কামাল হোসেন আজাদ, কক্সবাজার :
কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে মঙ্গলবার (২৭জুলাই) বিভিন্ন সময়ে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। আগেরদিন সোমবার সন্ধ্যা থেকে টানা বৃষ্টি হয় গোটা জেলায়। এতে সীমান্ত উপজেলা উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৫জন, টেকনাফে কৃষক ও দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে কিশোরীসহ ৭জনের মৃত্যু হয়েছে।
উখিয়ায় ভেসে যাওয়া এক শিশুর লাশ পাওয়া গিয়েছে। বৃষ্টিতে খালে গোসল করতে নামলে শিশুটি এ দুর্ঘটনার শিকার হন। তার পরিচয় জানা যায়নি। তবে সে পালংখালীস্থ ক্যাম্প ১৮ এর শিশু বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. শামসুদ্দৌজা নয়ন। তিনি জানান, আগেরদিন প্রবল বর্ষণের ফলে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।
উখিয়ার বালুখালীস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১০-এ পাহাড় ধসে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- নুর বাহার (বয়স-৩০), পিতাঃ নুর মোহাম্মদ, ব্লক-জি/৩৭, শফিউল আলম (বয়স-১২) পিতাঃ শাহ আলম, ব্লক-জি/৩৭, দিল বাহার (বয়স-২৪) স্বামী-ইউসুফ আলী, ব্লক-জি/৩৮, আব্দুর রহমান (বয়স-০৩) ব্লক/৩৮, আয়েশা ছিদ্দিক (বয়স-২) ব্লক/৩৮।
এদিকে সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ হোয়াইক্যংয়ে প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধসে রকিম আলী (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তিনি হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মনিরঘোনার বাসিন্দা আলী আহমদের ছেলে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পাহাড় ধসের বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দিক-বিদিক ছুটে প্রাণে বাঁচলেও রক্ষা হয়নি গৃহকর্তা রকিম আলীর। তিনি বেরিয়ে আসার সময় চাপা পড়ে যান পাহাড় ধসে পড়া মাটির নীচে। পরে পরিবার ও স্থানীয় লোকজন তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় তুর্কি হাসপাতালে নিয়ে যাায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে পাহাড় ধসে বাড়ির দেয়াল চাপায় ঘুমন্ত অবস্থায় মোছাম্মৎ মুরশিদা (১৮) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭জুলাই) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ছোট মহেশখালী উত্তর সিপাহীরপাড়ায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। কিশোরী মুরশিদা উল্লেখিত এলাকার জনৈক আনসারের মেয়ে বলে জানা গেছে।
0 comments: