চকরিয়া টাইমস:
চকরিয়ায় থানা প্রশাসনকে প্রভাবিত করে নিরীহ লোকজনকে বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ব্যাপক হয়রানি করার প্রতিবাদে থানার চিহ্নিত দালাল হিসেবে পরিচিত আওয়ামী লীগের দোসর তারেক আজিজের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগি জনসাধারণ। গতকাল রোববার দুপুর বারোটার দিকে চকরিয়া উপজেলার মিথ্যা মামলায় হয়রানি হওয়া পরিবারবর্গের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনের সমাবেশে ভুক্তভোগিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- হাফেজ আমান উল্লাহ, চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের সাবেক শিক্ষক আমান উল্লাহ মাস্টার, আইনজীবী সহকারী হেলাল উদ্দিন প্রকাশ হেলাল মুন্সি, মো. নয়ন চৌধুরী, মো. হানিফ, মিজানুর রহমানসহ আরো অনেকে। এসময় দালাল তারেকের হয়রানির শিকার শতশত ভুক্তভোগি জনসাধারণ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
ভুক্তভোগিরা মানববন্ধনের সমাবেশে অভিযুক্ত তারেক আজিজকে গ্রেফতার পরবর্তী দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন, হয়রানির উদ্দেশ্যে আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। যার ফলে পরিবার পরিজন থেকে দূরে থেকে পালিয়ে বেড়ানোসহ অন্যায়ভাবে জেলও খাটতে হয়েছে। কোন ঘটনার প্রতিকার চাইতে থানা প্রশাসনের দ্বারস্থ হলে সেখানেও সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাদের বিচার বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে থানার সোর্স পরিচয়দানকারী দালাল তারেকের প্রভাব বিস্তারের কারণে সুষ্ঠু সমাধানের পথ রুদ্ধ করেছে এসব ঘটনার। এভাবে সুষ্ঠু বিচারের আশ্রয়স্থলকে আস্থাহীন ও প্রশাসন বিমুখ করে রেখেছে ওই যুবক। এমনকি ২০১৮ সালে চকরিয়া থানায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাউদ্দিন আহমদের সহধর্মীনি সাবেক এমপি হাসিনা আহমদের ওপর হামলার ঘটনাও নেতৃত্ব দিয়েছিল এই তারেক।
শিক্ষক আমান উল্লাহ মাস্টার জানান, থানার প্রভাব খাটিয়ে এই তারেক আমি আমার বাড়ি নির্মাণ করতে গিয়ে আমার কাছ থেকে ৩০লক্ষ টাকা চাঁদা চেয়েছিলো। চাঁদা না দেয়ায় আমাকে প্রাণনাশের হুমকিসহ আমার ছেলের গায়ে হাত তুলেছিলো এবং আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের জড়িত করে ১০টি মিথ্যা মামলা দিয়ে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে মানক্ষুন্নসহ চরম আর্থিক হয়রানি করেছে। তিনি প্রশাসনের নিকট তারেকের অপকর্মের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
হাফেজ আমান উল্লাহ জানান, বিগত ১৭ বছর বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার উস্কানি দিতেন এই তারেক। আমি বিএনপির নগন্য কর্মী হিসেবে আমাকেও মিথ্যা মামলা দিয়ে বাড়ি ছাড়া করেছিল। এ ধরনের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িত তারেকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
ভুক্তভোগি নয়ন চৌধুরী জানান, বহু অপকর্মের হুতা তারেক আমাকেও থানা সংলগ্ন এজকজন হিন্দু ভদ্র মহিলার বাড়ি ডাকাতির ঘটনায় ভিত্তিহীন অভিযোগে আসামি করে জেল খাটিয়েছেন। এরকম আমার মতো অসংখ্য নিরীহ মানুষর মিথ্যা মামলার আসামি করে পথে পথে করেছেন এই তারেক। আমি তার গ্রেফতার পরবর্তী উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি। এদিকে এখনও পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দোসর তারেক আজিজ থানাকে প্রভাবিত করতে রীতিমতো থানার ওসি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। গড়ে তুলেছে ব্যাপক সখ্যতা। ওই তারেক থানা পুলিশের সাথে সখ্যতার আড়ালে নিরীহি জনসাধারণকে বিভিন্ন ফাঁদ পেতে হয়রানির নুতন নুতন কৌশল রপ্ত করছে।
0 comments: