নিজস্ব প্রতিবেদক :
চকরিয়া উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ভেঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজে কোন ধরনের অগ্রগতি না হওয়ায় মানববন্ধন করেছে হতাশাগ্রস্ত মুসল্লি ও চকরিয়ার সর্বস্তরের জনসাধারণ।
শুক্রবার (১১ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাযের পর অনতিবিলম্বে মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের দাবিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
চকরিয়া উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ খতিব মাওলানা কফিল উদ্দিন ফারুকের সভাপতিত্বে ও ছাত্রলীগ নেতা ইয়াছিন আরাফাত মুন্নার সঞ্চালনায় মানববন্ধনের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চকরিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট আলহাজ্ব হাবিব উদ্দিন মিন্টু, কোর্ট সেন্টার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডাঃ খাইরুল ইসলাম ও ছাত্র মৈত্রীর কক্সবাজার জেলা কমিটির নেতা তৌহিদী ইবনে রহিম সৌরভ।
মানববন্ধনের সমাবেশে বক্তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার মডেল মসজিদ নির্মাণে চকরিয়া উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। মডেল মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিস্তারিত জমির সীমারেখাও নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে গত আড়াই বছরেও কোনো ধরনের অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি মডেল মসজিদ নির্মাণের।
সম্প্রতি সদ্য বিদায়ী ইউএনও ছৈয়দ শামসুল তাবরীজের হীনমন্যতাকে দায়ী করে সভাপতির বক্তব্যে খতিব মাওলানা কফিল উদ্দিন ফারুক বলেন, মডেল মসজিদ নিয়ে একাধিকবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও তৎসময়ের চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছৈয়দ শামসুল তাবরীজ একটি বারের জন্যও মসজিদ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেননি। ইউএনও'র অবহেলা ও হীনমন্যতার কারণে মসজিদ নির্মাণ কাজের দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি। এতে নিয়মিত মুসল্লিসহ সর্বস্তরের মানুষ চরমভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। আমরা প্রশাসনের এমন আচরণ আশা করিনি।
তিনি বলেন, চকরিয়াবাসীর প্রাণের দাবি প্রধানমন্ত্রীর উপহার দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ নির্মাণে অগ্রগতি দেখতে চাই। একটি নান্দনিক মসজিদ নির্মাণের কার্যক্রম দৃশ্যমান হবে না এটি কোনভাবে কাম্য নয় বলে মনে করেন উপজেলাবাসী।
তাই অবিলম্বে চকরিয়া উপজেলাবাসীর দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণে দৃশ্যমান কাজের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী ও ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
0 comments: