চকরিয়ায় দখল নয় ক্রয়কৃত জায়গায় স্থাপনা নির্মাণের দাবি মালিক পক্ষের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চকরিয়া সাহারবিল আছ ছফা আদর্শ শিক্ষা নিকেতন নামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন পত্রিকায়  অপপ্রচারের বিষয়টি সত্য নয় দাবি করে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন জমিটির বৈধ মালিক পক্ষ। তারা সম্মেলনে দাবি করেন, দখল নয়; বৈধভাবে ক্রয়কৃত জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কেবি জালাল উদ্দীন সড়কের পরিষদ সংলগ্ন স্থাপনা নির্মাণ এলাকায় এ বিষয়ে তথ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগি মোঃ সাকের, আবদুল হামিদ, সুজন, পেঠান মেম্বার, নুর মোহাম্মদসহ জমির মালিক পক্ষের লোকজন।

ভুক্তভোগিরারা জানান, যে স্থানে দেয়াল নির্মাণ হচ্ছে তা কাহারিয়াঘোনা মৌজার ৪৮নং খতিয়ানের জায়গা। স্কুল কর্তৃপক্ষ যে জায়গাটি ক্রয় করেছে তা ৪৬নং খতিয়ানের জায়গা। মূলত বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জোর করে অনেক বছর ধরে জায়গাটি স্কুল বাউন্ডারি ভেতরে দখলে করে রেখেছে। কিন্তু জমির মালিক তারা নয়। কাগজ দেখে জানা যায়, ১৯৭০ সালে জমিটি ক্রয় করেন আবদুল মালেক, পরে ১৯৭৪ সালে স্থানীয় মৌলভী ইসহাক জমিটি ক্রয় করে ৭৭২ নং নামজারি খতিয়ান সৃজন করেন। মৌলভী ইসহাক মৃত্যুর পর তাদের ওয়ারিশদের কাছ থেকে ২০১৪ সালে জমিটি ক্রয় করে মো. সাকের। তিনি নামজারী খতিয়ান ২০১৭ নং সৃজন করেন। জমির মূল মালিক মো. সাকের থেকে রেজিষ্ট্রার্ড বায়না মূলে ৬ শতক জায়গাটি ক্রয় করে আবদুল হামিদ ভোগ দখলে আছে। জায়গাটি সংরক্ষণের প্রয়োজনে আবদুল হামিদ সীমানা দেওয়াল নির্মাণ করতে গেলে বাঁধা দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। 

চকরিয়া সাহারবিলের আছছফা আদর্শ শিক্ষা নিকেতন পরিচালনা কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, আমরা ২০২০সালে স্কুলের নামে জমি ক্রয় করেছি, এতদিন পরে এলাকার কিছু লোক হঠাৎ করে জমির মালিক দবি করে। আছছফা স্কুল পরিচালনা কমিটি এমন বক্তব্য প্রেক্ষিতে, জমির মালিক সাকের বলেন, তাদের ক্রয়কৃত জমি ৪৬নং খতিয়ানের জায়গা। তারা এতোদিন অবৈধভাবে জমি দখলে রেখেছিল ৪৮নং খতিয়ানের জায়গায়। 

তিনি আরো বলেন, স্কুল পরিচালনা কমিটি ৩০জন সদস্য থাকলে এরমধ্যেই ৩জন লোক অবৈধভাবে জমি দখলে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি নালিশী অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান জমিটির ক্রয়কৃত মালিক আবদুল হামিদ। বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চকরিয়া সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 comments: