন দিয়ে জয় যুক্ত করবেন। চকরিয়া-পেকুয়া আমাদের বিজয়ী ময়দান, এই ময়দান পুনঃ উদ্ধার করে ইসলামপ্রিয় তৌহিদী জনতার হাতে ফিরিয়ে দিতে কাজ করবো ইনশা’আল্লাহ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী ছাত্রনেতা তারেকুজ্জামান, সাবেক ছাত্রনেতা হেলাল উদ্দিন ও শিল্পী মিনার উদ্দিন।