চকরিয়া টাইমস:
চকরিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ও আহত দুই জামায়াত কর্মীর বাড়িতে সমবেদনা জানাতে ছুটে গিয়েছেন কক্সবাজার জেলা জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকালে জেলা আমীর অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী ও চকরিয়া-পেকুয়া আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী কক্সবাজার শহর জামায়াতের আমীর আবদুল্লাহ আল ফারুকের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদল উপজেলার কৈয়ারবিল ৬নং ওয়ার্ডে সন্ত্রাসী হামলার নিহত আরিফুল ইসলাম ও গুরুতর আহত খাইরুল ইসলামের পরিবারের সাথে দেখা করেন এবং হতাহত পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন।
এসময় জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ, পেকুয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ইমতিয়াজ উদ্দিন, চকরিয়া উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আবদুল্লাহ আল মামুর, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপজেলা সভাপতি শরিফুল আমিন, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাস্টার মোহাম্মদ জুনাইদ, সেক্রেটারি মিজানুর রহমান, জামায়াত নেতা ডাঃ আবু তালেবসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াত নেতৃবৃন্দ নিহত আরিফুল ইসলামের রুহের মাগফিরাত এবং আহত খাইরুল ইসরামের শারীরিক সুস্থতা কামনা করে মহান আল্লাহর দরবারে বিশেষ দোয়া মুনাজাত করেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২০ মে) উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের হাছিমারকাটা গ্রামে পারিবারিক জমির বিরোধ নিয়ে দিনদুপুরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জামায়াতের ৬নং ওয়ার্ড জামায়াত কর্মী আরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায় এবং একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয় অপর জামায়াত কর্মী খাইরুল ইসলাম। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার পর চকরিয়া থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের হাছিমারকাটা সিকদারপাড়ার জনৈক জয়নাল আবেদীনের ছেলে ঘাতক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে সুজন, ইন্দনদাতা হিসেবে তার মা ফাতেমা বেগম ও বোন রেশমি আক্তারকে আটক করে।
এ ঘটনায় নিহতের ছোটভাই আরমান হোসেন বাদী হয়ে ৫জনের নাম উল্লেখ করে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার জমা দেন।
এরই প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে হত্যাকা-ে জড়িত সুজনের অপর বোন রচনা আক্তার ও স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা সুমাইয়াকেও এহাজার নামীয় আসামি হিসেবে আটক করে পুলিশ।
0 comments: