শাহজালাল শাহেদ (চকরিয়া টাইমস) :
চকরিয়ায় পানিবন্দী পরিবারের মাঝে সহায়তা হিসেবে উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ৭২টন চাল এবং ১শ' বস্তা চিড়া ও গুড় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব সহায়তা স্ব স্ব ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পৌঁছে যাবে বলে সূত্রে প্রকাশ করা হয়। বুধবার (২৮জুলাই) দিনভর বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের এমপি আলহাজ্ব জাফর আলম। এলাকাভিত্তিক পানিবন্দীদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ শামসুল তাবরীজ।
একদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি বিধি মোতাবেক লকডাউন। অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ টানা বৃষ্টি। সবমিলিয়ে জনসাধারণের স্বাভাবিক জীবনে নেমে এসেছে চরম স্থবিরতা। কর্মহীন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের চলছে নুন আনতে পান্ত ফুরানোর অবস্থা। এধরনের মানবেতর জনজীবনে দিনাতিপাত করা অসহায় মানুষগুলোর প্রতি মানবিক দৃষ্টি রাখতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল।
গত ৪৮ঘণ্টার রেকর্ড সংখ্যক প্রবল বর্ষণে ও মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির প্রভাবে চকরিয়া উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ একাধিক বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে। এসব বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে হু হু করে পানি ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। প্লাবিত হচ্ছে বিস্তির্ণ নিম্নাঞ্চল। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে উপজেলা হাজার হাজার মানুষ। পানির নীচে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার একর ফসলি জমি, বীজতলাসহ সবজি ক্ষেত। বিশেষ করে বিরতিহীন বৃষ্টি কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে পানিবন্দী মানুষগুলো।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলীয় এলাকার সকল স্লুইস গেইটগুলো খুলে দিতে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে খোলা হয়েছে যে কোন দুর্যোগের সংবাদ পেতে জরুরি নাম্বার সেট করে (০১৯১৩-৩৮৭৪৮৬) কন্ট্রোল রুম। বিজ্ঞপ্তিতে পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে নদী ভাঙ্গন ও পাহাড় ধসের আশংকা থাকায় জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।অন্যদিকে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দী পরিবারের মাঝে সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য প্রতি ইউনিয়নে ৪টন করে ১৮টি ইউনিনের জন্য ৭২টন চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানবৃন্দদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে পানিবন্দী পরিবারের জন্য ১শ' বস্তা শুকনা চিড়া এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে গুড় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
0 comments: