আবদুল্লাহ আল ফারুক একজন কর্মস্পৃহা সম্পন্ন তরুণ জননেতা : মুসা বিপ্লব

 চকরিয়া টাইমস : 

মসজিদের ইমাম একজন দুনিয়া সেরা আলেম, সমাজে ও দেশে রয়েছে ব্যাপক খ্যাতি, তাকে জাতী প্রত্যাশা পূরণে প্রতি নিয়তে চলে যেতে হয়, গ্রামে গঞ্জে, শহরে নগরে এবং দুর দুরান্তে। এবার বলেন তাকে দিয়ে কি নিদিষ্ট কোনো মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ইমামতি করা সম্ভব? অবশ্য সম্ভব না। কারণ দেশ ও জাতীর বৃহত্তর স্বার্থে তার চাহিদা রয়েছে বেশ। তাই তাকে জাতীর বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষায় সময় দিতে হবে। এটার বিবেচনায় সেই মহান ব্যক্তির জন্য শুভকামনা। 

অতপর, চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার-১) আসনে এমপি হিসেবে জাতীয় নেতার প্রয়োজন নাই। কারণ জাতীয় নেতাকে মন্ত্রণালয় দেখতে হবে, দেশ ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি সামাল দিতে হবে। নিজে এলাকার কোনো নাগরিকের জন্য, ওই জাতীয় নেতা মানের এমপির স্বাক্ষর কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজন হয় তাহলে ওনাকে এলাকার কেটে খাওয়া নাগরিকরা কোথায় খুঁজে পাবে? ওনি থাকবে ঢাকার উত্তরা, বসুন্ধরা, গুলোশান, নয়াপল্টন কিংবা দেশের বাইরে চীন, নেপাল, ইন্ডিয়া, লন্ডন বা আমেরিকা ইত্যাদি জায়গায়।  যদি কোনো সহযোগিতার নেতা সহযোগিতা নিয়ে জাতীয় নেতার সান্নিধ্য পেতে চাই, তাহলে চাঁদা ঘুষ লবিং বা অন্য কোনো বিভ্রান্তকর পরিস্থিতির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।

সুতরাং এমন নেতা আমরা চাই, যাকে প্রতিদিন খুঁজে পাওয়া যাবে জনগণ। যিনি থাকবেন তার নির্বাচনী এলাকার নাগরিকদের সাথে। যার সম্পূর্ণ কর্মতৎপরতার সেবা পাবে চকরিয়া পেকুয়ার সবস্তরের জন সাধারণ। 

এমন একজন নেতার নাম আবদুল্লাহ আল ফারুক, তিনি তরুণ এক জননেতা। তরুণ হওয়ার কারণে তার রয়েছে যথেষ্ট কর্মস্পৃহা বা কাজের গতি । তিনি ছাত্রজীবন থেকেই চকরিয়া পেকুয়ার মানুষের সাথে মিশে মিশে বড় হয়েছে। তিনি মানুষের যে কোনো দুর্যোগে সবার আগে ছুটে যান যেমন অগ্নিকাণ্ড, বন্যা বা দুর্ঘটনা ইত্যাদি। ছাত্রজীবন থেকেই মেধা ও প্রজ্ঞার সাথে রাজনীতি করে যাচ্ছেন। তিনি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তর ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের মতো একটি সংগঠনের কর্মী বা নেতা হিসেবে  স্কুল, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষে জেলা শিবিরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে ছাত্রজীবন শেষ করেন। বর্তমানে মানবতা মুক্তি আন্দোলন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কক্সবাজার শহর শাখার আমীরের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি জেলা, উপজেলা ও জাতীয় পর্যায়ে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছেন। 

তিনি তার সমস্ত শক্তি দিয়ে চকরিয়া পেকুয়ার জনগণের উন্নয়ন করতে নিজে বিলিয়ে দিয়েছে। সর্বশ্রেনীর মানুষের দুঃখ কষ্টে তিনি ছুটে যান। তিনি প্রতিদিন চকরিয়া পেকুয়ার কোনো না কোনো এলাকায় অবস্থা করেন, মানুষের দুঃখের কথা শুনেন এবং সমস্যা চিহ্নিত করে তা অনুযায়ী সাধ্যমতো ব্যবস্থা নিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। 

পরিশেষে বলতে পারি, চকরিয়া পেকুয়ার মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা রাখার মতো কর্মস্পৃহা সম্পন্ন তরুণ জননেতার নাম আব্দুল্লাহ আল ফারুক। তিনি জনতার পাশে থাকবেন, এবং জনতা তাঁকেই সবসময় পাশে পাবেন।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 comments: