নিজস্ব প্রতিবেদক :
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো: আইয়ুবের বসতঘরে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মোঃ আইয়ুবের বসতবাড়িতে আকস্মিক বৈদ্যুতিক সকসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। এ আগুন মুহূর্তের মধ্যে গোয়াল ঘর ও গরুর খড়ের গাদায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে বাড়ি থেকে তার স্ত্রী সন্তানেরা প্রাণে রক্ষা পেলেও আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায় গোয়াল ঘরে থাকা ৩টি গবাদিপশু। ওইসময় বসতঘরের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়।
সূত্রে জানা যায়, চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই দিনমজুর আইয়ুবের সহায় সম্বল যা ছিল সব আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সে এখন নিঃস্ব। বর্তমানে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে তার পরিবার।
ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর মো: আইয়ুব জানায়, স্ত্রী-সন্তানদের পরণের কাপড় ছাড়া ঘর থেকে কিছুই বের করতে পারিনি। আগুনে পুড়ে যায় জাতীয় পরিচয়পত্রসহ সবকিছু। এতে আমার প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়।এদিকে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে সমবেদনা জানাতে ছুটে যান পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা। তিনি তাৎক্ষণিক দশ হাজার টাকা নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারিভাবে সহায়তা পেতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে অবহিত করেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য শুকনো খাবার ও শীতবস্ত্র তুলে দেয়া হবে।
0 comments: