শফিউল করিম সবুজ:
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড মাতামুহুরী নদীর বাঁশঘাট পয়েন্ট,লক্ষ্যারচর পয়েন্ট, পূর্ব বড় ভেওলা, কোনাখালী, হারবাংসহ বেশ কিছু পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন ফলে হুমকির মুখে পড়েছে হাজার ঘরবাড়ি, স্থানীয়রা জানান প্রতিবছর বর্ষার মৌসুমে নদীভাঙ্গনের শিকার হয়ে হাজার হাজার পরিবার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বসতবাড়ি ছেড়েছে ফলে কেউ পাড়ি দিয়েছেন পাহাড়ের পাদদেশে,আবার কারো স্থান ভাড়া ঘরে,এসব অনিয়মে সরকারি নানা নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা অমান্য করে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন কিছু প্রভাবশালী মহল।
বিগত সরকারের আমলে অনুমোদনের নামে, বেনামে, লাগামহীনভাবে বালু লুটের ব্যবসায় জড়িয়ে অল্প সময়ে অনেকে বনেছেন কোটি টাকার মালিক। তবে সরকারের পটপরিবর্তন হলেও এখনো থেমে নেয় বালু লুটের মহোৎসব, সম্প্রতি দেখা যায় সরকার যেতে না যেতে পুনরায় এসব বালুর পয়েন্ট অন্য কিছু প্রভাবশালী মহলের দখলে, যেখানে অভিযোগ পাওয়া গেছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যোগসাজশে পরিচালিত হচ্ছে এসব অনুমোদনহীন বালুর পয়েন্ট।
এদিকে বালু উত্তোলনের ফলে কয়েকশ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাতামুহুরি সেতু প্রকল্প পড়েছে হুমকির মুখে,একইসঙ্গে কাকারা ইউনিয়নের মাতামুহুরি নদীর পার্শ্ববর্তী গ্রাম হাজিয়ান, লক্ষ্যারচর, কোনাখালী, হারবাংসহ আসন্ন বর্ষার মৌসুমে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সম্প্রতি সার্বিকদিক বিবেচনা করে ১৮ই এপ্রিল শুক্রবার বিকাল ৪টায় কোনাখালী ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে বিশাল মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। যেখানে দাবী তোলা হয় টেকশই বেড়িবাঁধ,অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ, নদী ভাঙ্গণরোধ,যেখানে অংশগ্রহণ করেন পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধমূলক বিভিন্ন সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,তবে স্থানীয়রা জানান বালু উত্তোলন না ঠেকালে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানে দাবী তুলে কোন ফায়দা নেই।
চকরিয়াবাসী জানান বর্ষার পূর্বে দ্রুত মাতামুহুরি নদী ভাঙ্গণনরোধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং উন্নয়ন প্রকল্প হাতে না নিলে হাজার হাজার মানুষের জীবন বিপন্ন হতে পারে। এসব বিষয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী চকরিয়াবাসী।