শাহজালাল শাহেদ (চকরিয়া টাইমস) :
পরে প্যারেড কমান্ডার চকরিয়া থানার এস.আই রাজীব সরকারের নেতৃত্বে কুচকাওয়াজ পরিচালনায় অনুমতি প্রার্থনা করলে অতিথিবৃন্দ সম্মতি দেন। বাংলাদেশ পুলিশ দিয়ে শুরু হওয়া এ কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়, চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ, চকরিয়া গ্রামার স্কুল, চকরিয়া পালাকাটা উচ্চ বিদালয়সহ পৌর এলাকার সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কুচকাওয়াজ শেষে পরিবেশিত হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহ্য সমৃদ্ধ মনমুগ্ধকর ডিসপ্লে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ানের সভাপতিত্বে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম এমপি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী ও চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী।
অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে- হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বিশেষ করে যাদের অজস্র আত্মত্যাগের বিনিময়ে লাল সবুজের একটি বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে সে সকল শহীদদের গভীর ও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
এসময় অতিথি সারিতে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাহাতুজ্জামান দিপু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মুসাসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন সেক্টরে অংশ নেয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনী অধিবেশনে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লেতে অংশ নেয়া বিজয়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিদের বিভিন্ন ক্যটাগরির পুরস্কার এবং উপস্থিত অতিথি ও সরকারি দপ্তর প্রতিনিধিদের হাতে আকর্ষণীয় শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
এদিকে কর্মসূচির শুরুতে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১বার তোপধ্বণি, শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সরকারি বেসরকারি স্বায়ত্ব শাসিত ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনসমূহে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা।
0 comments: